লিভারপুল সমর্থকেরা অ্যানফিল্ডে প্রিমিয়ার লিগ জয় উদ্‌যাপন করতে এমনই উত্তেজনায় ফেটে পড়েছিলেন যে, সেই উল্লাসে ভূকম্পন সৃষ্টি হয়েছিল। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। লিভারপুল সমর্থকদের ভূকম্পন সৃষ্টির এই খবরটি দিয়েছে গবেষকেরা, যাঁরা ম্যাচের সময় অ্যানফিল্ডে উপস্থিত থেকে মাটির কম্পন রেকর্ড করেছেন।

রোববার অ্যানফিল্ডে টটেনহাম হটস্পারকে ৫–১ গোলে হারিয়ে ২০২৪–২৫ মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা নিশ্চিত করে লিভারপুল। সেদিন লিভারপুলের শিরোপা জয়ের মুহূর্ত দেখতে অ্যানফিল্ড গ্যালারিতে ছিলেন ৬০ হাজার ৪১৫ জন দর্শক। ম্যাচে লিভারপুলের একেকটি গোলে সমর্থকদের উচ্ছ্বাস অ্যানফিল্ডে কম্পন সৃষ্টি করে বলে জানিয়েছেন লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ, ওশান অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের একদল গবেষক ভূমিকম্প নির্ণয়ের সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে মাঠে উপস্থিত ছিলেন। গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, চিলি ও ইতালির মতো ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির সাহায্যে গবেষকেরা ম্যাচের বিভিন্ন মুহূর্তে মাঠের ভূমির নড়াচড়া পরিমাপ করেন। এতে দেখা যায়, ৬ বার গোলের পর অ্যানফিল্ডের মাটি কেঁপে উঠেছে।

মাক অ্যালিস্টারের গোলের পর সবচেয়ে বেশি কম্পন হয়েছে।.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বরিশালে মাদকবিরোধী অভিযানে যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

মাদকবিরোধী অভিযানে বরিশালের গৌরনদী পৌর যুবদলের সদস্য সচিব গোলাম মাহতাবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার (২ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে উপজেলার টরকী বাসস্ট্যান্ডের ঈগল কাউন্টারের পেছনে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে তিন পিস ইয়াবা, মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম এবং পৌর যুবদলের সদস্য সচিব গোলাম মাহতাবকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

ওসি জানান, গোলাম মাহতাবের কাছে ইয়াবা পাওয়া না গেলেও মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে তার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানার এসআই মো. জুয়েল বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এ ব্যাপারে গৌরনদী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. মনির হোসেন বলেছেন, আমি শুনেছি, মাদক সেবনকালে গোলাম মাহতাবকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। দল মাদক সেবন, বিক্রি বা সেল্টার কোনোটাতেই প্রশ্রয় দেয় না। কেউ যদি দলের নাম ব্যবহার করে অপকর্মে জড়িত থাকে এবং তা প্রমাণিত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/পলাশ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ