জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় সংগঠিত গণহত্যার মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আজ সোমবার মামলার যাবতীয় মথিপত্র ও সিডিসহ প্রসিকিউশনে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। 

বিষয়টি সমকালকে নিশ্চিত করেছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। মামলার ওপর দুই আসামি  হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক পুলিশের আইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

প্রসিকিউশন বিভাগ তদন্ত সংস্থার দেওয়া প্রতিবেদনটি যাচাই-বাছাই ও পুঙ্খানুপুঙ্খানুভাবে পর্যালোচনার পর সেটা আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র (ফরমাল চার্জ) হিসেবে ট্রাইবুনালে দাখিল করবে। 

এ নিয়ে জুলাই আগস্টের ঘটনায় প্রশাসন বিভাগ দ্বিতীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করল। এর আগে চারখারপুলে হত্যা মামলার ৮ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছিল তদন্ত সংস্থা। 

বিস্তারিত আসছে.

..

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রস ক

এছাড়াও পড়ুন:

শুধু সিরিজ নয়, লিটনের লক্ষ্য অনেক বড়

দীর্ঘদিন পর আবারো অধিনায়কত্ব পেয়েছেন লিটন কুমার দাস। অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের হাতেই টি-টোয়েন্টি দলের ভার দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দায়িত্ব পেয়ে লিটনও যেন সন্তুষ্ট। অধিনায়ক হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে তেমনটাই ইঙ্গিত দিলেন এই ব্যাটার।

সোমবার (১২ মে) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হাজির হন লিটন। কথা বলেন নিজের নেতৃত্ব এব লক্ষ্য নিয়ে। লিটনের লক্ষ্যটা অবশ্য বড়। কেবল সিরিজ জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে চান না। আগাতে চান আরো সামনে।

এর আগেও নেতৃত্ব পেয়েছিলেন লিটন। তবে ভারতের বিপক্ষে হারের পর তাকে অব্যাহতি দেয় বিসিবি। এবার লিটন দায়িত্ব পেয়েছেন ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। লক্ষ্যটা তাই বেশ বড়। তার কথায় নেতৃত্বের পরিকল্পনা নিয়ে লম্বা সময়ের আভাস পাওয়া গেল।

আরো পড়ুন:

২৪ ইনিংসে মাত্র ১ ফিফটি, তবুও বিশ্বকাপ পর্যন্ত লিটন অধিনায়ক?

শুরুর আগেই শেষ লিটনের পিএসএল যাত্রা

লিটন বলেন, “পার্থক্যের কথা যদি বলি, আগের পরিকল্পনাগুলো যা ছিল, সিরিজভিত্তিক ছিল। যেহেতু এখন লম্বা সময়ের একটা সুযোগ এসেছে, প্রতিটি ক্ষেত্রে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করব। নিজেই জানব যে এতদূর পর্যন্ত আমার একটা লক্ষ্য আছে। অবশ্যই সিরিজভিত্তিক তো থাকবেই। এর সঙ্গে এটাও থাকবে যে সামনের দিকে আরও কী করতে পারি।”

অধিনায়ক হিসেবে সবারই একটা লক্ষ্য থাকে। কাউকে ফলো করার বিষয় থাকে। তবে লিটনের আপাতত সেদিক থেকে কেউ নেই। শুধু অধিনায়ক হিসেবেই নয়, নিজেকে খেলোয়াড় হিসেবেও ভাবছেন লিটন। দুইয়ে মিলিয়েই নিজের মতো খেলতে ও নেতৃত্ব দিতে চান।

তার ভাষ্য, ‘‘ক্যাপ্টেন্সির বিষয় তো রোল মডেল কেউই না। আপনি যে কথাটা বললন, সেটাই এন্সার দেই। ধরেন, ক্যাপ্টেন্সি ছাড়াও তো আমি খারাপ খেলেছি। এখন অধিনায়ক হয়ে আসতেছি। এটাও অপজিট সাইডও হতে পারে যে আসার পর থেকে আমি ভালো খেলতেও পারি।  আমি যেটা বললাম, পজেটিভ, নেগেটিভ দুইটা জিনিসই থাকবে। ওভাবে রোল মডেল কেউ নেই।’’

অধিনায়ক হিসেবে লিটনের আগের রেকর্ড ভালো নয়। হতাশাজনকও। সেটা ছাপিয়ে এবার বড় লক্ষ্য নিয়েই নামবেন। তেমনই ইঙ্গিত দিলেন। এবার দেখার বিষয়, সেই লক্ষ্য কতটা সফলতার মুখ দেখে।

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ