বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে হজের আনুষ্ঠানিকতা। ৮ জিলহজ হজযাত্রীরা মিনার উদ্দেশে রওয়ানা হবেন। বাংলাদেশি হাজিদের সেবায় মিনায় দায়িত্ব পালন করবে ১৮টি টিম।

মঙ্গলবার (৩ জুন) সৌদি আরবের মক্কা আল মোকাররমায় বাংলাদেশ হজ অফিস হতে এসকল টিম গঠন সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।

সোমবার হজ মনিটরিং কমিটির সভায় হজযাত্রীদের হজ পালন সহজ ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব অর্পণ করে বিভিন্ন টিম গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সিদ্ধান্তের আলোকেই কাউন্সিলর (হজ) এই আদেশ জারি করেন।

আরো পড়ুন:

হজযাত্রীদের সর্বোত্তম সেবা দিতে চায় সরকার: ধর্ম উপদেষ্টা

মেহজাবীনকে কেন ‘চার্লি চ্যাপলিন’ বলছেন?

সরকারি মাধ্যমে আগত হজযাত্রীদেরকে মিনায় পৌঁছানো ও হজ শেষে মিনা থেকে তাদের হোটেলে ফেরত আনার জন্য চারটি টিম গঠন করা হয়েছে। এই চারটি টিমে দায়িত্ব পালন করবে ১০ জন কর্মকর্তা। হজযাত্রীদের পথনির্দেশ ও প্রয়োজনীয় সহায়তায় মিনার ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিয়োজিত থাকবে ছয়টি টিম। এই ছয়টি স্থানে তিন শিফটে প্রশাসনিক, কারিগরি ও প্রশাসনিক সহায়তাকারী টিমের ৮৭জন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দায়িত্ব পালন করবেন।

বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের তাবু পরিদর্শনে গঠন করা হয়েছে আটটি দল। ২৩ সদস্য বিশিষ্ট এই দলসমূহ স্বতন্ত্রভাবে মিনার ৫ নম্বর জোনে বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী কোম্পানির তাবুসমূহ পরিদর্শন করবেন।

এ বছর বেসরকারি হজ এজেন্সিসমূহ তাদের মাধ্যমে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের সেবায় আটটি সেবা প্রদানকারী কোম্পানির সাথে চুক্তি সম্পাদন করেছে। কোম্পানিসমূহ হলো রাউয়াফ মিনা, ইসওর আল মাশায়ের, এম বাই মিলেনিয়াম, রেহলাত মানাফে, একরাম আদ দইউফ, মাশারিক আল মুতামাইজাহ, ফ্লাইনাস ও আল রিফাদাহ।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হজ হজয ত র দ র

এছাড়াও পড়ুন:

দাসত্বের সংস্কৃতি থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি: শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট রেজিম যে দাসত্বের সংস্কৃতি চালু করেছিল আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছি। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দলীয় লেজুরবৃত্তি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।”

বুধবার (৩০ জুলাই) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের লেভেল-১, সেমিস্টার-১ এ ভর্তিকৃত নবীণ শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, “জুলাই ২৪ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা জাতি হিসেবে পুনর্জন্ম লাভ করেছি। গত ১৭ বছর আমরা আমাদের নাগরিকত্ব সপে দিয়েছিলাম একটি ফ্যাসিবাদ সরকারের কাছে। যারা পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে দাসত্বের চুক্তি করেছিল। আমরা কখনো ভাবিনি এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব হবে।” 

আরো পড়ুন:

কৃষি উপদেষ্টা-চীনা রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ 

আইএমও কাউন্সিল নির্বাচনে জিবুতির সমর্থন চাইল বাংলাদেশ

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “খুন, আয়নাঘর, বিচারহীনতার মধ্য দিয়ে চলছিল এই বাংলাদেশ। এর থেকে পরিত্রাণ তোমরাই দিয়েছো। ছাত্র-জনতার এই অর্জনকে ম্লান হতে দেওয়া যাবে না।”

‍“নতুন বাংলাদেশে তোমরা নিজেদেরকে আপন স্বকীয়তায় উপস্থাপন করবে, রাজনৈতিক দলগুলো কিভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে তা তোমরা নির্ধারন করবে। তোমাদের ধৈর্যশীল ও রুচিশীলতার পাশাপাশি উন্নত মনের বিবেকবান ও সুন্দর মনের মানুষের পরিচয় দিতে হবে”, যোগ করেন তিনি। 

উপদেষ্টা বলেন, “পেশিশক্তির ব্যবহার রোধ করতে হবে। সহনশীলতা ও সহমর্মিতার সংস্কৃতি চালু করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে সহশিক্ষার কার্যক্রমে গুরুত্বারোপের পাশাপাশি সমাজে পিছিয়ে পরাদের এগিয়ে নিতে সহায়তা করতে হবে।”

ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, “নবীন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমে নিজেদের সম্পৃক্ত করে মেলে ধরবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গ্লোবাল নলেজ বাড়ানোর জন্য বিশ্ব আঙ্গিকে লাইব্রেরিকে উপযুক্ত করতে হবে, যা গবেষণার কাজকে আরো ত্বরান্বিত করবে।”

ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সামিউল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিকৃবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ.টি.এম. মাহবুব-ই-ইলাহী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কাওছার হোসেন, প্রক্টর প্রফেসর ড. জসিম উদ্দিন আহাম্মদ, রেজিস্ট্রার (অ.দা) প্রফেসর ড. মো. আসাদ-উদ-দৌলা।

ঢাকা/নূর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ