নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ৩ বছর মেয়াদি প্রকল্প
Published: 29th, May 2025 GMT
অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে একসঙ্গে কাজ করবে সরকার, নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবং জাতিসংঘ। এ জন্য নেওয়া হয়েছে তিন বছর মেয়াদি প্রকল্প ‘ব্যালট’। গতকাল বুধবার জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), নির্বাচন কমিশন এবং ইউএনডিপি গতকাল এ-সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। নির্বাচন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা জোরদার, ভোটারদের সচেতনতা ও নাগরিক সম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য ব্যালট প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া আইনি ও নির্বাচনী সংস্কার বাস্তবায়ন, নির্বাচনী সহিংসতা ও মিথ্যা তথ্য প্রচার রোধ এবং সামাজিক সুরক্ষা জোরদারে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
এই প্রকল্পের কাজ হবে দুই ধাপে। প্রথম ধাপে প্রযুক্তিগত, কারিগরি প্রস্তুতি এবং ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর উপায় নিয়ে কাজ হবে। দ্বিতীয় ধাপের লক্ষ্য সংস্কার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ এবং নির্বাচনী কাজের পর গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা জোরদার করা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ইসি, ইউএন উইমেন, ইউনেস্কো এবং সুশীল সমাজের সঙ্গে মিলে কাজ করা হবে।
ইআরডির সচিব মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রকল প
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশি ঋণ পরিশোধ ৩৫০ কোটি ডলার ছাড়াল
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) বাংলাদেশ বিদেশি ঋণ পেয়েছে ৫১৬ কোটি ডলার যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১১০ কোটি ডলার কম। অন্যদিকে একই সময়ে বাংলাদেশকে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে ৩৫০ কোটি ৭১ লাখ ডলার যা এযাবৎকালের সর্বোচ্চ। গত বছরের একই সময়ে বাংলাদেশকে পরিশোধ করতে হয়েছিল ২৮১ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের পুরো সময়ে ৩৩৭ কোটি ডলার শোধ করতে হয়েছিল। ফলে অর্থছাড় কমলেও গত অর্থবছরের চেয়ে এবার ঋণ পরিশোধ বেড়েছে বাংলাদেশের।
আজ বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগীদের মোট পরিশোধ করেছিল ৩৩৭ কোটি ডলার। সে তুলনায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে পরিশোধ করেছে ৩৫০ কোটি ডলার। যদিও এবার আগের অর্থবছরের তুলনায় অর্থছাড় ও নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি কমেছে।
ইআরডির কর্মকর্তারা বলছেন, মূলত বিগত সময়ে নেওয়া বেশ কিছু মেগা প্রকল্পের বড় অঙ্কের ঋণ ও বাজেট সহায়তার গ্রেস পিরিয়ড শেষ হয়ে যাওয়ায় ঋণ পরিশোধের চাপ ক্রমাগত বাড়ছে, যা আগামী বছরগুলোয় দেশের অর্থনীতির ওপর চাপ বাড়াতে পারে।
ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-এপ্রিল) বাংলাদেশে বৈদেশিক ঋণের আসল ও সুদ বাবদ মোট পরিশোধ করেছিল প্রায় ২৮১ কোটি ডলার। যার তুলনায় চলতি অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণের পরিশোধ বেড়েছে ২৪ শতাংশের বেশি।
এদিকে গত ১০ মাসে নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি এসেছে ৪২৫ কোটি ডলারের। যদিও আগের অর্থবছরের একই সময়ে ঋণের প্রতিশ্রুতি এসেছিল ৭৬০ কোটি ডলারের। অন্যদিকে গত অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে ঋণ ছাড় হয়েছিল ৬২৮ কোটি ডলারের। এবার এর পরিমাণ ৫১৬ কোটি ডলার।