আজ পহেলা বৈশাখ। শুরু বঙ্গাব্দ ১৪৩২। স্বাগত বাংলা নববর্ষ। বাঙালির উৎসবের দিন আজ। আনন্দ, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্যের দিন। বাংলা সনকে বরণে রাজধানীজুড়ে নানা আয়োজন করা হয়েছে। ভোরের সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ গানের মাধ্যমে শুরু হয় বৈশাখবন্দনা, নতুন বছরকে বরণ করার আয়োজন।
বিশেষ এই দিনে পিছিয়ে নেই শোবিজ তারকারাও। বৈশাখ উদযাপনে উঠেছেন মেতে, নানা আয়োজনে বরণ করে নিচ্ছেন বাংলা নতুন বছরকে।
কেউ কেউ সকালে বের হয়ে পড়েছেন, কেউ বা ঘরে বসেই টেলিভিশনে দেখছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হয়ে উঠেছে তাদের নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার মুহূর্তগুলো।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক গুচ্ছ ছবি শেয়ার করে জয়া আহসান লিখেছেন, ‘শুভ নববর্ষ ১৪৩২।’
গেল বছরে ছেলে পুণ্যর সঙ্গে শেয়ার করা কিছু ছবি পুনরায় শেয়ার দিয়ে পরীমনি বৈশাখে দিয়েছেন নতুন বার্তা।
এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘কারোর জীবনের আনন্দের কারণ না হও কিন্তু অশান্তির কারণ হইয়ো না। বুকের দীর্ঘশ্বাস বলে কিছু থাকে…’ যেখানে আগের বছরে ছবিগুলোর ক্যাপশন ছিল, ‘আমাদের বৈশাখী সন্ধে বিকেল। নববর্ষ ১৪৩১। আমার বাজান, তোমার সাথে রূপকথার জীবন আমার।
শুকরিয়া।’
মডেল, অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী সাদিয়া ইসলাম মৌ একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘শুভ নববর্ষ!’
রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা লেখেন, ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা। অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা.
আব্দুন নূর সজল তিনটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘শুভ নববর্ষ ১৪৩২।
বছরটা আপনাদের সবার সুন্দর কাটুক।’ একাধিক ছবি শেয়ার করে মেহজাবীন চৌধুরী লেখেন, ‘বৈশাখ’।
পিয়া জান্নাতুল লিখেন, ‘নতুন বছরের শুরু, নতুন আশার আলো। ব্যস্ত জীবনের ফাঁকে একটু থেমে নিজের শেকড়কে ছুঁয়ে দেখা, এটাই আমার নববর্ষ। শুভ নববর্ষ!’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ ভ নববর ষ শ য় র কর নত ন ব
এছাড়াও পড়ুন:
ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।
কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।
এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।
অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।
একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।
যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’