চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী যশোর ঝিকরগাছা উপজেলার শাবানা বেগমের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শনিবার যশোরের বিশেষ বিচারক (জেলা জজ) এসএম নুরুল ইসলাম এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্পেশাল পিপি আনিছুর রহমান পলাশ।
দণ্ডিত শাবানা ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাসখোলা গ্রামের আইমুদ্দীন গাজীর মেয়ে। এছাড়া এ মামলায় আরেক আসামি বেনাপোলের বালুন্ডা আওলিয়াপাড়ার সিরাজুল আওলিয়ার ছেলে শফিকুল আওলিয়াকে মুক্তি দিয়েছেন আদালত।
আরো পড়ুন:
ওয়াশিংটনে বন্দুক হামলায় নিহত ২ দূতাবাস কর্মীর নাম জানাল ইসরায়েল
কূটনীতিকদের ওপর ইসরায়েলের গুলিবর্ষণ ‘অগ্রহণযোগ্য’: ইইউ
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ১৭ জুলাই শার্শা থানা পুলিশের কাছে খবর আসে জামতলা শার্শা সড়কের বিশ্বাস ব্রিকসের সামনে রাস্তায় দুইজন মাদক ব্যবসায়ী অবস্থান করছেন। খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতেনাতে শাবানাকে আটক করে পুলিশ। এ সময় পালিয়ে যায় শফিকুল আওলিয়া।
পরে শাবানার হাতে থাকা একটি স্কুল ব্যাগ থেকে ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শার্শা থানার এসআই মুরাদ হোসেন বাদী হয়ে ওই দুইজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই ওই দুইজনকে অভিযুক্ত করে একই থানার এসআই শফিকুল ইসলাম আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
শনিবার শাবানার উপস্থিতিতে বিচারক যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। পরে শাবানাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ঢাকা/রিটন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঝিনাইদহে এসআই মিরাজুল হত্যা: চারজনের মৃত্যুদণ্ড, চারজনের যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহের ডাকবাংলো পুলিশ ক্যাম্পের সাবেক ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মিরাজুল ইসলাম হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাহাবুব আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
ঝিনাইদহ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আমজাদ হোসেনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য সাত আসামি পলাতক।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন রাজবাড়ীর নিমতলা এলাকার আমজাদ হোসেন, লিয়াকত হোসেন, দক্ষিণ দৌলতদিয়ার আক্কাস আলী ও ফরিদপুরের ভাটি লক্ষ্মীপুর গ্রামের আলম শেখ। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন ফরিদপুরের শোভারামপুর গ্রামের শাহীন, গোয়ালচামট গ্রামের মোহাম্মদ সাগর, টাপাখোলা গ্রামের নুরু খাঁ ও যশোরের শেখহাটি খাঁপাড়ার মনির হোসেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৩ আগস্ট রাতে ঝিনাইদহ শহরের বাস মালিক সমিতি অফিসের সামনে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ দেখে আরোহীরা পালিয়ে যান। এ সময় দেখা যায় মোটরসাইকেলটি ডাকবাংলো পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক মিরাজুল ইসলামের। কিন্তু তখন মিরাজুলের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ জানতে পারে, ওই দিন সন্ধ্যায় মিরাজুল ইসলাম ইফতার করে প্রয়োজনীয় কাগজ, নিজের নামে ইস্যুকৃত পিস্তল, গুলি, ম্যাগাজিনসহ অন্যান্য কাগজ নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ঝিনাইদহ শহর থেকে কর্মস্থলে রওনা হন। পরদিন সকালে ভেটেরিনারি কলেজের পূর্ব পাশের পানিভর্তি ডোবায় মিরাজুল ইসলামের হাত–পা বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় সদর থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করে পুলিশ। এজাহারে বলা হয়, মিরাজুল ইসলামের কাছে থাকা অস্ত্র ও মালামাল ছিনিয়ে নিতে তাঁকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। ২০১২ সালের ২৮ জানুয়ারি ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।