টাঙ্গাইলে ট্রাকের পেছনে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় তিনজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কের বাসাইল উপজেলার করাতিপাড়া বাইপাস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, করাতিপাড়া বাইপাস এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে মাইক্রোবাস ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় তিনজন নিহত হন এবং আহত হয় আরও তিনজন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

প্রত্যেক বাহিনীকেই গুমের কাজে ব্যবহার করেছে আ’লীগ

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ভিন্নমতাবলম্বীদের গুম করতে প্রত্যেক বাহিনীকেই ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), ডিবি ও সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ছাড়াও রয়েছে অন্যান্য বাহিনী। বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াতের অনুসারী নেতাকর্মীরা সবচেয়ে বেশি গুমের শিকার হয়েছেন। 

গতকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে গুম কমিশনের দেওয়া দ্বিতীয় পর্বের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এ পর্যন্ত পড়া ১ হাজার ৮৫০টি অভিযোগের মধ্যে ১ হাজার ৩৫০টি অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে এ মতামত দিয়েছে কমিশন। ২০২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে প্রতিটি বাহিনী কীভাবে গুমের সঙ্গে জড়িত ছিল তার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাহিনীর সদস্যরা তাদের ধরে নিয়ে নির্যাতন এবং পরে ক্রসফায়ারে দিয়েছে। যেসব সংস্থা গুমের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল তারা বেশির ভাগই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন। পুলিশ, র‌্যাব, এনএসআই, সিআইডি, ডিবি, কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের মতো বাহিনীগুলো এ কাজ করেছে। র‌্যাবের বিষয়ে বলা হয়েছে, তাদের ১৫টি ব্যাটালিয়ান সারাদেশে কাজ করেছে। এদের প্রত্যেকটি ব্যাটালিয়নের মাধ্যমেই গুমের ঘটনা ঘটেছে। এসব গুমের বিষয়ে র‌্যাবের ডিজি, এডিজিসহ শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তরা অবগত থাকতেন। গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত গুমের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল সংস্থাটি। 

ডিবির নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগীরা তদন্ত কমিটিকে জানিয়েছেন, তারা ধরে নিয়ে যখন-তখন নির্যাতন করত। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটাত। সামরিক গোয়েন্দা সংস্থাকে (ডিজিএফআই) বিগত আওয়ামী লীগ সরকার দলীয় কাজে ব্যবহার করেছে। 

জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসআই) যেখানে দেশের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য প্রদানের কথা, সেখানে এই সংস্থাটিকেও বিরোধী মত দমনপীড়নে ব্যবহার করা হয়েছে। 

সীমান্ত রক্ষাবাহিনী বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডও (বিজিবি) গুমের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছিল। কখনও গুমের শিকার ব্যক্তিকে ভিন্ন দেশে বিশেষ করে ভারত ও মিয়ানমারে পাঠিয়ে দিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ, মেহেদী হাসান ডলার ও রহমতুল্লাহর নাম উল্লেখ করা হয়।
যারা গুম বা অপহরণের শিকার হয়েছে কখনও ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলেও নেওয়া হয়নি। 

প্রতিবেদনে বছরওয়ারি কতজন গুম হয়েছেন যাদের কোনো হদিস মেলেনি, তার একটি গ্রাফও তুলে ধরা হয়েছে। ২০১৭ সালে ৫১ জন গুম হয়েছেন। এ ছাড়া প্রত্যেক বছরই বিভিন্ন সংখ্যক মানুষ গুমের শিকার হয়েছেন বলে বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ