ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় নির্যাতিত জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়ায় পূর্বনির্ধারিত ‘স্বাধীনতা কনসার্ট’ সাময়িক স্থগিত করেছে ‘সবার আগে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’। গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান আয়োজকরা।

জানা গেছে, মহান স্বাধীনতা দিবস (২৬ মার্চ) সার্বজনীনভাবে উদ্যাপনের জন্য বাংলাদেশি শিল্পীদের অংশগ্রহণে ‘সবার আগে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত ‘স্বাধীনতা কনসার্ট’ রাজধানী ঢাকার জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া এভিনিউয়ের পাশাপাশি একইদিনে চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়ায় আলাদা আলাদা ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
 
কিন্তু ‘সবার আগে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’র সভাপতি শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানি ও সাধারণ সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল রাতে এক বিবৃতিতে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেন, এমন ভয়ঙ্কর বর্বরতার নিন্দা ভাষায় প্রকাশ সম্ভব নয়। ইসরাইলের বর্বরতা সত্ত্বেও বিশ্ববাসীর নির্লিপ্ত আচরণ ততোধিক অমানবিক।
 
এরাই পরিপ্রেক্ষিতে ‘সবার আগে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’ গাজা ও রাফায় ইসরাইলের বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে আগামী শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকাসহ চার বিভাগীয় শহরে পূর্বনির্ধারিত ‘স্বাধীনতা কনসার্ট’ একদিন পিছিয়ে পরদিন শনিবার (১২ এপ্রিল) সার্বজনীনভাবে উদ্‌যাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত রাতে পরিবর্তন করে ‘স্বাধীনতা কনসার্ট’ সাময়িক স্থগিত করেছে ‘সবার আগে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’। ইসরাইলের মানবতাবিরোধী আগ্রাসনের প্রতিবাদে দেশের আপামর জনগণকে সোচ্চার হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

‘সবার আগে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’র বিবৃতিতে বলা হয়, ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় দখলদার গণহত্যাকারী ইসরাইলি বাহিনীর নৃশংস হামলায় ইতোমধ্যেই হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষ শাহাদাৎ বরণ করেছেন। শিশু, নারী ও বৃদ্ধদেরও নির্মমভাবে হত্যা করছে অবৈধ দখলদার ইসরাইলের সেনারা। গাজা উপত্যকা আজ মৃত্যু উপত্যকা। দখলদার ইসরাইল পৃথিবীর মানচিত্র থেকে গাজার চিহ্ন মুছে ফেলতে নারকীয় হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে। পরিতাপের বিষয় এই, আন্তর্জাতিক বিশ্ব এখনও এখানে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে চলেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কনস র ট স ব ধ নত কনস র ট

এছাড়াও পড়ুন:

হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত

ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স। 

গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’

পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।

আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।

সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’ 

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’

তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের ‘কঠোরতম ভাষায়’ নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব
  • যারা জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে নিষিদ্ধ চায়, তারা আদালতে অভিযোগ দিতে পারে: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন
  • হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
  • ‘গাজায় গণহত্যা চলছে, আমি সেই গণহত্যার নিন্দা করছি’