রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম বলেছেন, ‘বাংলাদেশে আজ আরেকবার স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ছাত্র–জনতা জীবন দিয়েছে। কিন্তু সেই আত্মত্যাগ আবারও বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের মুখে পড়েছে। রাষ্ট্র সংস্কারকে নির্বাচনের মুখোমুখি দাঁড় করানোটা সেই ষড়যন্ত্রের অংশ বলে আমরা মনে করি।’

আজ শুক্রবার রাজধানীতে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান কার্যালয়ে ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র দিবস’র আলোচনা সভায় হাসনাত কাইয়ূম এ কথাগুলো বলেন। ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র দিবস উপলক্ষে এ আয়োজন করে দলটি।

হাসনাত কাইয়ূম বলেন, ‘আমাদের মতামত হলো ন্যূনতম যতটুকু সংস্কারে সবাই একমত হবেন, সেটা নিশ্চিত করতে এক নির্বাচনেই সংবিধান সংস্কার সভা ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা হচ্ছে সবার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ও টেকসই পন্থা।’

সভায় আরও বক্তব্য দেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান সেলিম, ফরিদুল ইসলাম, শেখ নাসিরউদ্দীন, সামিউল আলম রাশু। সভার সভাপতিত্ব করেন জাকিয়া শিশির, সঞ্চালনা করেন দলের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সমন্বয়ক সোহেল শিকদার।

বক্তারা বলেন, ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র দিবস বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোর একটি। এই ঘোষণাপত্রই বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান। এ সংবিধানের আলোকেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়। আফসোসের বিষয় হলো, মুক্তিযুদ্ধ–পরবর্তী সরকার যে ’৭২ সালের সংবিধান তৈরি করে, সেখানে এই ঘোষণাপত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হয় নাই। এমনকি আজকের দিনেও রাষ্ট্রীয়ভাবে এ ঘোষণাপত্রের কোনো সম্মান, স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আসামে বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র মামলায় পরেশ বড়ুয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

ভারতের আসামে গত বছর একাধিক ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণ ঘটানোর ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে উলফা (আই) নেতা পরেশ বড়ুয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ। সংস্থাটি শনিবার গুয়াহাটির আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

পরেশ বড়ুয়া নিষিদ্ধঘোষিত বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (ইনডিপেনডেন্ট ) চেয়ারম্যান এবং স্বঘোষিত কমান্ডার ইন চিফ। চার্জশিটভুক্ত অন্য দুজন হলেন অভিজিৎ গগৈ ও জাহ্নু বড়ুয়া।

গত বছর আসামে স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপন ব্যাহত করতে গুয়াহাটির দিসপুর লাস্ট গেটে একাধিক আইইডি পুঁতে রাখা হয়েছিল। এর সঙ্গে এই তিনজনের যোগসূত্র পাওয়া গেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এ ঘটনা তদন্তের ভার নেয় এনআইএ।

এনআইএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হতাহত করা, সম্পত্তি ধ্বংস করা, ভারতের ঐক্য ও অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি তৈরি এবং মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যে আইইডি স্থাপন করা হয়েছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আসামে বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র মামলায় পরেশ বড়ুয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
  • ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক ষড়যন্ত্রকারীদের কফিনে শেষ পেরেক: প্রেস সচিব