যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের চুড়ামনকাটি এলাকায় শনিবার (২৪ মে) সকালে ঘটে যাওয়া মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দুজনে দাঁড়িয়েছে।

দুর্ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রিয়াল নামের এক যুবক সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে ঘটনাস্থল থেকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর পুলিশ কনস্টেবল ফজলুল হককে মৃত ঘোষণা করা হয়।

নিহত রিয়াল ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের ইমান উদ্দিনের ছেলে। তিনি ছিলেন আহত মামুনের ভগ্নিপতি।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান জানান, পুলিশ সদস্য ফজলুল হক মোটরসাইকেলে ঝিনাইদহ যাচ্ছিলেন। ছাতিয়ানতলা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা রিয়ালের মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে তিনজনই গুরুতর আহত হন।

ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে প্রথমে ফজলুল হকের মৃত্যু হয়। পরে রিয়ালও মারা যান। আহত মামুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ঢাকা/রিটন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে নারী মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন

চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী যশোর ঝিকরগাছা উপজেলার শাবানা বেগমের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

শনিবার যশোরের বিশেষ বিচারক (জেলা জজ) এসএম নুরুল ইসলাম এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্পেশাল পিপি আনিছুর রহমান পলাশ।

দণ্ডিত শাবানা ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাসখোলা গ্রামের আইমুদ্দীন গাজীর মেয়ে। এছাড়া এ মামলায় আরেক আসামি বেনাপোলের বালুন্ডা আওলিয়াপাড়ার সিরাজুল আওলিয়ার ছেলে শফিকুল আওলিয়াকে মুক্তি দিয়েছেন আদালত।

আরো পড়ুন:

ওয়াশিংটনে বন্দুক হামলায় নিহত ২ দূতাবাস কর্মীর নাম জানাল ইসরায়েল

কূটনীতিকদের ওপর ইসরায়েলের গুলিবর্ষণ ‘অগ্রহণযোগ্য’: ইইউ

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ১৭ জুলাই শার্শা থানা পুলিশের কাছে খবর আসে জামতলা শার্শা সড়কের বিশ্বাস ব্রিকসের সামনে রাস্তায় দুইজন মাদক ব্যবসায়ী অবস্থান করছেন। খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতেনাতে শাবানাকে আটক করে পুলিশ। এ সময় পালিয়ে যায় শফিকুল আওলিয়া।

পরে শাবানার হাতে থাকা একটি স্কুল ব্যাগ থেকে ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শার্শা থানার এসআই মুরাদ হোসেন বাদী হয়ে ওই দুইজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই ওই দুইজনকে অভিযুক্ত করে একই থানার এসআই শফিকুল ইসলাম আদালতে চার্জশিট জমা দেন।

শনিবার শাবানার উপস্থিতিতে বিচারক যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। পরে শাবানাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ঢাকা/রিটন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ