সাভারের আশুলিয়ায় একটি যাত্রীবাহী লেগুনা সড়কের পাশের ড্রেনে পড়ে দুই পোশাক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। বুধবার রাতে বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কের জামগড়া ফ্যান্টাসি কিংডমের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন এনভয় গার্মেন্টের সুপারভাইজার বদরুল আলম গাজী ওরফে হাবিব এবং ইউনিমাস ক্যাপ ফ্যাক্টরির সিনিয়র অপারেটর হৃদয় মিয়া। আহতদের উদ্ধার করে আশুলিয়ার নারী ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালের তথ্যমতে, দুর্ঘটনার পর আহত অবস্থায় চারজনকে হাসপাতালে আনা হলে দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার বিকেলের বৃষ্টিতে সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি জমে গিয়েছিল। এ অবস্থায় রাত ৮টার দিকে ৮-১০ জন যাত্রী নিয়ে একটি লেগুনা বাইপাইলের দিকে যাচ্ছিল। জামগড়া ফ্যান্টাসি কিংডমের সামনে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লেগুনাটি রাস্তার পাশের ড্রেনে পড়ে যায়। এতে কয়েকজন যাত্রী গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে চিকিৎসকরা দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন জানান, দুর্ঘটনার তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, খোলা ড্রেন ও রাস্তার ওপর জমে থাকা পানির কারণেই চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

কুলিয়ারচরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, ৩০ যাত্রী আহত

কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কে যাত্রীবাহী একটি বাস খাদে পড়ে ৩০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মহাসড়কের আগরপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রাইম পরিবহন নামের একটি বাস ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে শেরপুর থেকে সিলেট যাচ্ছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাত ১টার দিকে বাসটি মহাসড়কের আগরপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে পূর্ব জগৎচর নামক স্থানে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে খাদে পড়ে যায়।

দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে রাতে ৯ জনকে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

আহতদের বরাত দিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একজন নার্স জানান, যাত্রীদের মধ্যে কয়েকজন শেরপুর থেকে আসেন। তারা প্রয়োজনীয় উপকরণসহ ছাগল নিয়ে সিলেট মাজারে যাচ্ছিলেন।

হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে হারিছ মিয়া (৫৫) নামে এক যাত্রী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার স্বজন ফজর আলী (৫০) বলেন, তিনি কিশোরগঞ্জের যশোদল গ্রামে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। রাতে তিনি কিশোরগঞ্জ থেকে বাসে উঠেন। সুনামগঞ্জের বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। বাকিরা আজ সকালে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।

এ ব্যাপারে ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহাবুর রহমান বলেন, রাতে দুর্ঘটনার পর আমরা ঘটনাস্থলে এসে যাত্রী ও তাদের মালামাল উদ্ধার করি এবং বুঝিয়ে দেই। কম বেশি সব যাত্রীই আহত হয়েছেন বলে তিনি জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নরসিংদীতে তিন গাড়ির সংঘর্ষ, নিহত ১
  • চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালে কেউ নিচ্ছেন চিকিৎসা, কেউ করাচ্ছেন পরীক্ষা
  • ১৭ দিন পর কাটলো অচলাবস্থা, চক্ষু হাসপাতালে সেবা চালু
  • ১৭ দিন পর কাটলো অচলাবস্থা, চক্ষু হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু
  • রাজধানীতে ছিনতাইকারীর ছুরিতে দু’জন আহত
  • কুলিয়ারচরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, ৩০ যাত্রী আহত
  • আহমেদাবাদে দুর্ঘটনাস্থলে নরেন্দ্র মোদী, আহতদের দেখতে গেলেন হাসপাতালে