লিভারপুল সমর্থকেরা অ্যানফিল্ডে প্রিমিয়ার লিগ জয় উদ্‌যাপন করতে এমনই উত্তেজনায় ফেটে পড়েছিলেন যে, সেই উল্লাসে ভূকম্পন সৃষ্টি হয়েছিল। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। লিভারপুল সমর্থকদের ভূকম্পন সৃষ্টির এই খবরটি দিয়েছে গবেষকেরা, যাঁরা ম্যাচের সময় অ্যানফিল্ডে উপস্থিত থেকে মাটির কম্পন রেকর্ড করেছেন।

রোববার অ্যানফিল্ডে টটেনহাম হটস্পারকে ৫–১ গোলে হারিয়ে ২০২৪–২৫ মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা নিশ্চিত করে লিভারপুল। সেদিন লিভারপুলের শিরোপা জয়ের মুহূর্ত দেখতে অ্যানফিল্ড গ্যালারিতে ছিলেন ৬০ হাজার ৪১৫ জন দর্শক। ম্যাচে লিভারপুলের একেকটি গোলে সমর্থকদের উচ্ছ্বাস অ্যানফিল্ডে কম্পন সৃষ্টি করে বলে জানিয়েছেন লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ, ওশান অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের একদল গবেষক ভূমিকম্প নির্ণয়ের সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে মাঠে উপস্থিত ছিলেন। গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, চিলি ও ইতালির মতো ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির সাহায্যে গবেষকেরা ম্যাচের বিভিন্ন মুহূর্তে মাঠের ভূমির নড়াচড়া পরিমাপ করেন। এতে দেখা যায়, ৬ বার গোলের পর অ্যানফিল্ডের মাটি কেঁপে উঠেছে।

মাক অ্যালিস্টারের গোলের পর সবচেয়ে বেশি কম্পন হয়েছে।.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রলার ডুবি: রাতভর সমুদ্রে ভাসছিল ৩ জেলে

আলকাচ মাঝি (২৫), খায়রুল ইসলাম (২৫), রাসেল (২৭) ও শামিম হাসান (৩৫) এই চার জেলে সোমবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় মাছ ধরতে বঙ্গোপসাগরে যান।পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকত থেকে মঙ্গলবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় একটি ছোট ট্রলার নিয়ে তারা সাগরে যান। পায়রা বন্দরের খাম্বা বয়া এলাকায় ঝড়ের কারণে তাদের ট্রলারটি ডুবে যায়।

ট্রলারটির চার জেলে ফ্লুট ও বয়া নিয়ে সাগরে ভাসতে থাকেন। একটি মাছধরা ট্রলার রাতেই আলকাচ মাঝিকে উদ্ধার করলেও অপর তিন জেলে রাতভর সাগরে ভাসতে থাকেন। 

উদ্ধার হওয়া জেলেরা জানান, মঙ্গলবার (১৭ জুন) ভোরে তিন জেলে ভাসতে ভাসতে চর তুফানিয়ায় গিয়ে পৌঁছান। সেখানে তারা জ্ঞান হারান। তাদের অপর একটি ট্রলারের জেলেরা উদ্ধার করে দুপুরে কুয়াকাটার ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেন। 

আরো পড়ুন:

জেলের জালে ২৩ কেজির কোরাল, ২৪ হাজার টাকায় বিক্রি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার, ১৩ জেলে আটক

আলকাচ মাঝি বলেন, “প্রচণ্ড বাতাস এবং ঢেউয়ের কারণে আমাদের ট্রলারটি ডুবে যায়। এরপর আমরা সাগরে ভাসতে শুরু করি। দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর একটি ট্রলার আমাকে উদ্ধার করে। অন্যদের অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পায়নি। আজ খবর পাই, তারা তুফানিয়া নামক একটি চড়ে উঠেছেন। পরে তাদের নিয়া আসা হয়।” 

জেলে শামিম বলেন, “গতকাল সন্ধ্যায় মাছ শিকারের জন্য বঙ্গোপসাগরে গেলে হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলাটি ডুবে যায়। আমরা তিন জন বয়া ও ফ্লুট নিয়ে সমুদ্রে ভেসে একটি চরে গিয়ে উঠি। সেখানে আমরা জ্ঞান হারাই। হুঁশ ফিরলে দেখি, কুয়াকাটা হাসপাতালে আছি।”

কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বলেন, “এ বিষয়ে আমাদের কেউ অবগত করেনি। বর্তমানে সমুদ্র বেশ উত্তাল রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জেলেদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ