ত্বকের যত্নে কী ব্যবহার করেন ক্যাটরিনা
Published: 31st, May 2025 GMT
বলিউড অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফের বয়স ৪০ পেরিয়েছি। তার সৌন্দর্যে এখনও মুগ্ধ ভক্তরা। নিজের মেকআপ ব্র্যান্ড থাকা সত্ত্বেও অভিনেত্রী কিন্তু ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপাদানের উপরই ভরসা রাখেন। বিশেষ করে অরগ্যানিক বা জৈব উপাদান দিয়ে তৈরি প্রসাধনী তার বিশেষ পছন্দের। শুনলে অবাক হবেন, বলিউডের এই অভিনেত্রী ত্বকের যত্নে নিয়মিত ব্যবহার করেন ওটমিল ও মধু ।
ওটমিলে বিটা-গ্লুকান নামের এক ধরনের ফাইবার রয়েছে। এই উপাদান একদিনে যেমন ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে, তেমনই নরম করে তোলে। ত্বক থেকে অতিরিক্ত সেবাম দূরে করে এবং ত্বকের প্রদাহ কমায়। অন্যদিকে মধু ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার পাশাপাশি ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
ওটস ও মধুর ফেসপ্যাকের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বককে ফ্রি র্যাডিকেলের হাত থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকের প্রদাহ কমায়। এই ফেসপ্যাক ব্রণের সমস্যা কমায়। সবচেয়ে বড় কথা যে কোনও ত্বকের উপর ওটস ও মধুর ফেসপ্যাক ব্যবহার করা যায়। এমনকী শুষ্ক ত্বকের জন্যও উপকারী এই ফেসপ্যাক।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন এই ফেসপ্যাক?
দু’চামচ ওটসের গুঁড়োর সঙ্গে ১ চামচ মধু ও ১ চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে ঘন পেস্ট বানিয়ে নিন। প্রথমে ক্লিনজ়ার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এর পর মুখে মেখে নিন ওটস ও মধুর ফেসপ্যাক। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তার পর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। শেষে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজ়ার মেখে নেবেন। সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করতে পারেন ওটস ও মধুর ফেসপ্যাক।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর ত বক র উপ দ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ডা. শফিকুর রহমান কাতার যাননি: জামায়াত
জামায়াতে ইসলামীর ডা. শফিকুর রহমান কাতারের রাজধানীর দোহায় বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে যে গুজব সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছে, তা খণ্ডন করেছে দল। জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম আজ রোববার বিবৃতিতে বলেছেন, হীন উদ্দেশে মিথ্যাচার করা হচ্ছে।
গত শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কয়েকজন ইনফ্লুয়েন্সার দাবি করেন, কাতারে মার্কিন চ্যার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স, বাংলাদেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ কয়েকজনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জামায়াত আমির। তিনি এখন কাতারেই রয়েছেন।
যদিও রোববার সকালে ঢাকা থেকে সৈয়দপুরে গিয়ে দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে যোগ দেন জামায়াতের আমির। রাতে তিনি ঢাকায় ফেরেন। তবে প্রোপাগান্ডামূলক একটি ওয়েবসাইট থেকে দাবি করা হয়, ২৮ মে দোহায় বৈঠক করেন জামায়াত আমির।
জামায়াত বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২৮ মে সকালে ঢাকার শাহবাগে প্রকাশ্য সমাবেশে বক্তৃতা করেন শফিকুর রহমান। একই দিন দুপুরে মগবাজারের আল-ফালাহ মিলনায়তনে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। বিকেলে গোলাম আযমের, সন্ধ্যায় আজিমপুর কবরস্থানে যথাক্রমে ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক ও এটিএম আজহারুল ইসলামের স্ত্রীর কবর জিয়ারত করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৯ মে বৃহস্পতিবার সারাদিন নিজ বাসায় ছিলেন জামায়াত। রাতে ছিলেন দলীয় কার্যালয়ে। পরেরদিন ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ছাত্রশিবিরের প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করেছেন। একইদিন সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে নির্বাহী পরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করেন। প্রতিটি কর্মসূচি ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। জামায়াত আমির বিদেশ গিয়ে থাকলে, বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে তথ্য থাকবে। কেউ চাইলে তা যাচাই করতে পারেন।
নিবন্ধন ফিরে পাওয়া ন্যায়বিচার
আপিল বিভাগের রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়াকে ন্যায়বিচার বলে আখ্যা দিয়েছেন জামায়াত আমির। রোববার বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, রায়ের মাধ্যমে আরও একটি জুলুম-নিপীড়নের অবসান হল। জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হল।