মাগুরায় আলোচিত আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় খালাস পেয়েছেন হিটু শেখের স্ত্রী জাহেদা বেগম, ছেলে সজীব ও রাতুল শেখ।

শনিবার (১৭ মে) সকালে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। তবে বাকি তিন আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ এপ্রিল মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। ছুটির দিন বাদে টানা শুনানি চলেছে। আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে এ শুনানি হয়। মামলায় শিশুটির বোনের শ্বশুরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধর্ষণের ফলে মৃত্যুর অপরাধ, শিশুটির বোনের স্বামী ও ভাশুরের বিরুদ্ধে  ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং বোনের শাশুড়ির বিরুদ্ধে অপরাধের আলামত নষ্টের অভিযোগ অভিযোগ গঠন করা হয়।

গত ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.

আলাউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে ১৭ এপ্রিল মামলাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয় এবং ২০ এপ্রিল অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়। ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।

গত ১৫ মার্চ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায়ের আদালতে শিশুটির বোনের শ্বশুর ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

ঢাকা/শাহীন/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পাবিপ্রবিতে নতুন হল খোলার দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) নতুন ১০ তলা ছাত্রহল-২ দ্রুত খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১৭ মে) সকাল ১১টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে তারা ‘লং মার্চ টু হল’ কর্মসূচি পালন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ মে নতুন হলের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামানকে হল প্রাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয় প্রশাসন। তবে নিয়োগের পরও হলে শিক্ষার্থী তোলার ব্যাপারে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নেওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

আরো পড়ুন:

জবিতে ৪ বছর পর নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি, ক্লাস শুরু ২২ জুন

চবির অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতা চেয়েছে শিবির

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে হল চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের ঘুরানো হচ্ছে। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পরও হ্যামার টেস্টসহ নানা অজুহাতে হল খোলা হচ্ছে না। এতে তারা চরমভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমাদের পড়াশোনা প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। অথচ এখনো হলে উঠতে পারছি না, এটা আমাদের জন্য মানসিকভাবে কষ্টদায়ক। আমরা বাইরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছি। সেখানে বাড়িওয়ালাদের দুর্ব্যবহার ও অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।”

আন্দোলনের এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা নতুন ছাত্রহল-২ এর সামনে অবস্থান নিলে সহকারী প্রাধ্যক্ষরা উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন।

সহকারী প্রাধ্যক্ষ রেদওয়ান আহমেদ বলেন, “হলটি এতদিন আমাদের অধীনে ছিল না। সম্প্রতি আমরা দায়িত্ব পেয়েছি। তবে এ সময়ের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষার কারণে হল সংক্রান্ত কোনো নোটিশ দেওয়া সম্ভব হয়নি।”

তিনি বলেন, “ইতোমধ্যে প্রাধ্যক্ষ টিম সব অফিসিয়াল আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করেছে। বিষয়টি উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্ট সবার অবগতিতে রয়েছে। আজ অথবা আগামীকাল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। দ্রুত আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং আগামী ১ জুলাই শিক্ষার্থীদের সিট বরাদ্দ দেওয়া হবে।”

ঢাকা/আতিক/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ