জকসু নির্বাচনের দাবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের
Published: 21st, May 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের দাবিতে গণতান্ত্রিক আলোচনা সভা করেছে শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।
বুধবার (২১ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে ‘জকসু কী, কেন ও কিভাবে?’ শীর্ষক সভায় বিভিন্ন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন। সভায় বক্তারা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় ছাত্র সংসদের প্রয়োজনীয়তা ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন।
সভায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হলেও জবিতে এই প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে স্থবির হয়ে আছে, যা শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘন করছে।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে নার্স-মিডওয়াইফ শিক্ষার্থীদের শার্টডাউন কর্মসূচি
শিক্ষার্থী বিবেচনা ২০৩৫ সাল পর্যন্ত নতুন অর্গানোগ্রাম: নোবিপ্রবি
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রফিকউজ্জামান ফরিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ ছাড়া শিক্ষার্থীদের কথা বলার জায়গা থাকে না। এটি শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের প্রধান মাধ্যম।”
ছাত্র ফ্রন্টের জবি শাখার আহ্বায়ক ইভান তাহসিফ বলেন, “আরেকটা ছাত্রলীগ যেন না জন্মাতে পারে, সেজন্য জকসুর কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই শিক্ষার্থীদের অধিকারের কথা বলবেন এবং ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়বেন।”
জবি শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, “২৪ পরবর্তী চিন্তার বিকাশে ছাত্র সংসদ গুরুত্বপূর্ণ। এটি নেতৃত্ব তৈরির প্ল্যাটফর্ম। মতাদর্শ ভিন্ন হলেও আমাদের রাজনৈতিক সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জবি শাখার আহ্বায়ক মাসুদ বলেন, “ছাত্র সংসদ হচ্ছে দেশের দ্বিতীয় সংসদ। এখান থেকেই ভবিষ্যৎ রাজনীতিবিদ তৈরি হয়। এটি নির্দিষ্ট কোনো দলের প্রতিনিধিত্ব করে না, বরং শিক্ষার্থীদের সার্বজনীন প্রতিনিধি হয়।”
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের জবি শাখার আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদ বলেন, “জকসু না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ হাজার শিক্ষার্থীর সুনির্দিষ্ট কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। ফলে প্রশাসনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দূরত্ব বেড়েছে। ছাত্র সংসদ থাকলে একটি সন্ত্রাসমুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক ক্যাম্পাস তৈরি সম্ভব।”
আলোচনায় অংশ নিয়ে জবির ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসির আহমেদ বলেন, “নির্বাচিত ছাত্র সংসদ না থাকায় শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো যথাযথভাবে প্রশাসনের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। অতিদ্রুত অবাধ ও সুষ্ঠু জকসু নির্বাচন হওয়া জরুরি।”
জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইস উদ্দিন বলেন, “জকসু নেই বলেই জবি বঞ্চনার শিকার হয়েছে। ছাত্র সংসদ না থাকায় প্রশাসন একচেটিয়াভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং নানা অনিয়মে যুক্ত হয়েছে। একটি কার্যকর জকসু শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।”
২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরুর পর আজ অবধি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ফলে শিক্ষার্থীরা একটি বৈধ ও গণতান্ত্রিক প্রতিনিধিত্ব থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত র ফ রন ট গণত ন ত র ক দ বল ন
এছাড়াও পড়ুন:
মাসিক না হওয়ার কারণ
মেনোপজের আগে মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ
গর্ভধারণ ও স্তন্যদান।
জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য পিল কিংবা অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতি ব্যবহার।
অতিরিক্ত কম বা বেশি ওজন, অতিরিক্ত ভারী ব্যায়াম কিংবা অতিরিক্ত মানসিক চাপ।
থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি কিংবা আধিক্য, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম কিংবা অন্য যেসব রোগের কারণে হরমোনের তারতম্য হয়।
ডিম্বাশয়ের টিউমার কিংবা ডিম্বাশয় বা জরায়ুতে কোনো অস্ত্রোপচার।
উচ্চ রক্তচাপ, অ্যালার্জি, বিষণ্নতা এবং অন্যান্য মানসিক সমস্যায় ব্যবহৃত ওষুধ।
কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি।
ডিঅ্যান্ডসির (ডায়ালেশন ও কিউরেটেজ নামের একটি অস্ত্রোপচারপদ্ধতি) মাধ্যমে গর্ভপাত।
আরও পড়ুনমাসিকের সময় তলপেটে ব্যথা হয় কেন? ২৩ এপ্রিল ২০২৫কৈশোরে মাসিক শুরু না হওয়ার কারণনির্দিষ্ট বয়সে পৌঁছেও যাঁর মাসিক শুরু হয়নি, তাঁর জন্য কারণটা হতে পারে জিনগত। নারীর জন্য প্রয়োজনীয় হরমোনগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে যেসব গ্রন্থি, সেসবের অস্বাভবিকতাও থাকতে পারে কারও কারও ক্ষেত্রে। যোনিপথ বা অন্যান্য প্রজনন অঙ্গের গঠনগত ত্রুটিও থাকতে পারে।
কত দিন মাসিক না হওয়া অস্বাভাবিকদু–এক মাস যদি মাসিক না হয়, তাতে ভয়ের কিছু নেই। কত দিন মাসিক না হওয়া অস্বাভাবিক, অর্থাৎ কখন নেবেন চিকিৎসকের পরামর্শ, জেনে নেওয়া যাক।
১৪ বছর বয়সে পৌঁছেও যদি কারও মাসিক শুরু না হয় এবং বয়ঃসন্ধির অন্য কোনো চিহ্নও না দেখা যায়।
বয়ঃসন্ধির অন্যান্য চিহ্ন থাকলে অবশ্য ১৬ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে ১৬ বছরে পৌঁছে মাসিক না হলে বিষয়টিকে অস্বাভাবিক ধরে নিতে হবে।
যাঁর নিয়মিত মাসিক হয়, তাঁর যদি অন্তত তিন মাস মাসিক বন্ধ থাকে, তাহলে সেটির কারণ খুঁজতে হবে।
যাঁর মাসিক অনিয়মিত, তাঁর ক্ষেত্রে অন্তত ছয় মাস মাসিক বন্ধ থাকলে সেটিকে অস্বাভাবিকভাবে মাসিক বন্ধ হওয়া বলে ধরে নিতে হবে।
আরও পড়ুনঅনিয়মিত মাসিক কেন হয়২৫ জুলাই ২০২৩যদি থাকে অস্বাভাবিকতাএকজন নারীর সুস্থতার জন্য নিয়মিত মাসিক হওয়া খুবই জরুরি। যদি মাসিকে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়, অস্বাভাবিকভাবে মাসিক বন্ধ থাকে কিংবা অনিয়মিত মাসিক হয়, দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে কারণটা খুঁজে বের করবেন। সে অনুযায়ীই হবে চিকিৎসা।
কারও মাসিক বন্ধ থাকার চিকিৎসার ক্ষেত্রে জীবনধারার পরিবর্তন গুরুত্বপূর্ণ। কারও প্রয়োজন হরমোন থেরাপি। অল্প কিছু ক্ষেত্রে সার্জারি বা শল্যচিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
আরও পড়ুনমেয়েকে মাসিক সম্পর্কে কীভাবে জানাবেন০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩