যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলপন্থি বিক্ষোভে পেট্রোল বোমা হামলা
Published: 2nd, June 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের বোল্ডার শহরে ইসরায়েলপন্থি একটি বিক্ষোভে পেট্রল বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ছয়জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় রবিবার (১ জুন) দুপুরের দিকে এ হামলা হয়েছে।
সোমবার (২ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে বোল্ডারে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’ বলে চিৎকার করে এবং ঘরে তৈরি মলোটভ ককটেল (পেট্রোল বোমা) ছুঁড়ে মারলে ছয়জন আহত হন।
আরো পড়ুন:
শিগগিরই আলোচনায় বসবেন ট্রাম্প ও শি জিনপিং
ইরানের কাছে পরমাণু চুক্তির প্রস্তাব পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই) এটিকে ‘পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা’ আখ্যা দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে এফবিআই প্রধান ক্যাশ প্যাটেল বলেন, ‘আমরা কলোরাডোর বোল্ডারে একটি পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে অবগত এবং ঘটনাটির আদ্যোপান্ত তদন্ত করে দেখছি।’
ডেনভার ফিল্ড অফিসের দায়িত্বে থাকা এফবিআইয়ের বিশেষ এজেন্ট মার্ক মিশেলেক জানান, ৬৭ থেকে ৮৮ বছর বয়সী ছয়জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তত একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গায়ে জামা (শার্ট) না থাকা এক ব্যক্তি দুই হাতে স্বচ্ছ স্প্রে বোতল নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং তার সামনে ঘাসে আগুন জ্বলছে।
ভিডিওতে ওই ব্যক্তিকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, ‘জায়নবাদীরা নিপাত যাক’, ‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’, ‘তারা খুনি’। তিনি লাল টি-শার্ট পরা কয়েকজনের দিকে তাকিয়ে এই কথাগুলো বলছিলেন, যারা মাটিতে পড়ে থাকা একজনের শুশ্রূষা করছিলেন।
বোল্ডার পুলিশপ্রধান স্টিভ রেডফার্ন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুততম সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তিনি বলেন, “আমরা সেখানে পৌঁছানোর পর একাধিক আহত ব্যক্তিকে দেখতে পাই, যাদের শরীরে আগুনে পোড়া ও অন্যান্য ধরনের জখমের চিহ্ন ছিল।”
স্টিভ রেডফার্ন আরো বলেন, ঘটনাস্থলে পৌঁছেই পুলিশ তাৎক্ষণিক ওই সন্দেহভাজনের মুখোমুখি হয়। কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই তাকে আটক করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, রবিবার কলোরাডোতে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা গাজায় চলমান যুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় উচ্চ-মাত্রার হামলা।
এর আগে গত ২১ মে, ওয়াশিংটন ডিসির কেন্দ্রস্থলে ক্যাপিটাল ইহুদি জাদুঘরে একটি নেটওয়ার্কিং ইভেন্টের জন্য জড়ো হওয়া লোকদের উপর একজন ব্যক্তি গুলি চালিয়েছিল। এতে ইসরায়েলি দূতাবাসের দুই কর্মী নিহত হন। হামলাকারী এলিয়াস রদ্রিগেজকে গ্রেপ্তারের সময় তিনি ‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’ বলে স্লোগান দেয়। তার বিরুদ্ধে প্রথম-ডিগ্রি হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র য ক তর ষ ট র ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
ক্রিকেটারদের মনোবিদের কাছে পাঠানোর পরামর্শ নান্নুর
জাতীয় দলের বর্তমান কোচিং স্টাফের মধুচন্দ্রিমা শেষ হয়ে গেছে আগেই। এ কারণে আশা করা হয়েছিল দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুটা ভালো হবে। সেখানে প্রথম সিরিজে হোঁচট খায় আরব আমিরাতের কাছে সিরিজ হেরে। শারজাহর তিন ম্যাচ টি২০ সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে হারাটা ছিল ভীষণ লজ্জার।
পাকিস্তানেও সমর্থকদের হতাশায় ডুবিয়ে দুর্বল পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে তিন ম্যাচ টি২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। দলের ব্যর্থতার কারণ বিশ্লেষণে ব্যাটারদের ব্যর্থতার দায় দেখছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ক্রিকেটারদের মানসিকতায় ঘাটতির পাশাপাশি পরিকল্পনার ঘাটতি দেখেন।
জাতীয় দলের সাবেক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন মনে করেন, মনোবল হারিয়ে ফেলেছেন ক্রিকেটাররা। ‘পাকিস্তানে ফ্ল্যাট ট্র্যাক, বল স্কিড করে, ঘাস ছিল। সেখানে টেকনিক্যালি ভালো ব্যাটারকে খেলাতে হতো। নাজমুল হোসেন শান্তর ভালো করার সম্ভাবনা ছিল বেশি। এই টিম ম্যানেজমেন্ট কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি। বরং ব্যাটিং-বোলিং কোথাও পরিবর্তন হয়নি। বরং মনমানসিকতায় নিচে নেমে গেছে। এখান থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে একজন ভালো মনোবিদ নিয়োগ দিয়ে ক্রিকেটারদের নিয়ে আলাদা সেশন করতে হবে। খারাপ খেলার কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে। আমরা ব্যাটিং করতে পারিনি। আরব আমিরাতের সঙ্গেও না, পাকিস্তানেও না। যে উইকেটে খেলা হয়েছে সেখানে ২২৫ থেকে ২৩০ রান হওয়া উচিত ছিল।’ শ্রীলঙ্কা সফরের আগে ক্রিকেটারদের মানসিকভাবে চাঙা করার পরামর্শ দেন জাতীয় দলের সাবেক এ দুই অধিনায়ক।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের উইকেট ছিল রানের জন্য স্বর্গ। প্রথম ম্যাচে ১৬৪, দ্বিতীয় ম্যাচে ১৪৪ রান করেছেন তারা। শেষ ম্যাচে ওপেনিং জুটির কল্যাণে ১৯৬ রান করলেও বোলাররা ডিফেন করায় ব্যর্থ। সুজন বলেন, ‘পাকিস্তানের মাটিতে তাদের বিপক্ষে খেলা অনেক কঠিন। ওরা অনেক ভালো দল। হ্যাঁ, আমাদের ব্যাটিং-বোলিং ভালো হয়নি, দল হিসেবে পারফর্ম করতে পারিনি। দুঃখ লেগেছে আমিরাতের সঙ্গে পারফর্ম করতে না পারায়। যেখানে আমাদের ৩-০ ব্যবধানে জেতা উচিত ছিল সেখানে ২-১ ব্যবধানে হেরেছি। পাকিস্তানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ আশা করেছিলাম। কালকের (রোববার) ম্যাচে ভালো শুরু করার পরও ২০০ রানে যেতে পারেনি। সত্যি কথা বলতে বোলিংটাও ভালো হয়নি। আমার মনে হয় মুস্তাফিজ আর তাসকিন বড় ম্যাটার করে। তারা না থাকলে বোলিং বিভাগ দুর্বল হয়ে পড়ে। এ ছাড়া একজন বাঁহাতি স্পিনারের ঘাটতি আছে।’