কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৩৭ কিলোমিটারজুড়ে যানজট
Published: 30th, April 2025 GMT
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার বলদাখাল থেকে বুড়িচং উপজেলার নিমশা পর্যন্ত প্রায় ৩৭ কিলোমিটারজুড়ে থেমে থেমে যানজট দেখা দিয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থেকে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চালক ও যাত্রীরা।
আজ বুধবার ভোর পাঁচটার দিকে চান্দিনার নূরতলা এলাকায় চট্টগ্রামগামী একটি লরি ও একটি ট্রাক এবং ঢাকাগামী একটি কাভার্ড ভ্যান ও একটি ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে প্রায় এক ঘণ্টা মহাসড়কের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। এতে প্রায় ৩৭ কিলোমিটার যারজটের সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানা-পুলিশ রেকার এনে দুর্ঘটনাকবলিত যানগুলো দ্রুত সরিয়ে নিলে পুনরায় চলাচল শুরু হয়। তবে যান চলাচল শুরুর পর কিছু চালক উল্টো পথে গাড়ি চালাতে থাকেন, এতে যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। সংবাদটি লেখার সময় ( দুপুর ১২ টা) পর্যন্ত ধীরগতিতে চলছিল যানবাহন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি অংশে মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল প্লাজা দিয়ে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, চাঁদপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার মানুষ ঢাকায় যান। একসঙ্গে অসংখ্য যানবাহন পারাপারের কারণে টোল প্লাজায় যানজট তৈরি হয়।
সকাল সাড়ে ৯টায় দাউদকান্দির স্বল্পপেন্নাই এলাকায় কুমিল্লা থেকে ঢাকাগামী তিশা পরিবহনের বাসচালক খোরশেদ আলম বলেন, ‘সকাল ৬টা ২০ মিনিটে কুমিল্লা বিশ্বরোড থেকে রওনা দিই। নিমশা এলাকায় এসে যানজটে পড়ি। এক ঘণ্টার পথ তিন ঘণ্টায় অতিক্রম করতে হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী কাভার্ড ভ্যানচালক ওবায়দুল হক ও দাউদকান্দিগামী পাপিয়া পরিবহনের চালক সামসুল আলমও একই অভিজ্ঞতার কথা জানান।’
ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হাইওয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে সাংবাদিক পরিচয়ে হোটেল কক্ষে তল্লাশি, সমালোচনা
চট্টগ্রামে সাংবাদিক পরিচয়ে আবাসিক হোটেলে তল্লাশি ও অতিথিদের জেরা করেছেন এক ব্যক্তি। গত শনিবার দুপুরে হান্নান রহিম তালুকদার নামে এক ব্যক্তি ফেসবুকে একটি ভিডিও আপলোড করেন। এরপর সাংবাদিক পরিচয়ে এমন তল্লাশি চালানো নিয়ে প্রশ্ন তুলেন নেটিজেনরা। তা নিয়ে চলে সমালোচনা। হান্নান রহিম তালুকদার তার ফেসবুক ওয়ালে আপলোড করা পোস্টারে নিজেকে দৈনিক চট্টগ্রাম সংবাদের সম্পাদক, সিএসটিভি২৪ চ্যানেলের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য পরিচয় দিয়েছেন। আরেকটি পোস্টারে তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব প্রার্থী ও তারেক রহমান রাজনৈতিক দর্শন চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্রের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক।
ভিডিওতে দেখা গেছে, তিনি নগরের বহদ্দারহাট পপুলার গেস্ট হাউজে ভিডিও ক্যামেরা নিয়ে ঢুকেন। রিসিপশনে গিয়ে অতিথি কারা কারা আছেন হোটেলের রেজিস্টার দেখে যাচাই করেন। এরপর বিভিন্ন হোটেলের কক্ষে কক্ষে গিয়ে অবস্থানরত অতিথিদের নানা প্রশ্ন করে জেরা করেন। হোটেলে কেন অবস্থান করছেন? চট্টগ্রামে কেন এসেছেন? স্বামী-স্ত্রীর প্রমাণ আছেন কিনা? ১৫ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে এসব প্রশ্ন করতে দেখা যায়।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সবুর শুভ বলেন, হান্নান রহিম নামে সাংবাদিক ইউনিয়নের কোনো সদস্য নেই। সাংবাদিক পরিচয়ে অনেকে নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড করছেন। এটি তারই অংশ। সাংবাদিক কখনো কোনো হোটেলে তল্লাশি চালাতে পারেন না। এটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ। সাংবাদিকতার নামে যারা অপ-সাংবাদিকতা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।'
জানতে চাইলে চান্দগাঁও থানার ওসি আফতাব উদ্দিন বলেন, এভাবে আবাসিক হোটেলের কক্ষে কক্ষে গিয়ে তল্লাশি চালাতে পারেন না কোনো সাংবাদিক। কোনো গেস্ট হাউস কিংবা হোটেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। ভিডিওটি দেখার পর হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে মামলা দিতে বলেছি। কিন্তু তারা মামলা দিতে আসছে না। তারা না এলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।