রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে যশোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপঙ্কর দাস রতন ও সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক বাদী হয়ে বুধবার সদর আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

ওই আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো.

রহমত আলী অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্যে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জকে আদেশ দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী সুদীপ্ত ঘোষ।

মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, জুলাই আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর সাম্প্রদায়িক হামলার মিথ্যা তথ্য দিয়ে লিফলেট প্রচার, সমাবেশে বক্তব্য ও সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। তাদের এই কর্মকাণ্ড দেশের সার্বভৌমত্ব, সংহতি ও শৃঙ্খলার প্রতি হুমকি স্বরূপ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: যশ র

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তনে আসা সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে আসা নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার ছাত্রলীগের ওই নেতার নাম মো. মামুন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০০৭-২০০৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন তিনি।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন ছিল। ২০১১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত স্নাতক পাস করা শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেন। সমাবর্তনের প্রধান বক্তা ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

মো. মামুন সমাবর্তনে এসেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী অনুষ্ঠান শেষে বিভাগে গিয়ে মূল সনদ নিতে গিয়েছিলেন। এরপর তিনি মারধরের শিকার হন। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা–কর্মীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামী ছাত্রশিবিরের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘যতটুকু জানতে পেরেছি, তিনি (মামুন) আমাদের মাসুদ বিন হাবিব আর মুজাহিদুল ইসলাম ভাইয়ের (শিবিরের সাবেক নেতা) হত্যাকারী। যাঁরা ওই সময় আমাদের সংগঠন করতেন, তাঁরা ক্যাম্পাসে তাঁকে দেখে ফেলেন। পরে ধরে ফেলে চড়–থাপ্পড় দেন। এরপর তাঁরাই মেডিকেলে নিয়ে গেছেন। পরে পরিবারের সদস্যরা এসে তাঁকে নিয়ে গেছে।’

মারধরের শিকার মামুনের ভাই মো. মাসুম প্রথম আলো বলেন, তাঁর ভাই প্রায় আট বছর আগে রাজনীতি ছেড়েছেন। সমাবর্তনে ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে গিয়ে ভাইকে আহত অবস্থায় পান তাঁরা। এখন তাঁর ভাইকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুনপ্রধান উপদেষ্টাকে সম্মানসূচক ডি–লিট ডিগ্রি দিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়৮ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ