প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে পারেন ট্রাম্পের ছেলে
Published: 21st, May 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। ট্রাম্প জুনিয়র বলেন, প্রেসিডেন্ট পদে ‘একদিন লড়তেও পারেন’ তিনি। যদিও এর আগে হোয়াইট হাউসের জন্য লড়ার চিন্তাভাবনার কথা অস্বীকার করেছিলেন তিনি।
বুধবার কাতারের রাজধানী দোহায় এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প জুনিয়র নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দিলেন। অনুষ্ঠানে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, বাবার উত্তরসূরি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা তিনি ভাবছেন কি না। প্রথমে তিনি হেসে ওঠেন। এরপর ইঙ্গিত দেন, এমনটা হতেও পারে।
ট্রাম্পের বড় ছেলে বলেন, ‘এ ধরনের প্রশ্ন আমার জন্য একটি সম্মানের বিষয়। কিছু মানুষ বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে দেখছে, সেটিও একধরনের সম্মানের।’
ব্লুমবার্গের আয়োজনে কাতার ইকোনমিক ফোরামে এক প্যানেল আলোচনার সময় ট্রাম্প জুনিয়র এসব কথা বললে উপস্থিত দর্শকেরা হাততালি দেন। তিনি আরও বলেন, ‘কখন কী হয়, বলা যায় না।’
৪৭ বছর বয়সী ট্রাম্প জুনিয়র ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের নির্বাহী সহসভাপতি। তিনি তাঁর বাবার ডানপন্থী ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ রাজনৈতিক দর্শনের একজন জোরালো সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
বামপন্থী সংবাদমাধ্যম মিডিয়েট গত মার্চে এক প্রতিবেদনে বলেছে, ট্রাম্প জুনিয়র ২০২৮ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছেন। তবে ওই সময় তিনি এমন দাবি অস্বীকার করেছিলেন। তবে এবার তিনি হোয়াইট হাউসের যাওয়ার লড়াইয়ের বিষয়টি নাকচ করেননি।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে ট্রাম্পের ছেলে বলেন, ‘আমি জানি না, হয়তো একদিন হতেও পারে। আপনারা বোঝেনই তো, যদি সেই ডাক আসে। আমি মনে করি, আমার বাবা সত্যিকার অর্থে রিপাবলিকান পার্টিকে বদলে দিয়েছেন। এখন এটা “আমেরিকা ফার্স্ট” পার্টি—আপনি যেভাবেই দেখুন না কেন।’
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হন। এর পর থেকে ট্রাম্প অর্গানাইজেশন চালাচ্ছেন তাঁর দুই ছেলে—ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র ও এরিক ট্রাম্প।
ট্রাম্প এখন আর কোনো নির্বাহী পদে নেই। তবে তিনি একটি ট্রাস্টের মাধ্যমে পারিবারিক ব্যবসায় নিজের মালিকানা ধরে রেখেছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৩৫ দিনে হিলি বন্দরে ১ লাখ মেট্রিকটন চাল আমদানি
গত ৩৫ দিনে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দুই হাজার ২৪টি ভারতীয় ট্রাকে করে এক লাখ চার হাজার ৮৫৯ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে দেশের চালের বাজারে। খুচরা বাজারে কেজি প্রতি চালের দাম কমেছে প্রকার ভেদে ৪ থেকে ৬ টাকা।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় হিলি বন্দর ঘুরে জানা যায়, দেশের অস্থির চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ১২ আগস্ট থেকে চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্ধারিত ২ শতাংশ শুল্কে ভারত থেকে চাল আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা।
প্রতি টন চাল ৫২০ থেকে ৫৩০ ডলার, কিছু ক্ষেত্রে ৫৪০ ডলার মূল্যে আমদানি হচ্ছে। এসময় সবচেয়ে বেশি আসছে শম্পা কাটারি জাতের চাল।
হিলির খুচরা ব্যবসায়ী স্বপন পাল বলেন, “ভারত থেকে চাল আসায় বাজারের অস্থিরতা কমছে। প্রতিটি জাতের চাল কেজিতে ৪ থেকে ৬ টাকা করে কমেছে। ৫৫ টাকা কেজি দরের মোটা চাল বিক্রি করছি ৫১ থেকে ৫২ টাকা, আবার ৭৪ টাকার শম্পা কাটারি চাল খুচরা বিক্রি করছি ৬৮ কেজি হিসেবে। আশা করছি আগামীতে আরো কমবে।”
আমদানিকারক নুর ইসলাম বলেন, “২ শতাংশ শুল্কে আমরা চাল আনছি। ৫২০-৫৪০ ডলার দরে আমদানি হচ্ছে। এতে বাজারে দামের প্রভাব স্পষ্টভাবে পড়ছে।”
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন জানান, গত ১২ আগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর ৩৫ দিনে ভারত থেকে ২৪২১টি ট্রাকে এক লাখ চার হাজার ৮৫৯ মেট্রিকটন চাল এসেছে। দেশের বাজারে চালের চাহিদা থাকায় দ্রুত খালাস প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হচ্ছে।
ঢাকা/মোসলেম/এস