নারায়ণগঞ্জে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
Published: 2nd, June 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে আজিম (৩০) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার বাবা ও দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। সোমবার (২ জুন) সকালে উপজেলার দক্ষিণ ঘারমোড়া নাজিরাপট্টি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক।
নিহতের স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘‘সকালে পারিবারিক বিষয়ে আজিমের সঙ্গে তার বাবা দিদার ও দুই ভাই আনোয়ার এবং মোহাম্মদ আলীর কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা আজিমকে ইট ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’’
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘পারিবারিক কলহের জেরে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।’’
আরো পড়ুন:
মেজর সিনহা হত্যা: হাইকোর্টের রায় আজ
সীমান্তে বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার পর লাশ নিয়ে গেছে বিএসএফ
ঢাকা/অনিক/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য হত য র
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে বহিষ্কৃত যুবদল নেতার সাথে একই মঞ্চে জেলা যুবদলের আহবায়ক, ক্ষোভ
সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজির দায়ে বহিষ্কৃত যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ ভূইয়ার সাথে একই মঞ্চে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আহবায়ক সাদেকুর রহমান সাদেককে দেখে নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
একই মঞ্চে তাদের অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় পুরো জেলায় যুবদলের নেতাকর্মী মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় নেতাকর্মীদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় বইছে।
গত রবিবার বিকেলে উপজেলার পেরাবো এলাকার ফান ল্যান্ড পার্কে শহীদ জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে বসে বিভিন্ন আলাপ ও দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিতে দেখা যায়। এরপর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, দখলবাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৩ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় যুবদলের দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আশরাফ ভূঁইয়াকে সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়কের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
সেই বিজ্ঞপ্তিতে যুবদলের নেতাকর্মীদের তার সাথে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাংগঠনিক সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আহবায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক তার সাথে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেই যাচ্ছেন। এতে একাধিবার বিতর্ক সৃষ্টি হলেও এবার পুরো জেলায় টক অফ দ্যা টাউন এ পরিনত হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, বহিষ্কার হওয়ার পর থেকেই জেলা যুবদলের আহবায়ক সাদেকুর রহমান সাদেকের সঙ্গে আঁতাত করে রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন আশরাফ ভূঁইয়া। এছাড়াও বহিষ্কৃত এ নেতা আশরাফ ভূঁইয়ার সাথে সোনারগাঁ থানায় চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারী রাতে একটি সালিশি বৈঠকে ওসির কক্ষে সাদেকুর রহমান সাদেককে দেখা গিয়েছে।
সম্প্রতি নারায়গঞ্জের সোনারগাঁয়ের ২১মে একটি অভিজাত রেষ্টুরেন্টে তারুণ্যের সমাবেশের প্রস্তুতি সভায় সাদেকুর রহমান সাদেকের বলয়ে কিছু সংখ্যক লোক নিয়ে কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল কবির পল ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল হক জিয়ার সামনে আশরাফ ভূইয়া বসলে হৈ চৈ শুরু হয়।
পরে আশরাফ ভূইয়ার সাংগঠনিক ভাবে বহিষ্কার হওয়া সত্বেও অনুষ্ঠানে আসায় তাকে শাসিয়ে সভা কক্ষ থেকে বের করে দেন রেজাউল কবির পল। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ নিয়েও নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। যুবদলের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বহিষ্কৃত নেতা আশরাফ ভূইয়া নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আহবায়ককে ব্যবহার করে জামপুর ইউনিয়নে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। কিছুতেই তার লাগাম টানা যাচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জেলা যুবদল নেতা জানান, আশরাফ ভূইয়াকে চাঁদাবাজি ও তার উশৃংখলার সত্যতা পেয়েই কেন্দ্র থেকে সরাসরি বহিষ্কার করা হয়। একই সাথে তার সাথে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখতে যুবদলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়। জেলা আহবায়কের এমন কর্মকান্ড সাংগঠনিক বহির্ভূত।
সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক শহিদুর রহমান স্বপন বলেন, আমরা জিয়াউর রহমানের আদর্শে রাজনীতি করি। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আশরাফ ভূঁইয়াকে বহিস্কারের পাশাপাশি তার সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে রাজনীতি করি। কেউ তার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক রেখে তাকে সঙ্গে নিয়ে সভা, সমাবেশ করলে দায় ভার তার নিজের নিতে হবে।
নারায়ণগঞ্জে জেলা যুবদলের আহবায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক বলেন, সোনারগাঁয়ের ২১ মে একটি অভিজাত রেষ্টুরেন্টে তারুণ্যের সমাবেশের প্রস্তুতি সভা শেষে কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল কবির পল তাকে ঢাকায় সমাবেশে নেতাকর্মী নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছেন।
তবে দলের প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুবার্ষিকী আশরাফ ব্যক্তিগতভাবে পালন করেছেন। দলীয় পদ ব্যবহার না করে অনুষ্ঠান করেছেন। সেই অনুষ্ঠানে আমাকে অতিথি করেছেন, আমি গিয়েছে। বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত আসেনি।