জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের দাবিতে গণতান্ত্রিক আলোচনা সভা করেছে শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।

বুধবার (২১ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে ‘জকসু কী, কেন ও কিভাবে?’ শীর্ষক সভায় বিভিন্ন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন। সভায় বক্তারা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় ছাত্র সংসদের প্রয়োজনীয়তা ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন।

সভায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হলেও জবিতে এই প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে স্থবির হয়ে আছে, যা শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘন করছে।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে নার্স-মিডওয়াইফ শিক্ষার্থীদের শার্টডাউন কর্মসূচি

শিক্ষার্থী বিবেচনা ২০৩৫ সাল পর্যন্ত নতুন অর্গানোগ্রাম: নোবিপ্রবি

বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রফিকউজ্জামান ফরিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ ছাড়া শিক্ষার্থীদের কথা বলার জায়গা থাকে না। এটি শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের প্রধান মাধ্যম।”

ছাত্র ফ্রন্টের জবি শাখার আহ্বায়ক ইভান তাহসিফ বলেন, “আরেকটা ছাত্রলীগ যেন না জন্মাতে পারে, সেজন্য জকসুর কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই শিক্ষার্থীদের অধিকারের কথা বলবেন এবং ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়বেন।”

জবি শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, “২৪ পরবর্তী চিন্তার বিকাশে ছাত্র সংসদ গুরুত্বপূর্ণ। এটি নেতৃত্ব তৈরির প্ল্যাটফর্ম। মতাদর্শ ভিন্ন হলেও আমাদের রাজনৈতিক সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জবি শাখার আহ্বায়ক মাসুদ বলেন, “ছাত্র সংসদ হচ্ছে দেশের দ্বিতীয় সংসদ। এখান থেকেই ভবিষ্যৎ রাজনীতিবিদ তৈরি হয়। এটি নির্দিষ্ট কোনো দলের প্রতিনিধিত্ব করে না, বরং শিক্ষার্থীদের সার্বজনীন প্রতিনিধি হয়।”

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের জবি শাখার আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদ বলেন, “জকসু না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ হাজার শিক্ষার্থীর সুনির্দিষ্ট কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। ফলে প্রশাসনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দূরত্ব বেড়েছে। ছাত্র সংসদ থাকলে একটি সন্ত্রাসমুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক ক্যাম্পাস তৈরি সম্ভব।”

আলোচনায় অংশ নিয়ে জবির ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসির আহমেদ বলেন, “নির্বাচিত ছাত্র সংসদ না থাকায় শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো যথাযথভাবে প্রশাসনের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। অতিদ্রুত অবাধ ও সুষ্ঠু জকসু নির্বাচন হওয়া জরুরি।”

জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইস উদ্দিন বলেন, “জকসু নেই বলেই জবি বঞ্চনার শিকার হয়েছে। ছাত্র সংসদ না থাকায় প্রশাসন একচেটিয়াভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং নানা অনিয়মে যুক্ত হয়েছে। একটি কার্যকর জকসু শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।”

২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরুর পর আজ অবধি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ফলে শিক্ষার্থীরা একটি বৈধ ও গণতান্ত্রিক প্রতিনিধিত্ব থেকে বঞ্চিত রয়েছে।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত র ফ রন ট গণত ন ত র ক দ বল ন

এছাড়াও পড়ুন:

শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দিলো ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স

পুঁজিবাজারের বিমা খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের প্রেরণ করা হয়েছে। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এ লভ্যাংশ বিতরণ করেছে কোম্পানিটি।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন) সিস্টেমসের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হয়েছে।

কোম্পানির ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ফলে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ১ টাকা নগদ লভ্যাংশ পায়েছেন শেয়ারহোল্ডারা।

কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে তা অনুমোদন করা হয়।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ