দিনাজপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২০০ বস্তা চাল জব্দ
Published: 27th, April 2025 GMT
দিনাজপুরের হাকিমপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২০০ বস্তা চাল জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিত রায় এ অভিযান পরিচালনা করেন।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে উপজেলার ৩ নম্বর আলীহাট ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে এসব চাল জব্দ করা হয়।
ইউএনও বলেন, ‘‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মজুদ করে রাখা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২০০ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হবে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ঢাকা/মোসলেম/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
৬ মাস ধরে খোলা আকাশের নিচে ৩১টি পরিবার
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার খেজুরবাড়ী আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে উচ্ছেদ হওয়ায় ৩১টি পরিবার ছয় মাস ধরে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। বৈধ দলিল ছাড়া বসবাসের অভিযোগে গত বছর আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে তাদের উচ্ছেদ করা হয়।
গত ৩১ ডিসেম্বর ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বায়েজিদুর রহমান সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের খেজুরবাড়ী আবাসনে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পূর্ব ঘোষণা বা লিখিত নোটিশ ছাড়া তাদের ঘর থেকে বের করে দিয়ে তালা লাগিয়ে দেয় উপজেলা প্রশাসন। কোথাও ঠাঁই না পাওয়ায় গত ছয় মাস তারা আশ্রয়ণের তালাবদ্ধ ঘরের সামনে পলি-খড় দিয়ে বেড়া দিয়ে অস্থায়ীভাবে থাকছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উচ্ছেদের পর এখন পর্যন্ত কোনো খোঁজখবর নেওয়া হয়নি।
ভুক্তভোগীরা আরও জানান, উচ্ছেদের সময় ইউএনও তাদের জানিয়েছিলেন, যাদের কাছে বৈধ দলিল নেই, কিন্তু যাওয়ারও কোনো জায়গা নেই, তাদেরকে তদন্ত করে দ্রুত পুনর্বাসনের আওতায় আনা হবে। আর যাদের অন্যত্র জমি বা ঘর আছে, তারা পুনর্বাসনের যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন না। তবে সেই কথা আর বাস্তবে প্রতিফলিত হয়নি। অবিলম্বে স্থায়ী পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উচ্ছেদের শিকার কিছু পরিবার সেখানে এক যুগের বেশি সময় ধরে বসবাস করছে। তখন হতদরিদ্র এসব পরিবারের বাড়িঘর সন্ধ্যা নদীতে বিলীন হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় খেজুরবাড়ী আশ্রয়ণে কিছু ঘর খালি থাকায় তৎকালীন ইউএনও ও ইউপি চেয়ারম্যান তাদের সেখানে থাকতে দেন।
ইউএনও বায়েজিদুর রহমান জানান, আবাসনের ওই ৩১টি পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বৈধ দলিল ছাড়াই সরকারি ঘরগুলো দখল করে বসবাস করেছে। তারা যে মালিকানা দাবি করে দলিল দেখাচ্ছে, তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। এর আগেও তাদের একাধিকবার ঘর ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তারা তা মানেনি। উপজেলা প্রশাসন বাধ্য হয়ে সরকারি ঘর থেকে তাদের উচ্ছেদ করে।