নির্বাচন ও সংস্কার মুখোমুখি করা গণ–অভ্যুত্থান ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্র: রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন
Published: 11th, April 2025 GMT
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম বলেছেন, ‘বাংলাদেশে আজ আরেকবার স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ছাত্র–জনতা জীবন দিয়েছে। কিন্তু সেই আত্মত্যাগ আবারও বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের মুখে পড়েছে। রাষ্ট্র সংস্কারকে নির্বাচনের মুখোমুখি দাঁড় করানোটা সেই ষড়যন্ত্রের অংশ বলে আমরা মনে করি।’
আজ শুক্রবার রাজধানীতে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান কার্যালয়ে ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র দিবস’র আলোচনা সভায় হাসনাত কাইয়ূম এ কথাগুলো বলেন। ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র দিবস উপলক্ষে এ আয়োজন করে দলটি।
হাসনাত কাইয়ূম বলেন, ‘আমাদের মতামত হলো ন্যূনতম যতটুকু সংস্কারে সবাই একমত হবেন, সেটা নিশ্চিত করতে এক নির্বাচনেই সংবিধান সংস্কার সভা ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা হচ্ছে সবার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ও টেকসই পন্থা।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান সেলিম, ফরিদুল ইসলাম, শেখ নাসিরউদ্দীন, সামিউল আলম রাশু। সভার সভাপতিত্ব করেন জাকিয়া শিশির, সঞ্চালনা করেন দলের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সমন্বয়ক সোহেল শিকদার।
বক্তারা বলেন, ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র দিবস বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোর একটি। এই ঘোষণাপত্রই বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান। এ সংবিধানের আলোকেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়। আফসোসের বিষয় হলো, মুক্তিযুদ্ধ–পরবর্তী সরকার যে ’৭২ সালের সংবিধান তৈরি করে, সেখানে এই ঘোষণাপত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হয় নাই। এমনকি আজকের দিনেও রাষ্ট্রীয়ভাবে এ ঘোষণাপত্রের কোনো সম্মান, স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
তদবিরের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছি, ষড়যন্ত্রকারীরা আমার পেছনে লেগেছে: তথ্য উপদেষ্টা
তদবিরের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় একটি মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলে দাবি করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
নিজের বিরুদ্ধে ওঠা তদবির ও লবিংয়ের অভিযোগ নিয়ে সোমবার (২৮ জুলাই) রাত ৩টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “আজকাল অনেকের লেজ কাটা যাচ্ছে বলে, আমার বিরুদ্ধে লেগেছেন।”
তথ্য উপদেষ্টা দাবি করেন, তিনি রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে কোনো আপস করেননি এবং প্রস্তাব পেয়ে স্পষ্টভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে সামরিক অভিযানের ভিডিওটি ভুয়া: বাংলা ফ্যাক্ট
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ঢাবি অধ্যাপক
তিনি লেখেন, “তদবিরের কথা উঠলো যখন, একটা ঘটনা বলি। আমাদের এক বন্ধু একজন ব্যক্তিকে আমার ভাইয়ার সাথে দেখা করায়। বিটিভির একটা টেন্ডারের কাজ করে দিলে তারা পার্সেন্টেজ দিবে এবং জুলাই নিয়ে কয়েকটা দেশে প্রোগ্রামের জন্য হেল্প করবে। আমি জানার পর এটা নিষেধ করে দেই। সদুদ্দেশ্যে হলেও রাষ্ট্রের আমানতের খেয়ানত করা যাবে না। পরবর্তীতে সে টেন্ডারের কাজ ও স্থগিত হয়।”
“সে ব্যক্তি কনভার্সেশন রেকর্ড করে একজন সাংবাদিককে পাঠায়। সে সাংবাদিক যোগাযোগ করলে আমি বলে দিই, ভাই আমরা একাজ করতে দেইনি। আর, ওই লোক ফাঁসানোর উদ্দেশ্যেই জুলাইয়ের প্রোগ্রামের কথা বলে একাজ করেছে। উনি আমার কথা বিশ্বাস করে আর রেকর্ডটি পাবলিক করেননি। ”
তিনি বলেন, “আজকাল অনেকের লেজকাটা যাচ্ছে বলে, আমার বিরুদ্ধে লেগেছেন। বিভিন্ন দলের কয়েকজন মহারথী এতে জড়িত। সব ষড়যন্ত্রই প্রকাশ পাবে।” প্রথমে নতুন দলের কয়েকজন মহারথী জড়িত লিখলেও কিছুক্ষণ পর তা পরিবর্তন করে বিভিন্ন দলের লেখেন।
তিনি আরো লেখেন, “পুনশ্চঃ আমার নিকৃষ্ট শত্রুরাও গত ১২ মাসে আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ করলেও দুর্নীতি বা আর্থিক অসঙ্গতির অভিযোগ করেনি। বিভিন্ন দলের মহারথীদের অনেক অসুবিধা হচ্ছে তাতে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব পবিত্র আমানত। হাজারকোটি টাকার চাইতেও ইজ্জত ও রাষ্ট্রের আমানত আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”
সংশোধনের বিষয়ে তিনি লেখেন, “বিঃদ্রঃ কয়েকটা বাক্য নিয়ে অযথাই জলঘোলা হচ্ছে, তাই এডিট করে দিলাম। জুলাই কতিপয় লোকের কাছে পলিটিকাল মবিলিটির ল্যডার।একটা না কয়েকটা দলের মহারথীরাই আমার/আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। কিন্তু, সবার এখন গুজববাজ আর সুবিধাবাদী বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকা দরকার।”
ঢাকা/ইভা