ঈদের আগে বেতন বোনাস দাবি কুয়েট শিক্ষক-কর্মচারীদের
Published: 1st, June 2025 GMT
ঈদের আগেই বেতন-বোনাস দাবি করেছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
রোববার ক্যাম্পাসের দুর্বার বাংলার সামনে মানববন্ধন করে তারা দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে অচলাবস্থা নিরসনের দাবি জানান।
কুয়েট ১০ দিন উপাচার্য শূন্য রয়েছে। এতে আর্থিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকায় ঈদের আগে বেতন-বোনাস নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন ১১ শতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী।
কুয়েট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কুয়েট কর্মকর্তা সমিতি ও কুয়েট কর্মচারী সমিতি যৌথ উদ্যোগে মানববন্ধন হয়। এতে সভাপতির বক্তব্যে কুয়েট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মঈনুল হক বলেন, ‘ঈদের আগে কর্মদিবস রয়েছে মাত্র দু’দিন–সোম ও মঙ্গলবার। এ অবস্থায় ঈদের আগে বেতন-বোনাস পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।’
মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন মো.
আগামী ৪ থেকে ১৪ জুন কুয়েট বন্ধ থাকবে। ঈদের ছুটি শেষে খুলবে ১৫ জুন। ছুটি শুরুর আগে উপাচার্য নিয়োগের সম্ভাবনা ক্ষীণ। ফলে বেতন-বোনাসও হবে না।
ডেপুটি রেজিস্ট্রার আব্দুর রহমান বলেন, ‘উপাচার্য ছাড়া ব্যাংক থেকে বেতন-বোনাস উত্তোলনের সুযোগ নেই। গত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে রেজিস্ট্রার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন। নির্দেশনার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।’
এদিকে গত সাড়ে তিন মাস ধরে কুয়েটে ক্লাস-পরীক্ষা নিচ্ছেন না শিক্ষকরা। এতে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন সাড়ে ৭ হাজার শিক্ষার্থী। ঈদ সামনে রেখে সাতটি হলের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বাড়িতে চলে গেছেন।
কুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফারুক হোসেন বলেন, ‘নতুন উপাচার্য এলে আমরা তার কাছে দাবি তুলে ধরব। শিক্ষকদের লাঞ্ছনায় জড়িত শিক্ষার্থীদের শাস্তি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত কেউ ক্লাসে ফিরব না।’
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। সেখানে উপাচার্যসহ কয়েকজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করা হয়। ওইদিন থেকে বন্ধ রয়েছে ক্লাস-পরীক্ষা। শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে গত ২২ মে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য অধ্যাপক হযরত আলী পদত্যাগ করেন। এর পর থেকে উপাচার্য এবং গত ২৫ এপ্রিল থেকে উপ-উপাচার্যের পদ শূন্য রয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপ চ র য
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে টানা কর্মসূচির ঘোষণা অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিশ এসআইদের
চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে টানা কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন ৪০তম ব্যাচের অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিশ (ক্যাডেট) উপপরিদর্শকেরা। এখন প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে এ কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা।
আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর গুলিস্তানে পুলিশ সদর দপ্তরের সামনের সড়কের এক পাশে মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা। অব্যাহতি পাওয়া ৪০তম ব্যাচের শিক্ষানবিশ (ক্যাডেট) উপপরিদর্শকদের পক্ষ থেকে এসআই রকিবুল হাসান এই ঘোষণা দেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করেন। সেগুলোতে লেখা ছিল—‘এক বছরের পরিশ্রম, বৃথা কেন জানতে চাই’, ‘দাবি মোদের একটাই, চাকরি পুনর্বহাল চাই’, ‘রাষ্ট্রের বোঝা নয়, সেবক হতে চাই’, ‘বেতন ছাড়া ৩৬৫ দিন, আমার চাকরি ফিরিয়ে দিন’, ‘লাল সবুজের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’।
অব্যাহতি পাওয়া এসআই রকিবুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অব্যাহতির পর আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে সবার কাছে আমাদের দাবি জানিয়েছি। সর্বশেষ গত ১৯ মে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছি। কিন্তু উনি ব্যস্ততার কারণে ওই দিন দেখা করতে পারেননি।’
আরও পড়ুনপুলিশ সদর দপ্তরের সামনে অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিশ এসআইদের মানববন্ধন১৯ মে ২০২৫রকিবুল আরও বলেন, ‘পুলিশের মহাপরিদর্শক এক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের সঙ্গে দেখা করার কথা বললেও দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। তাই আমরা আবার এসেছি। এখন থেকে চাকরি ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে আমাদের টানা কর্মসূচি চলবে।’
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া এসআইদের ভাষ্য, প্রশিক্ষণরত অবস্থায় অন্যায়ভাবে গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের মধ্যে চার ধাপে ৩২১ জনকে চাকিরচ্যুত করা হয়েছে। তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থনের ন্যূনতম সুযোগ দেওয়া হয়নি। অব্যাহতির পর ছয় মাস ধরে সরকারের কাছে দাবি জানালেও কেউ তাঁদের কথা শুনছেন না। বাধ্য হয়ে তাঁরা আইজিপির কাছে এসেছেন। কিন্তু তিনিও দেখা করছেন না। তাই এখন প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মানববন্ধন করবেন তাঁরা।
রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণ চলাকালে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে চার ধাপে ৪০তম ব্যাচের ৩২১ জন ক্যাডেট এসআইকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। নাশতা না খেয়ে হট্টগোল, প্রশিক্ষকের আদেশ না শোনা, অমনোযোগিতার মতো কারণ দেখিয়ে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। অব্যাহতি পাওয়ার পর থেকে তাঁরা চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।