জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে কোটায় আবেদন ও বিষয় নির্ধারণের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
Published: 8th, April 2025 GMT
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথমবর্ষে কোটায় ভর্তি আবেদনের তারিখ ঘোষণা করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। আবেদন আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়ে চলবে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ‘এ, বি, সি, ডি ও ই’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের জন্য কোটাভিত্তিক আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
কোটায় ভর্তির জন্য ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীরা আজ দুপুর ১২টা থেকে ১৭ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীদের www.
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষে ভর্তিতে মোট ছয় ধরনের কোটা রাখা হয়েছে। এগুলো হলো মুক্তিযোদ্ধা কোটা—শুধু মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য (FFQ), ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটা (SEQ), হরিজন ও দলিত কোটা (HDQ), প্রতিবন্ধী কোটা (PDQ), খেলোয়াড় কোটা (BKSP) ও পোষ্য কোটা (WQ)।
গত রোববার (৬ এপ্রিল) ইউনিটভিত্তিক ফলাফলে বিষয় নির্ধারণের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ৮ এপ্রিল থেকে ১৭ এপ্রিল তারিখের মধ্যে বিষয় নির্বাচনের আবেদন করতে পারবেন। এ জন্য শিক্ষার্থীদের জবির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট (http://www.admission.jnu.ac.bd) এ লগইন করে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।
‘এ’ ইউনিটের তিনটি পালায় মোট আসনসংখ্যা ৮৬০। বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য প্রথম পালায় মোট আসন ২৮৪। দ্বিতীয় পালায় ২৮৭টি আসন। তৃতীয় পালায় ২৮৯টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।
আরও পড়ুনএসএসসি–২০২৫ পরীক্ষা, শিক্ষার্থীদের শেষ মুহূর্তের করণীয়০৬ এপ্রিল ২০২৫‘বি’ ইউনিটের তিনটি পালায় মোট আসনসংখ্যা ৭৮৫। প্রথম পালায় মোট আসন ২৯৪। মানবিক ১৯৯, বাণিজ্য ৩৫, বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৬০টি। দ্বিতীয় পালায় মোট আসন ২৯২। যার মধ্যে মানবিক ১৯৯, বিজ্ঞান ৫৮, বাণিজ্য বিভাগের জন্য ৩৫। তৃতীয় পালায় মোট আসন ১৯৯। মানবিক ১৩৬, বিজ্ঞান ৩৯, বাণিজ্য বিভাগের জন্য ২৪টি আসন।
‘সি’ ইউনিটের দুটি পালায় মোট আসনসংখ্যা ৫২০। প্রথম পালায় মোট আসন ২৩০টি। সব কয়টি আসন বাণিজ্য অনুষদের জন্য। দ্বিতীয় পালায় মোট আসন ২৯০টি। যার মধ্যে বাণিজ্যের জন্য ২৩০ আসন, মানবিক ১৬টি এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য থাকবে ৪৪টি আসন।
আরও পড়ুনএসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য জরুরি ৯টি নির্দেশনা৬ ঘণ্টা আগে‘ডি’ ইউনিটের দুটি পালায় মোট আসনসংখ্যা ৫৯০। প্রথম পালায় মোট আসন ২৯৪। যার মধ্যে মানবিক ১৯২, বাণিজ্য ৩৩, বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৬৯টি। দ্বিতীয় পালায় মোট আসন ২৯৬টি। যার মধ্যে মানবিক ১৯৩, বাণিজ্য ৩২ এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য থাকবে ৭১ আসন।
‘ই’ ইউনিটের মোট ৬০টি আসন। চারুকলা অনুষদের তিনটি বিভাগের মধ্যে ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগের জন্য ২০টি আসন, প্রিন্টমেকিং বিভাগের জন্য ২০টি আসন, ভাস্কর্য বিভাগের ২০টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।
আরও পড়ুনকৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার মডেল টেস্ট২ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম প ল য় ম ট আসন ব জ ঞ ন ব ভ গ র জন য প ল য় ম ট আসনস খ য ত য় প ল য় ম ট আসন দ র জন য ইউন ট র পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসনসংখ্যা কমানো ও নতুন ১৮ বিভাগ চালুর সুপারিশ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সার্বিকভাবে আসনসংখ্যা কমানো, আরও ১৮টি বিভাগের অন্তর্ভুক্তি, ৪টি ইনস্টিটিউট চালু এবং ১২টি বিভাগে পিএইচডি ডিগ্রি চালুর সুপারিশ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশনা অনুযায়ী, কোয়ালিটি এডুকেশন নিশ্চিত করতে আসনসংখ্যা কমানো হচ্ছে বলে বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে।
গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৯তম একাডেমিক কাউন্সিল সভায় এসব বিষয়ে সুপারিশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্গানোগ্রামে আরও ১৮টি বিভাগের অন্তর্ভুক্তি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী, কোয়ালিটি এডুকেশন নিশ্চিত করতে ল্যাব বেজড বিভাগগুলোতে আসনসংখ্যা ৪০টি এবং ল্যাববিহীন বিভাগগুলোতে ৫০টি আসন রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। যার কারণে সার্বিকভাবে কিছু আসন কমে আসবে। এ ছাড়া নতুন আরও ১৮টি বিভাগের অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো হলো পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ, জৈব রসায়ন ও আণবিক জীববিজ্ঞান বিভাগ এবং জৈবপ্রযুক্তি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো হলো সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, জনসংখ্যাবিজ্ঞান বিভাগ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ। কলা ও মানবিক অনুষদভুক্ত গুলো হলো- ইসলামিক স্টাডিজ ও সংস্কৃতি বিভাগ, ইতিহাস বিভাগ এবং দর্শন বিভাগ।
আরও পড়ুনদুই দশকে ‘লালমাটির সবুজ ক্যাম্পাস’, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য আয়োজন ২৮ মে ২০২৫ব্যবসায় অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো হলো পর্যটন ও আতিথেয়তা ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ব্যবসায়িক তথ্যবিজ্ঞান বিভাগ, আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগ এবং লজিস্টিক ও মার্চেন্ডাইজিং বিভাগ।
প্রকৌশল অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো হলো বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগ, রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগ, পুরকৌশল বিভাগ এবং যন্ত্রকৌশল বিভাগ। আইন অনুষদভুক্ত বিভাগটি হলো অপরাধবিদ্যা বিভাগ।
এদিকে সভায় চারটি ইনস্টিটিউট গঠনের সুপারিশ করা হয়। এগুলো হলো আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় উন্নত গবেষণা কেন্দ্র এবং একাডেমিক মান বৃদ্ধি কেন্দ্র। এগুলোর গঠনকাঠামোও সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট ও শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের জন্য পরিচালক হিসেবে একজন অধ্যাপক, নিয়মিত অধ্যাপক দুজন, তিনজন সহযোগী অধ্যাপক, সেকশন অফিসার বা ব্যবস্থাপক একজন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা একজন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট একজন, অফিস সহায়ক দুজন এবং একজন ক্লিনার।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় উন্নত গবেষণা কেন্দ্র এবং অ্যাকাডেমিক মান বৃদ্ধি কেন্দ্র- এদুটোর জন্য পরিচালক হিসেবে একজন অধ্যাপক, অতিথি অধ্যাপক থাকবেন একজন, অতিরিক্ত পরিচালক হিসেবে একজন অধ্যাপক অথবা সহযোগী অধ্যাপক, সেকশন অফিসার অথবা ব্যবস্থাপক হিসেবে একজন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা একজন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট একজন, অফিস সহায়ক দুইজন এবং ক্লিনার-১ জন।
এ ছাড়া ১২টি বিভাগে পিএইচডি ডিগ্রি চালুর প্রস্তাবনা রাখা হয়েছে। প্রতিটি বিভাগে ন্যূনতম ২৬ জন করে শিক্ষক রাখার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হায়দার আলী বলেন, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এখনই এগুলো না দেখে বলা যাচ্ছে না। রেজ্যুলেশন পাশ হলে বিস্তারিত বলতে পারব। এ জন্য কিছুটা সময় লাগবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আলোচনায় এগুলোর সুপারিশ করেছি; কোনোটিই এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়। আর অর্গানোগ্রাম অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয় ডিপার্টমেন্টের জন্য ছাড়পত্র চায়, তারপর কমিশন (ইউজিসি) যদি অনুমোদন দেয়, তখন সেটা অর্গানাগ্রামে যুক্ত হয়। অর্গানোগ্রামে থাকলেই যে বিভাগ হয়ে যাবে, বিষয়টি এমনও না। ইউজিসি একটা অনুমোদন দিয়ে রাখে। এই অনুমোদনের আলোকে আবার যখন আবেদন দেওয়া হবে, তখন কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবে। মূল কথা হলো এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েল এমন পরিকল্পনা থাকে। আমাদের এসব পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে অন্তত ২০৩২ সাল পর্যন্ত।’
অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, ইউজিসি আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে আসন সংখ্যা কমাতে, যাতে কোয়ালিটি এডুকেশনের নিশ্চিত হয়। এ জন্য তাঁরা ল্যাব বেজড বিভাগের জন্য ৪০টি আসন এবং ল্যাববিহীন বিভাগের জন্য ৫০ টি আসন বরাদ্দ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। আর ১২টি বিভাগে পিএইচডি ডিগ্রি চালুর প্রস্তাব রাখা হয়েছে।