রাজবাড়ী সদর উপ‌জেলায় ‌চোর স‌ন্দে‌হে রুপল শেখ (২৭) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। 

শুক্রবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় সদর উপ‌জেলার বসন্তপুর ইউ‌নিয়‌নের রাজাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘ‌টে।

নিহত রুপল শেখ রাজাপুর গ্রা‌মের জিন্নাত শেখের ছেলে।

এ ঘটনায় শুক্রবার রা‌তে মামলা দা‌য়ে‌রের পর চার আসা‌মি‌কে গ্রেপ্তার ক‌রে‌ছে পু‌লিশ। ‌গ্রেপ্তারকৃতরা হ‌লেন- মো.

জহিরুদ্দিন বিশ্বাস (৬৫), মো. মৈজদ্দি বিশ্বাস (৫৫), মো. ফরহাদ বিশ্বাস (৪৫), মো. মুন্নু মোল্লা (৫০)। এরা সবাই রাজাপুর গ্রা‌মের বা‌সিন্দা।

রাজবাড়ী থানার ও‌সি মাহমুদুর রহমা‌ন জানান, রাজাপুর গ্রামের সামসু‌দ্দিন বিশ্বা‌সের বা‌ড়ি‌ থে‌কে দুই‌দিন আ‌গে পা‌নির মোটর চু‌রি হয়। সামসু‌দ্দি‌নের বা‌ড়ির লোকজন রুপল শেখ‌কে চোর স‌ন্দেহ ক‌রে। শুক্রবার সন্ধ্যায় শা‌লি‌সের কথা ব‌লে রুপলকে বা‌ড়ি থেকে ‌ডে‌কে নিয়ে যায় সামসু‌দ্দি‌নের ছে‌লেরা। এরপর ঘ‌রে ব‌ন্দি ক‌রে পিটিয়ে আহত করে । রুপ‌লের অবস্থা বেগ‌তিক দে‌খে স্থানীয়রা তা‌কে উদ্ধার ক‌রে গ্রাম পু‌লি‌শের সাহা‌য্যে রাজবাড়ী হাসপাতা‌লে পাঠায়। হাসপাতা‌লে ‌নি‌য়ে আসার পর চি‌কিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা ক‌রে।

অ‌তি‌রিক্ত পু‌লিশ সুপার (সদর সা‌র্কেল) আবু রা‌সেল ব‌লেন, “এ ঘটনায় নিহ‌ত রুপল শে‌খের মামা কালাম মোল্লা বা‌দি হ‌য়ে ১০ জ‌নের নাম উ‌ল্লেখ ক‌রে শুক্রবার রা‌তে রাজবাড়ী থানায় মামলা দা‌য়ের ক‌রে‌ছেন। এরই ম‌ধ্যে ৪ জন‌কে গ্রেপ্তার ক‌রে‌ছে পু‌লিশ। বা‌কি আসা‌মি‌দের গ্রেপ্তা‌রের চেষ্টা চল‌ছে।”

ঢাকা/আউয়াল/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ক রব র র পল শ

এছাড়াও পড়ুন:

‘শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে আরো ১০ হাজার মানুষ হত্যায় প্রস্তুত ছিলেন’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “শেখ হাসিনা একজন রাক্ষসী। তার নির্দেশেই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও গুলি চালিয়ে বহু নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।’’

রিজভী বলেন, ‘‘তিনি চেয়েছিলেন, প্রয়োজনে আরো ১০ হাজার মানুষ মারা যাক—তবুও তিনি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে থাকতে চান।”

শনিবার (১৭ মে) বিকেলে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার হাতিরদিয়া স্কুল মাঠে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

দানব আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রিজভী

বিএনপির বর্ধিত সভায় ঐক্যের ডাক, ভোটের জোর প্রস্তুতিতে চোখ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “তথাকথিত সংস্কারের নামে সরকার নির্বাচন পিছিয়ে দিচ্ছে। দেশের মানুষ একটি নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। কিন্তু, সরকার জনগণের সেই আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করছে।”

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর এলাহী প্রমুখ।

ঢাকা/হৃদয়/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ