কোরবানির ঈদ সামনে রেখে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় পদ্মা সেতু হয়ে ঘরমুখী যাত্রী ও যানবাহন পারাপার বেড়েছে। গত বুধবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত এই সেতু দিয়ে ৫২ হাজার ৪৮৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ সময় টোল আদায় করা হয়েছে ৫ কোটি ৪৩ লাখ ২৮ হাজার ১০০ টাকা।

পদ্মা সেতুতে রেকর্ড পরিমাণ টোল আদায় ও যানবাহন পারাপারের বিষয়ে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ আজ শুক্রবার সকালে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায়।

গত বছর পবিত্র ঈদুল ফিতরে এক দিনে টোল আদায় করা হয়েছিল ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা, যা ছিল পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সর্বোচ্চ টোল।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ৩৫ হাজার ৯৮৫টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্ত দিয়ে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ৮০০ টাকা। জাজিরা প্রান্ত দিয়ে পদ্মা সেতু পার হয়েছে ১৬ হাজার ৫০২টি গাড়ি। এ সময় এ প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ২৬ লাখ ৮৪ হাজার ২০০ টাকা।

এর আগে ২০২৪ সালের ১৪ জুন টোল আদায় হয়েছিল ৪ কোটি ৮০ লাখ ৩০ হাজার ১০০ টাকা। এযাবৎকালের তৃতীয় সর্বোচ্চ ও চতুর্থ সর্বোচ্চ টোল আদায় করা হয় ২০২৩ সালের ২৭ জুন। এদিন ৪ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকা ও ২০২৪ সালের ১৫ জুন আদায় করা হয় ৪ কোটি ২৯ লাখ ১১ হাজার ৩০০ টাকা। এটি টোল আদায়ের রেকর্ডে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে টোল আদায়ের এই রেকর্ড করা হয়।

২০২২ সালের ২৫ জুন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থাপনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হয়। ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের পর থেকে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা ও দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

আলোচিত ছাগলটি এখন কোথায়

বলছি মতিউরের সেই ছাগলের কথা। বাদামি গায়ে ছোপ ছোপ দাগ, আকারে বেশ বড়। ২০২৪ সালে পবিত্র ঈদুল আজহায় সবচেয়ে আলোচিত ছিল এই ছাগল।

যাঁরা ভুলে গেছেন, তাঁদের মনে করিয়ে দিই, ২০২৪ সালের পবিত্র ঈদুল আজহার আগে সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ছাগলটি কেনেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তৎকালীন সদস্য মতিউর রহমানের দ্বিতীয় ঘরের সন্তান মুশফিকুর রহমান (ইফাত)। সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন তখন ছাগলটির দাম নেন ১৫ লাখ টাকা।

মতিউরের ছেলে মুশফিকুর ছাগলটির সঙ্গে একটি সেলফি তুলে ফেসবুকে দেন। সে–ই শুরু। নেটিজেন ও পরে সাংবাদিকেরা বের করে ফেলেন, এই ছাগলের ক্রেতা এনবিআরের একজন কর্মকর্তার ছেলে। একজন সরকারি কর্মকর্তার ছেলে কীভাবে এত দাম দিয়ে একটি ছাগল কেনেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। মতিউর দাবি করেন, ছাগলের ক্রেতা তাঁর ছেলে নন। পরে অবশ্য অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, মতিউরের আরেক স্ত্রী আছেন। সেই ঘরের সন্তান ছাগলের ক্রেতা মুশফিকুর।

‘ছাগল-কাণ্ডে’ আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমান এখন কারাগারে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
  • পদ্মা সেতুতে সর্বোচ্চ সাড়ে ৫ কোটি টাকা টোল আদায়
  • এনসিপির খসড়া গঠনতন্ত্রে নতুন বাংলাদেশের লক্ষ্য 
  • পদ্মা-যমুনা সেতুতে টোল আদায়ে রেকর্ড, সর্বোচ্চ যানবাহন পারাপার
  • গাজায় গণহত্যায় যুক্তরাজ্য যেভাবে মদদ দিচ্ছে
  • নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের বরাদ্দ বাড়ল ২ হাজার কোটি টাকা
  • আলোচিত ছাগলটি এখন কোথায়
  • অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার কামাল আহদেম মজুমদার
  • অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো কামাল মজুমদারকে