সোনারগাঁয়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
Published: 3rd, June 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জে খুন ও ডাকাতি মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মোঃ রাসেলকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব -১১ এর সিপিএসসির স্কোয়াড কমান্ডার মোঃ শামসুর রহমান।
এর আগে সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব । গ্রেপ্তারকৃত আসামি মোঃ রাসেল (৩০) ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর থানার মজিবর তালুকদারের ছেলে।
র্যাব জানায়, ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি রাতে সাগর নামের এক ব্যাক্তি আরএফএল কোম্পানীর কাভার্ড ভ্যান চট্টগ্রাম ডিপো হতে নরসিংদী ঘোড়াশাল যাওয়ার পথে সোনারগাঁও থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আষাঢ়িয়ারচর ব্রীজের পূর্ব পার্শ্বে ঢাকাগামী লেনের রাস্তার পাশে পৌঁছে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার জন্য ড্রাইভার মোঃ হোসেন আলী কাভার্ড ভ্যানটি থামালে ড্রাইভার এবং এজাহারকারীর ভাই হেলপার মোঃ সাগর কাভার্ডভ্যান হতে প্রসাব করার জন্য নীচে নামেন।
তারা প্রসাব করার পরপরই অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন্য ডাকাত চাকু, ছুরিসহ এসে তাদের চাকু ও ছুরি দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের নিকট যা কিছু আছে তা দিয়ে দিতে বলে। এসময় ডাকাতদলের সাথে সাগরের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু করে এবং একপর্যায়ে ডাকাতরা ধারালো চাকু ও ছুরি দিয়ে সাগরকে এলাপাথারীভাবে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। একপর্যায়ে আসামিরা সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ঘটনার পরপরই হাইওয়ের টহলরত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে কাভার্ড ভ্যানের ড্রাইভার মোঃ হোসেন আলী পুলিশের সহায়তায় সাগরকে দ্রুত সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার সাগরকে মৃত ঘোষনা করেন। পরে নিহতের বড় ভাই মোঃ আসাদুল ইসলাম বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি খুনসহ ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, মামলার বিচারকার্য শেষে গত ২৮ মে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো.
গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য সোনারগাঁ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ স ন রগ ত আস ম
এছাড়াও পড়ুন:
তুরস্কে বিরোধী সিএইচপি–দলীয় আরও পাঁচ মেয়র গ্রেপ্তার
তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) আরও পাঁচ মেয়রসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে দুর্নীতির অভিযোগে চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। সিএইচপির একজন মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন।
সিএইচপির গ্রেপ্তার পাঁচ মেয়রের মধ্যে তিনজন ইস্তাম্বুলের জেলা মেয়র। অন্য দুজন দক্ষিণাঞ্চলীয় আদানা প্রদেশের মেয়র। এ ছাড়া দলটির সাবেক এক সংসদ সদস্যকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নতুন গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের নিয়ে এখন পর্যন্ত সিএইচপির মোট ৯ মেয়রকে গ্রেপ্তার করা হলো। তাঁদের মধ্যে ইস্তাম্বুল নগরের মেয়র একরেম ইমামোগলুও রয়েছেন। জনপ্রিয় এই রাজনীতিবিদ দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী।
ইমামোগলুকে গ্রেপ্তার করা হয় গত ১৯ মার্চ। তাঁকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে তুরস্কে এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভে সিএইচপির সমর্থকদের পাশাপাশি সমাজের নানা অংশ ও গোষ্ঠীর বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশ নেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইস্তাম্বুলের চারটি পৃথক দুর্নীতি মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে গত শনিবার গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করছে কর্তৃপক্ষ। ওই দিনই ৪৭ জন পৌর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
পুলিশ এরই মধ্যে ইস্তাম্বুল সিটি হলের দুর্নীতির অভিযোগে প্রায় ৭০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের মধ্যে ইমামোগলুর ব্যক্তিগত সচিব ও তাঁর নিরাপত্তা কর্মকর্তাও রয়েছে।
সিএইচপি ইতিমধ্যে ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইমামোগলুকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। বিভিন্ন জরিপে তিনি এরদোয়ানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তবে নির্বাচনে তিনি অংশ নিতে পারবেন কি না, তা বিচার কার্যক্রমের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে।
২২ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা এরদোয়ান পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন। পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নিতে হলে তা নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে এগিয়ে আনতে হবে। কিছু বিশ্লেষক মনে করেন, এরদোয়ান পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন।