সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে একটি মিষ্টির দোকান থেকে রাজীব সরকার (৩২) নামের এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কয়েক দিন ধরে দোকানটি বন্ধ ছিল। সেখান থেকে গতকাল রোববার রাতে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করলে বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

নিহত রাজীব সরকার নেত্রকোনার খালিয়াজুরি উপজেলার জয়কৃষ্ণ সরকারের ছেলে। তিনি জাফলংয়ে মামার বাজার এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মিষ্টির দোকান চালাতেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত একটার দিকে মামার বাজারের ওই দোকান থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। স্থানীয় এক ব্যক্তি দোকানমালিকের খোঁজ নিতে গিয়ে দোকানটির শাটার আংশিক খোলা অবস্থায় দেখতে পান। শাটার পুরোটা তোলার পর ভেতরে ঢুকে দেখতে পান, রাজীব সরকারের মরদেহ পড়ে আছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, রাজীবের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল এবং এটি আংশিক পচে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক দিন আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মরদেহটি অর্ধগলিত হওয়ায় প্রাথমিক সুরতহালে মৃত্যুর কারণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। রাজীব সরকারের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

এদিকে সোমবার সকালে গোয়াইনঘাটে সড়কের পাশের বিল থেকে আরও একটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওসি তোফায়েল আহমেদ বলেন, নিহত ব্যক্তির আনুমানিক বয়স ৫০ বছর। সকাল সাতটার দিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজসংলগ্ন এলাকার একটি বিল থেকে লাশটি ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

তোফায়েল আহমেদ আরও জানান, স্থানীয় লোকজন ওই ব্যক্তিকে ভবঘুরে হিসেবে এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখেছেন। তাঁর পরিচয় নিশ্চিত করতে তদন্ত চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জ ব সরক র গ য় ইনঘ ট মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।

ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।

অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।

ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ