লিভারপুল সমর্থকেরা অ্যানফিল্ডে প্রিমিয়ার লিগ জয় উদ্‌যাপন করতে এমনই উত্তেজনায় ফেটে পড়েছিলেন যে, সেই উল্লাসে ভূকম্পন সৃষ্টি হয়েছিল। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। লিভারপুল সমর্থকদের ভূকম্পন সৃষ্টির এই খবরটি দিয়েছে গবেষকেরা, যাঁরা ম্যাচের সময় অ্যানফিল্ডে উপস্থিত থেকে মাটির কম্পন রেকর্ড করেছেন।

রোববার অ্যানফিল্ডে টটেনহাম হটস্পারকে ৫–১ গোলে হারিয়ে ২০২৪–২৫ মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা নিশ্চিত করে লিভারপুল। সেদিন লিভারপুলের শিরোপা জয়ের মুহূর্ত দেখতে অ্যানফিল্ড গ্যালারিতে ছিলেন ৬০ হাজার ৪১৫ জন দর্শক। ম্যাচে লিভারপুলের একেকটি গোলে সমর্থকদের উচ্ছ্বাস অ্যানফিল্ডে কম্পন সৃষ্টি করে বলে জানিয়েছেন লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ, ওশান অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের একদল গবেষক ভূমিকম্প নির্ণয়ের সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে মাঠে উপস্থিত ছিলেন। গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, চিলি ও ইতালির মতো ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির সাহায্যে গবেষকেরা ম্যাচের বিভিন্ন মুহূর্তে মাঠের ভূমির নড়াচড়া পরিমাপ করেন। এতে দেখা যায়, ৬ বার গোলের পর অ্যানফিল্ডের মাটি কেঁপে উঠেছে।

মাক অ্যালিস্টারের গোলের পর সবচেয়ে বেশি কম্পন হয়েছে।.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাজপরিবারের সঙ্গে সমঝোতা চান প্রিন্স হ্যারি

রাজপরিবারের সঙ্গে সমঝোতার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন প্রিন্স হ্যারি। যুক্তরাজ্যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত আইনি লড়াইয়ে হারের পর বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ডিউক অব সাসেক্স হেনরি চার্লস আলবার্ট ডেভিড এই আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন। আবেগঘন ওই সাক্ষাৎকারে বাবা রাজা চার্লসের স্বাস্থ্য নিয়েও উদ্বেগ জানান তিনি।

হ্যারি বলেন, নিরাপত্তা সংক্রান্ত এইসব কারণে বাবা (চার্লস) তার সঙ্গে কথা বলবেন না। কিন্তু তিনি আর লড়তে চান না। তাছাড়া, বাবা কতদিন বাঁচবেন তাও তিনি জানেন না।

১৫ মাস আগে যুক্তরাজ্যের রাজা চার্লসের ক্যান্সার ধরা পড়ে। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে। কিছুদিন আগে চার্লস ব্যক্তিগত এক বার্তায় তার ক্যান্সারের অভিজ্ঞতা জানিয়েছিলেন। এরপরই বাবাকে নিয়ে ওই কথা বললেন প্রিন্স হ্যারি।

যুক্তরাজ্যে সফরকালে হ্যারি ও তার পরিবারের পুলিশি নিরাপত্তার মাত্রা নিয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা আপিলের রায়ে হেরে যান প্রিন্স হ্যারি। শুক্রবার মামলার রায় ঘোষণা করে লন্ডনের আপিল আদালত।

২০২০ সালে যুক্তরাজ্যের রাজপরিবারের দায়িত্ব ছেড়ে স্ত্রী মেগান মার্কেলকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান প্রিন্স হ্যারি। এরপর যুক্তরাজ্য সরকার হ্যারিকে আর আগের মতো সরকার-প্রদত্ত নিরাপত্তা না দেওয়া এবং প্রতিটি সফরের ক্ষেত্রে তা আলাদাভাবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নেয়।

প্রথম মামলায় হারের পর হ্যারি আপিল করেন। তার আইনজীবীদের অভিযোগ ছিল, হ্যারিকে ‘অযৌক্তিক ও কম মানের’ নিরাপত্তা দিয়ে অন্যদের তুলনায় আলাদাভাবে দেখা হয়েছে। কিন্তু আদালত সেই যুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে।

সরকারের পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি দেন, হ্যারির নিরাপত্তা কমানোর কারণ হচ্ছে, তার রাজকীয় অবস্থানের পরিবর্তন। তিনি এখন বেশির ভাগ সময় দেশের বাইরে বাস করেন।

মামলায় পুনরায় পরাজয়ের পর হ্যারি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমি আমার পরিবারের সঙ্গে পুনরায় মিলিত হতে চাই। আইনি লড়াই করার আর কোনও মানে হয় না। জীবন মূল্যবান।

তিনি আরও বলেন, আমার পরিবারের কিছু সদস্য ও আমার মধ্যে অনেক মতবিরোধ, মতভেদ আছে। কিন্তু এখন সেগুলো ক্ষমা করে দিয়েছি।

তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে স্ত্রী মেগান এবং সন্তানকে রাজপরিবারে ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব না, সেকথাও বলেছেন হ্যারি। নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলায় আদালত যে রায় দিয়েছে তার ফলে পরিবারসহ নিরাপদে যুক্তরাজ্যে ফেরা ‘অসম্ভব’ হয়ে পড়েছে বলে জানান তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ