ঈদের আগেই বেতন-বোনাস দাবি করেছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। 

রোববার ক্যাম্পাসের দুর্বার বাংলার সামনে মানববন্ধন করে তারা দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে অচলাবস্থা নিরসনের দাবি জানান।

কুয়েট ১০ দিন উপাচার্য শূন্য রয়েছে। এতে আর্থিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকায় ঈদের আগে বেতন-বোনাস নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন ১১ শতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী।

কুয়েট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কুয়েট কর্মকর্তা সমিতি ও কুয়েট কর্মচারী সমিতি যৌথ উদ্যোগে মানববন্ধন হয়। এতে সভাপতির বক্তব্যে কুয়েট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মঈনুল হক বলেন, ‘ঈদের আগে কর্মদিবস রয়েছে মাত্র দু’দিন–সোম ও মঙ্গলবার। এ অবস্থায় ঈদের আগে বেতন-বোনাস পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।’

মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন মো.

রোকুনুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ আবু হায়াৎ, প্রকৌশলী বাদশা মো. হারুন প্রমুখ।

আগামী ৪ থেকে ১৪ জুন কুয়েট বন্ধ থাকবে। ঈদের ছুটি শেষে খুলবে ১৫ জুন। ছুটি শুরুর আগে উপাচার্য নিয়োগের সম্ভাবনা ক্ষীণ। ফলে বেতন-বোনাসও হবে না।

ডেপুটি রেজিস্ট্রার আব্দুর রহমান বলেন, ‘উপাচার্য ছাড়া ব্যাংক থেকে বেতন-বোনাস উত্তোলনের সুযোগ নেই। গত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে রেজিস্ট্রার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন। নির্দেশনার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।’

এদিকে গত সাড়ে তিন মাস ধরে কুয়েটে ক্লাস-পরীক্ষা নিচ্ছেন না শিক্ষকরা। এতে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন সাড়ে ৭ হাজার শিক্ষার্থী। ঈদ সামনে রেখে সাতটি হলের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বাড়িতে চলে গেছেন।

কুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফারুক হোসেন বলেন, ‘নতুন উপাচার্য এলে আমরা তার কাছে দাবি তুলে ধরব। শিক্ষকদের লাঞ্ছনায় জড়িত শিক্ষার্থীদের শাস্তি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত কেউ ক্লাসে ফিরব না।’

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। সেখানে উপাচার্যসহ কয়েকজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করা হয়। ওইদিন থেকে বন্ধ রয়েছে ক্লাস-পরীক্ষা। শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে গত ২২ মে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য অধ্যাপক হযরত আলী পদত্যাগ করেন। এর পর থেকে উপাচার্য এবং গত ২৫ এপ্রিল থেকে উপ-উপাচার্যের পদ শূন্য রয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপ চ র য

এছাড়াও পড়ুন:

১ কোটি শিশু শিক্ষার্থীর অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে  মানববন্ধন, স্মারকলিপি

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিন্ডারগার্টেনর এক কোটি শিশু শিক্ষার্থীর অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে বন্দরে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের শিক্ষক-শিক্ষকারা।

সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল ১১টায় বন্দর উপজেলা কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে বন্দর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবারে স্মারকলিপি দাখিল করা হয়। 

মানববন্ধরে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের প্রধান এ এইচ এম শামীম আহমেদ, মহাসচিব সিদ্দিকুর রহমান, সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম রুবেল, শিক্ষক হাসান কবির, আনোয়ার হোসেন, আরিফ হোসেন, মাহবুব আলম, শামীমা আক্তার বর্ণা, রোকসানা আক্তার প্রমুখ। 

বক্তরা বলেন, বাংলাদেশে ৬৫ হাজার ৭শ’ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। যা দেশেরন ৫০ শতাংশ শিক্ষার চাহিদা পূরণ করে থাকে।  আর এ সকল স্কুলে প্রায় ১ কোটির অধিক শিশু শিক্ষার্থী লেখা পড়া করে। আর ৫ম শ্রেণীতে প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। যারা ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সরকারি বৃত্তিতে অংশ নিয়েছে। 

কিন্তু গত ১৭ জুলাই বর্তমান সরকার একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের বৃত্তিতে অংশ গ্রহণ বাতিল করে। যার কারণে ১ কোটি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার মুখে পতিত হয়েছে। 

বক্তরা আরো বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে ১৭ অনুচ্ছেদে দেশের সকল শিশুদের সমান অধিকার দেয়া হয়েছে। বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিশুদের বুত্তিতে অংশগ্রহণ করতে না দেয় মানে সংবিধানের ও মানবাধিকার লঙ্ঘন। আমরা এ প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। যাতে শিশুরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জকসুর পথরেখা ও সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম
  • জকসুর রোডম্যাপ ও সম্পূরক বৃত্তি দাবি শিক্ষার্থীদের
  • রূপগঞ্জে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
  • অবকাঠামো উন্নয়নের দাবিতে ববিতে মানববন্ধন
  • সিজু নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
  • মাদক ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুরে মিছিল-সমাবেশ
  • নেত্রকোনায় বাবরকে নিয়ে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর মন্তব্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে সরকারি মতিলাল ডিগ্রি কলেজে সম্মান কোর্স চালুর দাবিতে মানববন্ধন
  • ১ কোটি শিশু শিক্ষার্থীর অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন, স্মারকলিপি
  • ১ কোটি শিশু শিক্ষার্থীর অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে  মানববন্ধন, স্মারকলিপি