জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনোয়ারাকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় এইচআরএফবির নিন্দা
Published: 1st, June 2025 GMT
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালে হত্যাচেষ্টার অভিযোগের মামলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এস এম আনোয়ারা বেগমকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)। আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মানবাধিকার সংগঠনটি এই নিন্দা জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৬৯ বছর বয়সী একজন নারীকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় এইচআরএফবি ক্ষুব্ধ ও হতাশ।
হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ বলেছে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই রাজধানীর রায়সাহেব বাজারের কাছে স্টার হোটেলের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার চোখে গুলি লাগে। তিনি বাদী হয়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সূত্রাপুর থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। ঘটনার সঙ্গে আনোয়ারা বেগম জড়িত বলে আদালতকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে আনোয়ারা বেগমকে আটক করেন শিক্ষার্থীরা। পরে সূত্রাপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি চলমান মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনোয়ারা বেগমকে বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো হয়। ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জগন্নাথের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনোয়ারা বেগমের জামিন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এস এম আনোয়ারা বেগমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় গত বৃহস্পতিবার তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। ষাটোর্ধ্ব অধ্যাপক আনোয়ারাকে কারাগারে পাঠানোর নিন্দা জানিয়ে গতকাল বিবৃতি দিয়েছিল মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)।
আজ সোমবার অধ্যাপক আনোয়ারা বেগমের জামিন চেয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। শুনানি নিয়ে সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। আনোয়ারা বেগমের আইনজীবী ওবায়দুল ইসলাম প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জামিন আবেদনে উল্লেখ করা হয়, অধ্যাপক আনোয়ারা বেগমের বয়স ৭০ বছর। তিনি ৩৫ বছর যাবৎ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। অবসরপ্রাপ্ত এই অধ্যাপক একজন নারী। তিনি অসুস্থ। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী, তিনি জামিন পাওয়ার হকদার।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে বক্তব্য রাখা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত ৫০০ টাকা মুচলেকায় অধ্যাপক আনোয়ারার জামিন মঞ্জুর করেন। আদালতে আনোয়ারা বেগমের পক্ষে জামিন শুনানি করেন তাঁর আইনজীবী ওবায়দুল ইসলাম।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গত বুধবার আনোয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। আনোয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে ওই মামলা হয় রাজধানীর সূত্রাপুর থানায়। সূত্রাপুর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতকে বলা হয়, গত বছরের ১৯ জুলাই রায়সাহেব বাজারের কাছে স্টার হোটেলের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আন্দোলনকারী ও ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের উদ্দেশ্য করে গুলি চালানো হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের প্রত্যক্ষ প্ররোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এ ঘটনা ঘটান। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার চোখে গুলি লাগে। বাঁ চোখ দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। এ ঘটনায় সুজন মোল্লা বাদী হয়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সূত্রাপুর থানায় এই মামলা করেন।
আনোয়ারা বেগম একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সদস্য ছিলেন।
আরও পড়ুনকারাবন্দী অধ্যাপক আনোয়ারা চার বছর আগে অবসরে যান০১ জুন ২০২৫