হার্ম রিডাকশনের প্রথম উদ্যোগে জনস্বাস্থ্য নীতিতে নতুন আহ্বান
Published: 16th, April 2025 GMT
পরিবেশবান্ধব কৃষি, তামাকজনিত ক্ষতি হ্রাস এবং সড়ক নিরাপত্তা—এই তিনটি প্রধান জনস্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ নিয়ে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ হার্ম রিডাকশন ফাউন্ডেশন (বিএইচআরএফ)-এর প্রথম নীতিনির্ধারণী সংবাদ সম্মেলন।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।
সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল: জনস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ক্ষতি হ্রাসে প্রমাণভিত্তিক কৌশল গ্রহণ এবং নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কার্যকর সংলাপ গড়ে তোলা।
অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্যে বিএইচআরএফ-এর প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা.
কৃষি খাতে নিরাপদ ও টেকসই কীটনাশক ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরেন বাংলাদেশ ক্রপ প্রোটেকশন অ্যাসোসিয়েশনের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার দেবাশীষ চ্যাটার্জি। তিনি বলেন, “অসুরক্ষিত কীটনাশক ব্যবহার এখনো কৃষক ও পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে প্রশিক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।”
সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে বক্তব্য দেন রোড সেফটি অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনা এখনও বাংলাদেশের জন্য একটি বড় জনস্বাস্থ্য সংকট। নিরাপদ সড়ক, দক্ষ চালক এবং ট্রাফিক আইন বাস্তবায়নের বিষয়গুলো সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।”
আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. ডেলন হিউম্যান তামাক নিয়ন্ত্রণে বিকল্প পন্থার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ কৌশলের পাশাপাশি নিকোটিনের নিরাপদ বিকল্প বিবেচনায় নেওয়া দরকার। এ ধরনের কৌশল প্রথাগত নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি কার্যকর হতে পারে।”
সম্মেলনের শেষ অংশে সাংবাদিকদের জন্য একটি প্রশ্নোত্তর পর্ব আয়োজন করা হয়। সেখানে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে বিএইচআরএফ-এর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
ঢাকা/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জনস ব স থ য র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি