ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম।

তিনি বলেছন, “প্রযুক্তি ও জ্ঞাননির্ভরতার যুগে নিজের দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব বৃদ্ধির অন্যতম উপায় হচ্ছে প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই নিজেকে যুগোপযোগী হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। হাতে-কলমে শেখার অনন্য পথ হলো প্রশিক্ষণ। বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে হলে সবাইকে নিয়ম, সময় এবং দায়িত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।”

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সিকৃবির ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) উদ্যোগে আয়োজিত দিনব্যাপী ‘অডিটিং অ্যান্ড টেক্সেশান’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি ।

তিনি বলেন, “সঠিক প্রশিক্ষণ একজন ব্যক্তিকে শুধু দক্ষই করে না, বরং তার দৃষ্টিভঙ্গিও প্রসারিত করে। তাই পেশাদারিত্বের জায়গা থেকে প্রত্যেককে নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই।”

আইকিউএসি’র ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ড.

মো. রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে এবং অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামিউল আহসান তালুকদারের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিকৃবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এটিএম মাহবুব-ই-ইলাহী। ।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, সিলেট কর অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার সৈয়দ ফাহাদ আল করিম এবং বিভাগীয় নিরীক্ষা ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবুল ফাতে মো. রফিকুল ইসলাম।

দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে সিকৃবির বিভিন্ন অনুষদ ও দপ্তরের অন্তত ৮০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীরা কর ব্যবস্থাপনা ও অডিট সংক্রান্ত নানা গুরুত্বপূর্ণ দিক সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করেন।

ঢাকা/আইনুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকসু নির্বাচনের জন্য ১০ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের জন্য ১০ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনকে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা করা হয়েছে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়।

প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তাকে সাহায্য করতে ৯ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক এ এস এম মহিউদ্দিন, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোস্তাক গাউসুল হক, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নাসরিন সুলতানা, ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক মো. শহিদুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তারিক মনজুর, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক এস এম শামীম রেজা এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক শারমীন কবীর।

রিটার্নিং কর্মকর্তারা উপাচার্যের সঙ্গে পরামর্শ করে নির্বাচন পরিচালনার পরবর্তী কার্যক্রম নির্ধারণ করবেন ও নির্বাচনপ্রক্রিয়া এগিয়ে নেবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সদস্য পদ, ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটার ও প্রার্থী হতে হলে শিক্ষার্থীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণকালীন শিক্ষার্থী হতে হবে। এ জন্য শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়ে স্নাতক, মাস্টার্স বা এম ফিল প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত এবং কোনো আবাসিক হলে অবস্থানরত বা সংযুক্ত হতে হবে।

সন্ধ্যাকালীন কোর্স, পেশাদার বা এক্সিকিউটিভ মাস্টার্স, ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট ও ভাষা কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ভোটার বা প্রার্থী হওয়ার যোগ্য হবেন না। একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ও সংযুক্ত কলেজ/ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরাও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

ডাকসুতে নতুন ৪ পদ

হালনাগাদ করা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ছাত্র সংসদ নির্বাচনে নতুন করে তিনটি সম্পাদকীয় পদ সংযোজন করা হয়েছে। সেগুলো হলো গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এবং মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক।

নির্বাচন পরিচালনার কাঠামো

প্রতিটি আবাসিক হলে অথবা ক্যাম্পাসের ভেতরে উপযুক্ত কোনো স্থানে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। সংশ্লিষ্ট হলে সংযুক্ত শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত বুথে ভোট দেবেন।

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর তিন কর্মদিবসের মধ্যে কেউ আপত্তি জানালে তা উপাচার্যের কাছে দাখিল করা যাবে এবং এ বিষয়ে তাঁর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

আরও পড়ুনডাকসু নির্বাচনের কমিশন ও তফসিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি১৫ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ