মিরাজের তৃতীয় শিকার, ৬ উইকেট নেই জিম্বাবুয়ের
Published: 30th, April 2025 GMT
নিজের আগের ওভারে জোড়া শিকারের পর পরের ওভারে আরেকটি উইকেট নিলেন মিরাজ। এবার ফিরিয়েছেন নতুন ব্যাটার টিসিগাকে। তাতে ৩ উইকেটে ৬৯ থেকে ৬ বলের মধ্যে ৭৩/৬ হয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুইয়ানরা পিছিয়ে ১৪৪ রানে। ৩১.৪ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের রান ৭৩।
মিরাজের জোড়া আঘাত, ৫ উইকেট নেই জিম্বাবুয়ের
৩০তম ওভারে জিম্বাবুয়ের শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন মিরাজ। ওভারের প্রথম বলে আরভিনের (২৫) পর শেষ বলে মাধেভেরেকে (০) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন টাইগার এই স্পিনার। তাতে ৩ উইকেটে ৬৯ থেকে ৬ বলের মধ্যে ৬৯/৫ হয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুইয়ানরা পিছিয়ে ১৪৮ রানে। ৩০ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের রান ৬৯। কারেন ৩১ ও নতুন ব্যাটার টিসিগা।
শান্তর ক্যাচ মিসে নতুন জীবন আরভিনের
মিরাজের বল ঠেকাতে চেয়েছিলেন ক্রেইগ আরভিন। কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় স্লিপে দাঁড়ানো নাজমুল হোসেন শান্তর দিকে। কিন্তু সেটি কাজে লাগাতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। আরভিনের রান তখন ১৬। ২৪ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের রান ৬৪। কারেন ২৯ ও আরভিন আছেন ২৩ রানে। জিম্বাবুয়ে পিছিয়ে আছে ১৫৩ রানে।
উইলিয়ামসকে ফেরালেন নাঈম
চা বিরতির পর নেমে ২২ রানে তৃতীয় উইকেট হারাল জিম্বাবুয়ে। নাঈম হাসানের বলে সাদমানের দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরেন উইলিয়ামস (৭)। এখনো বাংলাদেশের চেয়ে ১৯৫ রানে পিছিয়ে জিম্বাবুয়ে। ৩ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ের রান ২২। কারেনের নতুন সঙ্গী আরভিন।
তিন বলের ব্যবধানে দুই উইকেট তাইজুলের
লিডের পাহাড়ে চাপা পড়েছে জিম্বাবুয়ে। ৪৪৪ অলআউট হয়ে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ২১৭ রানের লিড নেয়। এরই মধ্যে সপ্তম ওভারে তিন বলের ব্যবধানে জিম্বাবুয়ের দুই উইকেট শিকার করেন তাইজুল। প্রথমে বেনেটকে সাদমানের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান।
এরপর ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে আসেন নিক ওয়েলচ। এক বল পরই তাকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন আউট করলেন তাইজুল। মাঠের আম্পায়ার আউট না দিলেও রিভিউ নিয়ে এই লঙ্কানের সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। ৮ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০ রান। ২৩ বলে ২ রানে বেন কারেন ও ৭ বলে ২ রানে আছেন উইলিয়ামস। জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে থেমেছিল ২২৭ রানে।
মিরাজের আউটে বাংলাদেশের লিড ২১৭
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিগ-বির মাধ্যমে জাপানের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ
এক দশক আগে বঙ্গোপসাগর ঘিরে বাংলাদেশের জন্য বিগ-বি নামে পরিচিত বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট গ্রহণ করেছিল জাপান। বঙ্গোপসাগরীয় শিল্প প্রবৃদ্ধির ওই উদ্যোগে রয়েছে মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর, বিদ্যুৎ প্রকল্প আর আধুনিক পরিবহনব্যবস্থার বিকাশ। মে মাসের শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের জাপান সফরে বিগ–বির মাধ্যমে সহযোগিতা জোরদারের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। তাঁর জাপান সফরের আগে টোকিওতে ১৫ মে অনুষ্ঠেয় দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকেও বিষয়টিতে প্রাধান্য দেবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের ষষ্ঠ বৈঠকের প্রস্তুতি হিসেবে বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে জাপানের আলোচনায় কোন কোন বিষয়গুলোতে বাংলাদেশের অগ্রাধিকার থাকবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
১৫ মে টোকিওতে দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিবদের বৈঠকে জসীম উদ্দিন বাংলাদেশের এবং জাপানের জ্যেষ্ঠ উপমন্ত্রী আকাহোরি তাকেশি তাঁর দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে কোন কোন বিষয়গুলো ১৫ মের আলোচনায় প্রাধান্য পেতে পাবে, তা নিয়ে মতামত নেওয়া হয়। পররাষ্ট্রসচিবদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার আসন্ন সফরসহ সচিব পর্যায়ের সফর নিয়ে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বিগ–বিতে সহযোগিতা জোরদারের পাশাপাশি ব্যবসা, বিনিয়োগ, নবায়নযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ খাতভিত্তিক সহযোগিতা জোরদারের ওপর অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়।
জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার নানা বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার আসন্ন সফর নিয়ে আলোচনা হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, টোকিওতে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকটি দুই ভাগে বিভক্ত থাকবে। প্রথম ভাগে থাকবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নানা বিষয়। আর দ্বিতীয় ভাগে থাকবে আঞ্চলিক ভূরাজনীতি ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি।
আঞ্চলিক বিষয়াদিতে জাপানের বিগ–বি নিয়ে আলোচনা হবে। এ সময় ঢাকার পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্কের বাস্তবতা তুলে ধরা হবে। সেই সঙ্গে এ প্রকল্প সামনে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়টিও বলা হবে। পরে ভারত যদি এর সঙ্গে যুক্ত হতে চায়, তবে তার ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হবে।
বিগ–বির সঙ্গে ২০২৩ সালে ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলকে যুক্ত করে জাপান। কিন্তু ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে চরম টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্ক। এমন এক প্রেক্ষাপটে বিগ–বিকে বিশেষ করে সংযুক্তিকে বাংলাদেশের পরিমণ্ডলে নেওয়ার পরিকল্পনায় আপাতত একটা ধাক্কা এসেছে। এ নিয়ে জাপান নানাভাবে নিজেদের অস্বস্তির বিষয়টি বাংলাদেশকে জানিয়েছে। বিগ–বি জাপানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের অগ্রাধিকার প্রস্তাব হওয়ায় এটিতে বিশেষ গুরুত্ব আছে টোকিওর। তাই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে আগ্রহী জাপান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক এবং প্রধান উপদেষ্টার টোকিও সফরে জাপান প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিবিড় করার বিষয়ে গুরুত্ব দিতে পারে। বিশেষ করে বাংলাদেশের কাছ থেকে সমরাস্ত্র বিক্রির ওপর কয়েক বছর ধরে আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে জাপান।
বাংলাদেশকে ২০২৩ সালে জাপানের সরকারি নিরাপত্তা সহায়তায় (ওএসএ) যুক্ত করা হয়েছে। মূলত জাপান নিজের ঘনিষ্ঠ মিত্রদের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে এই কাঠামো তৈরি করেছে। ওএসএর মাধ্যমে জাপান বন্ধুরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও গভীর করার এবং ওই দেশের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা দিয়ে থাকে। ওএসএর মাধ্যমে জাপান একটি দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে ঋণের পরিবর্তে অনুদান দিয়ে থাকে।