বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে কিছুদিন ধরে সুরেলা আয়োজনে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে শিল্পী, গীতিকবি, সুরকার ও সংগীতায়োজকদের। সেই সুবাদে বৈশাখী আয়োজন হিসেবে প্রকাশ পাচ্ছে তারকা থেকে শুরু করে তরুণ শিল্পীদের নানারকম গান।
শিল্পী আসিফ আকবর আরও একবার পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে গেয়েছেন নতুন একটি দ্বৈত গান। ‘ভীষণরকম ভালোবাসি’ শিরোনামে গানটিতে আসিফের সহশিল্পী হিসেবে কণ্ঠ দিয়েছেন নন্দিত শিল্পী দিলশাদ নাহার কনা। গানের কথা লিখেছেন আহমেদ রিজভী। মনোয়ার হোসেন টুটুলের সুরে গানের সংগীতায়োজন করেছেন সজীব দাস। গানটি প্রকাশ করেছে সাউন্ডটেক। বহু বছর পর ফোক ফিউশন গানের আলোচিত শিল্পী আনুশেহ আলাদিনের নতুন গান শোনার সুযোগ পেয়েছেন শ্রোতারা।
শিল্পী ও সংগীতায়োজক বাপ্পী মাশেকুর রহমানকে নিয়ে গাওয়া তাঁর নতুন গানটির শিরোনাম ‘দুনিয়া সুন্দর’। জি-সিরিজ থেকে প্রকাশিত এই গানের কথা লেখার পাশাপাশি সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন বাপ্পী নিজে।
এদিকে শিল্পী পড়শী তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে নববর্ষ উপলক্ষে প্রকাশ করেছেন ‘প্রেমের পরশ’ নাটকের ‘ঘুম হয়ে যা’ শিরোনামে একটি গান। গানটি সুর করার পাশাপাশি পড়শীর সহশিল্পী হিসেবে প্লেব্যাক আরেফিন রুমি। গানটির কথা লিখেছেন এম এ আলম শুভ। নব্বই দশকে দেশজুড়ে আলোড়ন তোলা কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনী একই সঙ্গে একক এবং তাঁর তিন মেয়েকে নিয়ে যৌথভাবে গাওয়া দুটি গান প্রকাশ করেছেন।
‘এই জামানার মেয়ে’ শিরোনামে একক গানটি প্রকাশ করেছে রঙ্গন মিউজিক। জামাল হেসেনের লেখা এই গানের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন সজীব দাস। অন্যদিকে ডলি নিজ ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেছেন তাঁর তিন মেয়ে কথা, রিমঝিম ও ফাইজাকে নিয়ে গাওয়া নতুন গান ‘পারি না ভুলতে তোকে’। এসকে দীপের লেখা এ গানের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন আকাশ মাহমুদ। সংগীতায়োজক জনি তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেছেন প্রমিথিউস ব্যান্ডের তারকাশিল্পী বিপ্লবের ‘বৈশাখের গান’। এর কথা লেখার পাশাপাশি সুর করেছেন প্রকাশক জনি নিজে।
ধ্রুব মিউজিক স্টেশন প্রকাশ করেছে লুৎফর হাসানের একক গান ‘আকাশ হয়ে যাই’। জাহিদ আকবরের লেখা এই গানের সুর করেছেন শিল্পী লুৎফর হাসান নিজে। সংগীতায়োজন করেছেন তরিক। একই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশ পেয়েছে শিল্পী, গীতিকবি ও সুরকার তরুণ মুন্সীর একক গান ‘নিজেরে বুঝি না’।
এ ছাড়াও প্রকাশ পেয়েছে এই গীতকবি ও সুরকারের কথা-সুরে এমআই মিঠুর গাওয়া একক গান ‘আসতে যদি ফিরে’। শিল্পী সিঁথি সাহা অনলাইনে প্রকাশ করেছেন মাস্টার ডিকে নিয়ে তাঁর যৌথ আয়োজন ‘তোর লাইগা’। সৈয়দ আতিকের লেখা এই গানের কম্পোজিশন করেছেন সুবীর, মাস্টার ডি দেব।
এদিকে এমএস দৌলা নববর্ষ উপলক্ষে প্রকাশ করেছেন নতুন গান ‘অভিযোগ’। গানটির কথা ও সুর শিল্পীর নিজের। সংগীতায়োজন করেছেন মান্নান মোহাম্মদ। অনলাইনে আরও প্রকাশ পেয়েছে সাইদা সম্পার গাওয়া একক গান ‘রেশমী চুড়ি নীল ঘুড়ি’। নন্দিত গীতিকবি গোলাম মোর্শেদের লেখা এই গানের সুর ও সংঘীতায়োজন করেছেন রূপক আখন্দ। এর পাশাপাশি প্রকাশ পেয়েছে সায়রা রেজা ও জাহেদ পারভেজ পাবেলের দ্বৈত আয়োজন ‘মনের কথা কওনা’। এর কথা লেখার পাশাপাশি সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন তানভীর আহমেদ। এর পাশাপাশি পহেলা বৈশাখের আয়োজন হিসেবে প্রকাশ পাচ্ছে আরও কিছু গান; যা শ্রোতাদের প্রত্যাশা পূরণ করবে বলেই সংগীতাঙ্গনের সবার মত।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ল নববর ষ নত ন গ ন এই গ ন র একক গ ন
এছাড়াও পড়ুন:
রমনা বটমূলে বোমা হামলা: হাইকোর্টের রায় ৮ মে
২০০১ সালে রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনায় হাইকোর্টের রায় ৮ মে ঘোষণা করা হবে।
বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের এ দিন ঘোষণা করেন।
এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের ওপর আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষ হয়েছিল। পরে শুনানি শেষে মামলাটি সিএভি (রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ) রাখেন।
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও সরওয়ার আহমেদ প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী।
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালানো হয়। হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান একজন। এ ঘটনায় রাজধানীর নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ ওই দিনই রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।
এরপর ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর দুই মামলায় ১৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুন হত্যা মামলায় রায় দেন ঢাকার বিচারিক আদালত। রায়ে বিচারিক আদালত নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ আটজনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মুফতি আব্দুল হান্নান, মাওলানা আকবর হোসেন, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে মাওলানা হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মাওলানা আবদুল হাই ও মাওলানা শফিকুর রহমান। এর মধ্যে সিলেটে গ্রেনেড হামলার মামলায় মুফতি হান্নানের মৃত্যুদণ্ড ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে।
বিচারিক আদালতের রায় ঘোষণার পর মামলাটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে আসে। একইসঙ্গে জেল আপিল হয়। পরে পেপারবুক প্রস্তুত করে মামলাটি কার্যতালিকায় ওঠে। হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হলেও বিস্ফোরক মামলাটি ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এখনও বিচারাধীন রয়েছে।