সাভারে দুর্জয় শেখ (৪৮) নামের এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে সাভার পৌরসভা এলাকার কোটবাড়ি মহল্লা থেকে দুর্জয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানাধীন গোলপাড়া গ্রামের মৃত নাজিমউদ্দীনের ছেলে।
নিহতের স্ত্রী বিলকিস জানিয়েছেন, সাভারের কোটবাড়ি এলাকার আবুল হোসেনের বাড়িতে ভাড়ায় থেকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে কুলির কাজ করতেন দুর্জয়। সোমবার রাত ১১টার দিকে তিনি কারওয়ান বাজার থেকে বাসায় ফিরে খাবার খেয়ে রাত ১টার দিকে দোকানে সিগারেট কেনার কথা বলে বেরিয়ে যান। সারা রাত আর বাসায় ফিরেননি তিনি। সকালে স্থানীয়রা বাসা থেকে বেশকিছু দূরে দুর্জয়ের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে তার স্বজন ও পুলিশকে খবর দেন। স্বজনরা গিয়ে দুর্জয়কে শনাক্ত করেন। পুলিশ গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
দুর্জয়ের দেহে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাদের শেখ জানিয়েছেন, খবর পেয়ে দুর্জয়ের মরদেহ উদ্ধার করে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ধরতে এবং হত্যার কারণ জানতে তদন্ত করা হচ্ছে।
ঢাকা/সাব্বির/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে শ্বাসরোধে হত্যা, অভিযুক্ত আটক
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীর ধীপুর ইউনিয়নের ডুলিহাটা গ্রামের মো. হোসাইন (৭) নামের দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আরিয়ান ওরফে মাহিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যে, আজ রোববার সকালে ধীপুরের পলাশপুর পেশকারবাড়ি সংলগ্ন জঙ্গল থেকে নিখোঁজ হওয়ার দুইদিন পর ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত হোসাইন টঙ্গিবাড়ী উপজেলার ডুলিহাটা গ্রামের জুয়েল মিয়ার ছেলে। সে আড়িয়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত শুক্রবার বিকেলে খেলাধুলা করতে শিশু হোসাইন বাড়ি থেকে বের হয়ে সন্ধ্যার পরেও বাড়িতে ফিরে না যাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে স্বজনরা। পরে স্থানীয় সূত্রে স্বজনরা জানতে পারেন, বিকেলে তাকে প্রতিবেশী আরিয়ান ওরফে মাহিমের সঙ্গে বাইসাইকেলে ঘুরতে দেখা গেছে।
সেই সূত্র ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরিয়ান স্বীকার করে জানায়, শিশু হোসাইনকে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তার মরদেহ ধীপুর ইউনিয়নের পলাশপুর পেশকার বাড়ী সংলগ্ন জঙ্গলে ফেলে রেখেছে। এতে নিহত শিশুর পরিবার বিষয়টি পুলিশকে ঘটনা অবহিত করে। এরপরই পুলিশ অভিযুক্ত আরিয়ানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যা করার কথা জানিয়ে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দেয় এবং লাশ কোথায় আছে তা জানায়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে।
টঙ্গিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিদুল ইসলাম জানান, শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ঘাতক আরিয়ান হত্যার কথা স্বীকার করলেও কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে, তার রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এখনও হত্যার কারণ জানা যায়নি।