বাগেরহাট থেকে অপহৃত তিন বছরের শিশুকে কুষ্টিয়ার পোড়াদহ থেকে উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাতে জেলার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ রেল স্টেশন থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া শিশুটির নাম সিনথিয়া আহম্মেদ শিফা। সে খুলনা জেলার ফুলতলা থানার উত্তর ডিহি এলাকার শাওন আহম্মেদের মেয়ে।

শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে র‌্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার কামরুল ইসলাম স্থানীয় সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় জীবন ইসলাম হৃদয় (২৫) নামে এক যুবককে আটক করেছে র‌্যাব।

গ্রেপ্তার হওয়া ওই যুবক নীলফামারী সদর উপজেলার দক্ষিণপাড়া চরচড়াবাড়ী এলাকার মৃত হেদায়েতুল ইসলামের ছেলে। 

র‌্যাব জানায়, শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে বাগেরহাটের ফকিরহাট থানার শুভদিয়ায় অবস্থিত নানাবাড়ি এলাকা থেকে শিশু সিনথিয়া আহম্মেদ শিফা নিখোঁজ হয়।

এ ঘটনায় ফকিরহাট থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন শিশুটির নানা। বিষয়টি জানতে পেরে র‌্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের একটি দল অভিযানে নামে। এরপর প্রযুক্তি ব্যবহার করে মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ রেল স্টেশন থেকে শিফাকে উদ্ধার করা হয়।

কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার কামরুল ইসলাম বলেন, “উদ্ধারের পর শিশুটিকে তার মায়ের কাছে এবং আটককৃত ওই যুবককে তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক যুবক অপহরণের বিষয়টি স্বীকার করেছে।”

ঢাকা/কাঞ্চন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ

চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।

আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ