নারায়ণগঞ্জে খুন ও ডাকাতি মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মোঃ রাসেলকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব -১১ এর সিপিএসসির স্কোয়াড কমান্ডার মোঃ শামসুর রহমান। 

এর আগে সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব । গ্রেপ্তারকৃত আসামি মোঃ রাসেল (৩০) ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর থানার মজিবর তালুকদারের ছেলে।

র‌্যাব জানায়, ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি রাতে সাগর নামের এক ব্যাক্তি আরএফএল কোম্পানীর কাভার্ড ভ্যান চট্টগ্রাম ডিপো হতে নরসিংদী ঘোড়াশাল যাওয়ার পথে সোনারগাঁও থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আষাঢ়িয়ারচর ব্রীজের পূর্ব পার্শ্বে ঢাকাগামী লেনের রাস্তার পাশে পৌঁছে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার জন্য ড্রাইভার মোঃ হোসেন আলী কাভার্ড ভ্যানটি থামালে ড্রাইভার এবং এজাহারকারীর ভাই হেলপার মোঃ সাগর কাভার্ডভ্যান হতে প্রসাব করার জন্য নীচে নামেন। 

তারা প্রসাব করার পরপরই অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন্য ডাকাত চাকু, ছুরিসহ এসে তাদের চাকু ও ছুরি দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের নিকট যা কিছু আছে তা দিয়ে দিতে বলে। এসময় ডাকাতদলের সাথে সাগরের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু করে এবং একপর্যায়ে ডাকাতরা ধারালো চাকু ও ছুরি দিয়ে সাগরকে এলাপাথারীভাবে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। একপর্যায়ে আসামিরা সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ঘটনার পরপরই হাইওয়ের টহলরত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে কাভার্ড ভ্যানের ড্রাইভার মোঃ হোসেন আলী পুলিশের সহায়তায় সাগরকে দ্রুত সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার সাগরকে মৃত ঘোষনা করেন। পরে নিহতের বড় ভাই মোঃ আসাদুল ইসলাম বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি খুনসহ ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, মামলার বিচারকার্য শেষে গত ২৮ মে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো.

আবু শামীম আজাদ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ডাকাতির সাথে জড়িত পলাতক আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ড প্রদান করেছেন। একই সাথে তাদের সবাইকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য সোনারগাঁ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ স ন রগ ত আস ম

এছাড়াও পড়ুন:

শিল্পের আয়নায় অতীতের ছবি

বিগত শতকের ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৫, এই দুই দশক ছিল দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাসের খুবই তাৎপর্যময় ঘটনাবহুল সময়। একই সঙ্গে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলেও এই কালপর্বে সমাজতন্ত্রের পতনসহ এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে যা মানুষের বিশ্বাস, আদর্শ, চিন্তা, অভিব্যক্তি ও জীবনাচরণে নানাভাবে প্রভাব রেখেছে। শিল্পীদের ভাবনায় সমকাল কেমনভাবে তার সৃজনকলায় উদ্ভাসিত হয়েছিল, তার একঝলক দেখে নেওয়ার সুযোগ তৈরি হলো কলাকেন্দ্রে।

গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন বিকেলে লালমাটিয়ার ডি ব্লকের ৯/৪ নম্বর বাড়ির কলাকেন্দ্রে শুরু হলো ‘ফিরে দেখা’ নামে ১৪ শিল্পীর যৌথ শিল্পকর্ম প্রদর্শনী।

এই প্রদর্শনীতে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ পর্বে যাঁরা চারুকলার শিক্ষার্থী ছিলেন, তাঁরা পরবর্তীকালে ‘ঢাকা পেইন্টার্স’, ‘সময় গ্রুপ’সহ বেশ কিছু গোষ্ঠী গড়ে তুলেছিলেন। তাঁদের মধ্য থেকেই কাজী রাকিব, দীপা হক, ঢালী আল মামুন, দিলারা বেগম জলি, নিসার হোসেন, শিশির ভট্টাচার্য, সাইদুল হক জুইস, ফারেহা জেবা, রতন মজুমদার, হাবিবুর রহমান, রুহুল আমিন কাজল, লালা রুখ সেলিম, তৌফিকুর রহমান ও ওয়াকিলুর রহমানের প্রায় ৬০টি শিল্পকর্ম নিয়ে এই ‘ফিরে দেখা’ প্রদর্শনী।

শিল্পীরা মূলত আশি ও নব্বই দশকে যেসব কাজ করেছিলেন, তার কিছু কিছু নমুনা রয়েছে এখানে। অধিকাংশ কাজই শিল্পীদের ব্যক্তিগত সংগ্রহের। ছাপচিত্র, জলরং, ড্রয়িং, মিশ্রমাধ্যম, অ্যাক্রিলিকসহ বিভিন্ন মাধ্যমের চিত্রকলা ও ভাস্কর্য রয়েছে প্রদর্শনীতে। প্রদর্শনী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল চারটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত সবার জন্য খোলা থাকবে।

কলাকেন্দ্রের প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রচলিত অর্থে কোনো প্রধান বা বিশেষ অতিথি থাকেন না। প্রদর্শনীর কাজ নিয়ে এক বা একাধিক আলোচক আলোচনা করেন। সূচনা বক্তব্যে কলাকেন্দ্রের পরিচালক শিল্পী ওয়াকিলুর রহমান বলেন, স্বাধীনতা–পরবর্তীকালে দুই দশকজুড়ে সমাজ ও সমকালীন ভাবনা ও মনোভাব শিল্পীদের কাজে যেভাবে প্রকাশ পেয়েছিল, তার একটি খণ্ডচিত্র এই প্রদর্শনীতে পাওয়া যাবে।

‘ফিরে দেখা’ প্রদর্শনীটির মূল আলোচক ছিলেন অধ্যাপক আবুল মনসুর। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে বিগত সময়ের শিল্পীদের কাজ দেখা ও পর্যালোচনার সুযোগ কম। সরকারিভাবেও তেমন উদ্যোগ নেই। ফলে নতুন প্রজন্ম বিগত শিল্পীদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পর্কে জানতেই পারে না। দেশের ইতিহাসে ১৯৭০ থেকে ১৯৯০ এক বিশেষ অধ্যায়। এ সময় রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ রূপান্তরের প্রভাব শিল্পকলায় প্রতিফলিত হয়েছিল। সে সময়ের তরুণ শিল্পীরা বৈশ্বিক ও স্থানীয় পরিবর্তন, ইতিহাস ঐতিহ্য, আপন সংস্কৃতিকে তাঁদের নিজেদের মতো করে ধারণ করেছিলেন। তাঁরা যে শিল্পভাষা, ভাবনা, উপকরণ, উপস্থাপনা নিয়ে কাজ করেছিলেন, পরবর্তীকালে তা আমাদের চিত্রকলায় এক নতুন গতিমুখ তৈরি করেছে। সেই তরুণদের অনেকেই তাঁদের কাজের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছেন। নিজের কাজে অনেক পরিণত হয়েছেন। খ্যাতি অর্জন করে বর্তমানে দেশের অন্যতম শিল্পী হয়ে উঠেছেন। পরবর্তী প্রজন্মের শিল্পীদের নানাভাবে পথ দেখিয়েছেন।’

শিল্পের আয়নায় অতীতকে দেখার সুযোগ পাবেন দর্শকেরা এই প্রদর্শনীতে এলে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আজ মহাকাশে গিয়েছিল লাইকা
  • কুবিতে খেলার মাঠে মারামারির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
  • খুলনায় বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল, ভোলা সদরে কার্যক্রম স্থগিত
  • দুই শিশুর ঝগড়ায় জড়ালেন বড়রা, বড় ভাইয়ের হাতে খুন ছোট ভাই
  • রাজশাহীতে ‘প্রেমিকার’ সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার কিশোরের মৃত্যু
  • ১০০ কোটির সম্পদ, স্বামীর প্রতারণা, ৪৭ বছর বয়সেই মারা যান এই নায়িকা
  • প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার কিশোরের মৃত্যু
  • তানজানিয়ায় ‘সহিংস’ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী সামিয়া
  • শিল্পের আয়নায় অতীতের ছবি
  • মোহাম্মদপুরে বাসে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তরুণীকে হেনস্তার ভিডিও ভাইরাল, হেনস্তাকারী গ্রেপ্তার