গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার ঢোলভাঙ্গা এলাকায় গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই মোটরসাইকেলের আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের সাদা মিয়ার ছেলে শ্রাবণ মিয়া (২৪) এবং একই ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের আরিফ মণ্ডলের ছেলে কৌশিক মিয়া (২৩)। আহত দুজন হলেন শ্যামপুর গ্রামের রাজু মিয়ার ছেলে রিফাত মিয়া (২২) ও বিষ্ণুপুর গ্রামের এনামুল হকের ছেলে তৌহিদ মিয়া (২৩)। তাঁদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলফিকার আলী প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ও আহত চারজন একই মোটরসাইকেলে করে ঢোলভাঙ্গা বাজার থেকে পলাশবাড়ী সদরের দিকে যাচ্ছিলেন। রাত ১১টার দিকে তাঁরা ঢোলভাঙ্গা এলাকায় সড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময় গাইবান্ধা থেকে আসা একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে শ্রাবণ ও কৌশিক ঘটনাস্থলেই মারা যান। দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের লাশ থানায় রাখা হয়েছে। ট্রাকটি শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

২০ বছর পর সাংবাদিক মানিক সাহা হত্যা মামলার আসামির আত্মসমর্পণ

দীর্ঘ ২০ বছর পলাতক থাকার পর খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুস সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার আত্মসমর্পণ করেছেন। সোমবার খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইমাম জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।

ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জিল্লুর রহমান খান সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা নুর মোহাম্মাদ ওরফে নুরুর ছেলে। হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তিনি পলাতক ছিলেন। 

জানা যায়, ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি খুলনা প্রেসক্লাব অদূরে সন্ত্রাসীদের বোমার আঘাতে খুন হন সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা।

ট্রাইব্যুনালের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী মাজাহারুল ইসলাম জানান, সোমবার দুপুরের পর আদালতে উপস্থিত হন ডিসকো সাত্তার। ওকালত নামায় তিনি উল্লেখ করেন, জীবন এবং জীবিকার তাগিদে খুলনার বাইরে থাকায় মামলার রায় প্রচারের সময়ে আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। তিনি রায়ের বিষয়টি অবগত ছিলেন না।

ট্রাইব্যুনাল থেকে জানা গেছে, সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা হত্যার দু’দিন পর ২০০৪ সালের ১৭ জানুয়ারি খুলনা সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) রণজিৎ কুমার দাস বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা সদর থানার তৎকালীন ওসি মোশাররফ হোসেন ২০০৪ সালের ২০ জুন হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিট দাখিলের পর থেকে ডিসকো সাত্তার পলাতক ছিলেন।

দীর্ঘ এক যুগ পর বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ করে ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর আদালত মানিক চন্দ্র সাহা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। মামলায় ৯ জন আসামিকে দোষী সাবস্ত করে যাবজ্জীবন কারদণ্ড প্রদান করেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- সুমন ওরফে নুরুজ্জামান, বুলবুল ওরফে বুলু, আকরাম হোসেন ওরফে আকরাম ওরফে বোমরু আকরাম ওরফে বোমা আকরাম ওরফে ফাটা, আলী আকবর সিকদার ওরফে শাওন, ছাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার, বেল্লাল, মিঠুন ওরফে মিটুল, সাকা ওরফে শওকাত হোসেন, সরো ওরফে সরোয়ার হোসেন।

মামলায় দু’জন খালাস পেয়েছিলেন। তারা হলেন হাই ইসলাম ও কচি ওরফে ওমর ফারুক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ