পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডির ১৫ বছরের কারাদণ্ড
Published: 16th, April 2025 GMT
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট ওলান্টা হুমালাকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তার স্ত্রী ও পেরুর সাবেক ফার্স্ট লেডি নাদিন হেরেদিয়াকেও ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
অর্থ পাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করার পর দেশটির আদালত তাকে এই কারাদণ্ড দেন। যদিও প্রসিকিউশন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট এবং ফার্স্ট লেডির আরও বেশি শাস্তি দাবি করেছিলেন।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট ওলান্টা হুমালাকে অর্থ পাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং তাকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রাজধানী লিমার একটি আদালত জানিয়েছে, হুমালা ২০০৬ এবং ২০১১ সালে তার নির্বাচনী প্রচারণার জন্য ব্রাজিলিয়ান নির্মাণ সংস্থা ওডেব্রেখ্ট থেকে অবৈধ তহবিল গ্রহণ করেছিলেন।
একই অভিযোগে তার স্ত্রী ও সাবেক ফার্স্ট লেডি নাদিন হেরেদিয়া — যিনি হুমালার সঙ্গে ন্যাশনালিস্ট পার্টির সহ-প্রতিষ্ঠাতাও — তাকেও দোষী সাব্যস্ত করে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
প্রসিকিউশন চেয়েছিল হুমালার ২০ বছর এবং হেরেদিয়ার ২৬.
রায় ঘোষণার সময় ৬২ বছর বয়সী হুমালা আদালতে উপস্থিত ছিলেন, আর তার স্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানিতে অংশ নেন। তবে দুজনেই শুরু থেকেই তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ক্রান্তিকালে বিসিবির প্রস্তুতির অভাব দেখছেন তামিম
জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের নির্ভরতার প্রতীক তামিম ইকবাল মনে করছেন, সাকিব-মুশফিক-রিয়াদদের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার জন্য আগেভাগে প্রস্তুত ছিল না বিসিবি। এই পরিস্থিতিতে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি), টাইগার্স ও ‘এ’ দলের কাঠামোতে আরও বেশি বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘পাঁচজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সরে গেছে, যাদের অভিজ্ঞতা ১৫-১৭ বছরের। তারা হাজারের বেশি ম্যাচ খেলেছে। এই মানের ক্রিকেটারদের বিদায়ে শূন্যতা আসবেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বোর্ড কি এই ক্রান্তিকালের জন্য প্রস্তুত ছিল?’
তামিমের মতে, জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই এখন ৭-১০ বছর ধরে খেলছেন। এই সময়টাতে তাদের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য বিকল্প খেলোয়াড় গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলকে যতটা সম্ভব সুযোগ-সুবিধা দিন, কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে এইচপি, টাইগার্স ও “এ” দলে বেশি ফোকাস করুন। এই জায়গাগুলোতে ভালো বিনিয়োগ না হলে জাতীয় দল সবসময় ধুঁকতেই থাকবে।’
তবে সামগ্রিকভাবে দেশের ক্রিকেট নিয়ে আশাবাদী তামিম। তার ভাষায়, ‘আমরা কখনোই তিন সংস্করণে একসঙ্গে ভালো করিনি। এই দলটাকেও যদি সময় দেওয়া হয়, তারা ঘুরে দাঁড়াবে।’
ভবিষ্যৎ তারকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তামিম বেশ কয়েকজনের নাম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পেস বিভাগে তাসকিন আছে, নতুন নাহিদ রানা ভালো করছে। তাইজুল চমৎকার স্পিনার। হৃদয়, জাকের আলীরাও সম্ভাবনাময়। এদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ বড় তারকা হয়ে উঠতে পারে।’
সবশেষে তিনি বোর্ডের প্রতি ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস দিন, বোঝান– তারা বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছে।’