বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র করে রোববার গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ পাওয়ার পর এই গেজেটে প্রকাশ করা হয়েছে। নতুন মেয়রের শপথ আয়োজনের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে গেজেটে এর কপি পাঠানো হবে।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র আওয়ামী লীগের ফজলে নূর তাপস নৌকা প্রতীকে পেয়েছিলেন সোয়া চার লাখ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ইশরাক ধানের শীষ প্রতীকে পান ২ লাখ ৩৬ হাজার ভোট। ওই নির্বাচনে ব্যাপক জালজালিয়াতির অভিযোগ ছিল। এ  অভিযোগে  ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেছিলেন ইশরাক।

২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো.

নুরুল ইসলাম।

ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকার আইনে পরিবর্তন এনে, সব সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং কাউন্সিলরদের অপসারণ করে। তবে মেয়র তাপস আগেই দেশ ছেড়ে পালান। 

২০২০ সালের ২১ মে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রথম সভা হয়। আগামী ২০ মে করপোরেশনের পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হবে। আইনের ২৫(১) ধারা অনুযায়ী, মেয়াদ শেষে নির্বাচন না হলে সরকার প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে। 

আদালতের রায়ের পর ইশরাক আগে জানিয়ে ছিলেন, শপথ নেবেন কী না তা দলীয় সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। এর আগে  আদালতের রায়ে গত ৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম সিটির মেয়র হয়েছেন বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেন। যদিও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়াদ রয়েছে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত। 

সিটির মেয়রদের শপথ পাঠ করান সরকার প্রধান। এ হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস শপথ দেবেন ইশরাককে। তবে কবে এই শপথ হবে- তা নিশ্চিত নয়। শপথ নিলেও আগামী ২০ মে করপোরেশনের মেয়াদ পূর্তির পর, তিনি মেয়র থাকতে পারবেন কী না- তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইশর ক হ স ন ব এনপ ২০২০ স ল র ইশর ক সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতীয় উড়োজাহাজের ভয়াবহ ১০টি দুর্ঘটনা

কোঝিকোড় দুর্ঘটনা (২০২০)

২০২০ সালের ৭ আগস্ট এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একটি ফ্লাইট কেরালার কোঝিকোড় বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বৃষ্টিভেজা রানওয়েতে ছিটকে পড়ে এবং দুই ভাগ হয়ে যায়। এতে ২০জন নিহত হন, আহত হন বহু যাত্রী। খারাপ আবহাওয়া, কম দৃশ্যমানতা এবং টেবলটপ রানওয়ে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ছিল।

ম্যাঙ্গালুরু দুর্ঘটনা (২০১০)

২০১০ সালের ২২ মে দুবাই থেকে আসা এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ফ্লাইট ৮১২ ম্যাঙ্গালুরুতে অবতরণের সময় রানওয়ে ছাড়িয়ে একটি খাদে পড়ে যায়। বিমানে থাকা ১৬৬ জনের মধ্যে ১৫৮ জন নিহত হন। রানওয়েটি ‘টেবলটপ’ হওয়ায় দুর্ঘটনার মাত্রা ভয়াবহ হয়। টেবলটপ রানওয়ে হলো এমন একটি বিমানবন্দর রানওয়ে, যা একটি পাহাড় বা উঁচু মালভূমির ওপর অবস্থিত এবং চারপাশে গভীর খাদ বা ঢাল থাকে।

পাটনা দুর্ঘটনা (২০০০)

২০০০ সালের ১৭ জুলাই কলকাতা থেকে দিল্লিগামী অ্যালায়েন্স এয়ারের একটি ফ্লাইট পাটনার একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানের ৫৫ যাত্রী ও ভূমিতে থাকা ৫ জনসহ মোট ৬০ জন নিহত হন। অবতরণের সময় পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত একজনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ১২ জুন, ভারত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সরকারি হিসাবের চেয়ে করোনায় মৃত্যু ছিল বেশি
  • কুষ্টিয়ায় করোনা শনাক্তের পিসিআর ল্যাবে চুরি, খোয়া গেছে ৪০ লাখ টাকার যন্ত্রাংশ
  • কুষ্টিয়ার একমাত্র পিসিআর ল্যাবের সব যন্ত্রাংশ চুরি
  • ভারতীয় উড়োজাহাজের ভয়াবহ ১০টি দুর্ঘটনা