ফতুল্লায় ঈদের দিন যুবককে গুলি করে হত্যার মূল আসামি গ্রেপ্তার
Published: 19th, April 2025 GMT
ফতুল্লায় ঈদের দিন ফতুল্লায় পাভেল (৩৭) নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনার মূল আসামি মায়সার আহমেদ বাবু (২৯) কে বরিশাল থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃত মায়সার আহমেদ বাবু জেলার ফতুল্লা থানার কাশীপুর মধ্যমপাড়া এলাকার মৃত ফিরোজ আহমেদ মতিন এর ছেলে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) র্যাব-১১ এর অপস্ অফিসার মো.
গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে তাকে ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরআগে এ মামলার অপর এক আসমি জুবায়ের আহমেদ (২৮) কে ও গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জানাগেছে, গত ৩১ মার্চ, ঈদুল ফিতরের আগের দিন ফতুল্লা থানার কাশিপুর মধ্যপাড়া এলাকায় হাসমত উল্লাহর ছেলে পাভেল ও পাশের বাড়ির মায়সার আহমেদ বাবুর মধ্যে মাদক কেনাবেচার টাকার লেনদেন নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
এর জেরে ঈদের দিন ভোরে মায়সার আহমেদ বাবু ও তার সহযোগীরা পাভেলের বুকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় পাভেলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের মা নূরী বেগম বাদী হয়ে মায়সার আহমেদ বাবুসহ পাঁচজনকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মায়সার আহমেদ এ মামলার এজাহারভুক্ত এক নম্বর আসামি।
মামলার পরপরই আসামিদের গ্রেপ্তারে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মায়সার আহমেদ ও জুবায়েরকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বাবু এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পাভেলের সঙ্গে তার পূর্বপরিচয় ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, মাদকের টাকা লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হত য ন র য়ণগঞ জ গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
কক্সবাজারে বাসের সঙ্গে কাভার্ড ভ্যানের সংঘর্ষ, বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩
কক্সবাজারের রামু উপজেলার রশিদনগর এলাকায় যাত্রীবাহী একটি বাসের সঙ্গে কাভার্ড ভ্যানের সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন। আজ সোমবার সকাল আটটার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ পাতলী গ্রামের হাবিব উল্লাহ (৫৫), তাঁর ৯ বছর বয়সী ছেলে মোহাম্মদ এবং রামুর পূর্ব রাজারকূল গ্রামের বাসিন্দা রিমঝিম বড়ুয়া (৪৩)। তাঁরা বাসের যাত্রী ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি পূরবী পরিবহনের। সেটি কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছিল কাভার্ড ভ্যানটি। দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৈয়বুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, লাশগুলো কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। গাড়ি দুটি জব্দ করেছে পুলিশ।
রামু ক্রসিং হাইওয়ে থানার ওসি মো. নাসির উদ্দিন বলেন, মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসটি মহাসড়কের পাশে উল্টে পড়ে। ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। আহত ১০ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মুখোমুখি সংঘর্ষে মহাসড়কের পাশে উল্টে পড়ে যাত্রীবাহী বাসটি