বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে চোরাচালানিদের হামলায় তিনজন বিজিবির সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে শফিকুল ইসলাম নামে বিজিবির একজন ল্যান্স নায়েকের কাঁধের হাড় ভেঙে গেছে। হামলাকারীরা বিজিবির জব্দ করা ১৩টি চোরাই গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।

গতকাল রোববার বিকেলে নাইক্ষ্যংছড়ির চাকধালা এলাকার উত্তর সালামীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ সোমবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মামলা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, গতকাল বিকেলে বিজিবির একটি টহল দল চাকধালার উত্তর সালামীপাড়ায় যায়। এ সময় একদল চোরাচালানি গরু নিয়ে আসছিল। চোরাকারবারিরা বিজিবি সদস্যদের আসতে দেখে প্রথমে পালিয়ে যায়। এরপর বিজিবি সদস্যরা সীমান্ত পথে নিয়ে আসা ১৮টি গরু জব্দ করেন। গরু নিয়ে বিজিবি সদস্যরা ফেরার সময় চোরাকারবারিরা দেশি বন্দুকের গুলি ছোড়ে ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়।

এ ঘটনায় আজ নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন বিজিবি সদস্য এ এম নুর ইসলাম। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, চোরাকারবারিরা প্রথমে দেশি বন্দুকের গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। কিন্তু এরপরও বিজিবি সদস্যরা গরু জব্দ করায় ২০ থেকে ২৫ জন চোরাকারবারি লাঠিসোঁটা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা বেধড়ক মারধর করে বিজিবি সদস্যদের। হামলাকারীরা ১৩টি গরু ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। হামলায় ল্যান্স নায়েক শফিকুল ইসলামের কাঁধের হাড় ভেঙে যায়। নজরুল ইসলাম ও সোহাগ নামে আরও দুজন আহত হয়েছেন।

মামলায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন আক্তার কামাল (৩৫), মো.

মিজান (২৫), মো. কাদির (৩৫), ইয়াসিন আরাফাত (৩২), মিজানুর রহমান (৩৭), শাকিল (৩৬), আব্দুর রহিম (৪০), মো. শাহিন (৩৫), মোহাম্মদ হোসেন (৪১), নুর মোহাম্মদ (৩২), নুরুল আমিন (৩৪), হামিদ হোসেন (৪০) ও শোয়াইব (২৮)।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসরুরুল হক জানিয়েছেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে চোরাচালান, সরকারি কাজে বাধা প্রদান ও হত্যাচেষ্টার মামলা করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ র ক রব র সদস য ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিলিন্ডারবোঝাই ট্রাক খাদে পড়ে বিস্ফোরণ, পুরো এলাকায় আতঙ্ক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্যাসের সিলিন্ডারবোঝাই একটি ট্রাক সড়কের পাশে খাদে পড়ে উল্টে যায়। এতে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়। আজ বুধবার ভোর সোয়া চারটার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের শহরতলির বিরাসার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এতে হতাহত হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।

স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, গ্যাসের সিলিন্ডারবোঝাই ট্রাকটি ঢাকার সাভার থেকে ছেড়ে আসে। কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরতলির বিরাসার এলাকায় সড়কের পাশের খাদে আগে থেকেই একটি প্রাইভেট কার পড়ে ছিল। ভোরে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে সেই প্রাইভেট কারের ওপর পড়ে। এতে বিকট শব্দে একাধিক সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয় এবং আগুন ছড়িয়ে পড়ে ট্রাক ও প্রাইভেট কারে। বিস্ফোরণের শব্দে আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। আগুনের তাপে আশপাশের তিন থেকে চারটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বিস্ফোরণের প্রচণ্ড শব্দে কয়েকটি ভবনের জানালার কাচ ভেঙে যায়। এতে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের উভয় পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। হতাহত হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।

খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পুলিশ এবং সরাইল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় লোকজন বলেন, আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত চার লেন সড়কের নির্মাণকাজ চলায় বিরাসার এলাকার সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় আছে। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। খানাখন্দের কারণে যানবাহন উল্টে যাওয়ার ঘটনা নিয়মিত ঘটছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিরাসার এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডারবোঝাই ট্রাকে আগুন লাগার পর ঘটনাস্থলে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আজ বুধবার ভোরে

সম্পর্কিত নিবন্ধ