Prothomalo:
2025-11-03@10:33:04 GMT

হামাস নিয়ে ভাবার সময় এসেছে

Published: 6th, June 2025 GMT

দুই বছর হতে চলল, গাজায় ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞ শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। আরব দেশগুলো মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় অত্যাধুনিক ‘ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশন’ বানানোর কথা বলে সুবিধা না করতে পেরে অন্য বিষয়ে মন দিয়েছেন। দু-চারটি ইউরোপীয় দেশ মুখে নরম-গরম কথা বললেও গণহত্যা বন্ধে ইসরায়েলের ওপর কার্যকর চাপ সৃষ্টির কোনো লক্ষণীয় উদ্যোগ নেই। জাতিসংঘ মহাসচিব অনেক কথা বলছেন বটে, কিন্তু সে কথা বাস্তবায়নের কোনো শক্তি তাঁর নেই। এই অবস্থায় গাজাবাসীর মরা ভিন্ন আর কী পথ আছে?

পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ, তার একটি ছবি মিলেছে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের পাঠানো এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে। তাতে ইসলাম আবু তাইয়েমা নামের একজন মা ও তাঁর ৯ বছরের মেয়ের কথা বলা হয়েছে। আবু তাইয়েমা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি নিয়েছেন। গাজায় যুদ্ধ শুরুর আগে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন করতেন। এখন চাকরি নেই, মাথার ওপর ছাদ নেই, ঘরে দানাপানি নেই। মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে তাই তিনি গাজার রাস্তায় রাস্তায় ডাস্টবিন থেকে খাদ্য সংগ্রহ করছেন। সারা দিন ঘুরে হয়তো আধখাওয়া রুটি জুটল। ‘আজকের জন্য এটাই আমাদের আহার,’ আবু তাইয়েমা এপিকে বলেছেন। ‘কেউ বুঝতেও পারবে না কী দুর্যোগের ভেতর দিয়ে আমরা যাচ্ছি।’

গাজা অভিযানের শুরুতে এক ইসরায়েলি মন্ত্রী হাতের তিন আঙুল দেখিয়ে বলেছিলেন, ফিলিস্তিনিদের সামনে তিনটি পথ খোলা। পালানো, গুলি খেয়ে মরা অথবা সাগরে ডুবে মরা। তাঁদের পরিকল্পনামাফিক ইসরায়েল তার সে কাজ গুছিয়ে এনেছে। কাজটা যে এত সহজ হবে দেশটির সরকার তা হয়তো ভাবেনি। তাদের ভয় ছিল, হামাস মরণপণ লড়াই করে তাদের মস্ত ক্ষতি করবে। আরব দেশগুলোও ক্রোধে জ্বলে উঠবে, বিশ্বসভায় আপ্তবাক্য শোনানো ছাড়াও তাকে থামানোর কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিছুই হয়নি, ফলে চালাও গুলি।

ফিলিস্তিনে অস্ত্র হাতে হামাসের আল-কাশেম ব্রিগেডের যোদ্ধারা। ২০২১ সালের ২৮ মে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেট নগরে প‌্যাডেলচা‌লিত রিকশা ভাড়া ন্যূনতম ২০, সর্বোচ্চ ১০০ টাকা

সিলেট নগরে প্যাডেলচালিত রিকশার ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া তা‌লিকা প্রকাশ করেছে মহানগর পুলিশ। তালিকা অনুযায়ী ন্যূনতম ভাড়া ২০ টাকা ও সর্বোচ্চ ১০০ টাকা ধরা হয়েছে। প্রস্তাবিত নতুন ভাড়া ২০২৭ সা‌ল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

আজ সোমবার সকালে মহানগর পু‌লিশের ক‌মিশনার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী স্বাক্ষ‌রিত গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিলেট শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে যাতায়াতের জন্য নতুন করে প্রস্তাবিত রিকশা ভাড়ার হার নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভাড়ার তালিকা প্রণয়নের সময় নগরের রাজনীতিক, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, চাকরিজীবী, ছাত্র-ছাত্রী, প্যাডেল রিকশা সমিতি, সাধারণ জনগণের প্রতি‌নিধিদের মতামত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে ২০১৫ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ প‌্যাডেলচা‌লিত রিকশা ভাড়ার তালিকা ‌নির্ধারণ করে‌ছিল। তবে ওই ভাড়া তা‌লিকা শুরু থেকে মেনে নেন‌নি রিকশাচালকেরা। এর ১০ বছর পর পু‌লিশের পক্ষ থেকে রিকশা ভাড়া পু‌ন‌র্নির্ধারণ করা হয়েছে।

পুন‌র্নির্ধা‌রিত প্রস্তাবিত ভাড়া তালিকায় দেখা গেছে জিন্দাবাজার মোড় (পয়েন্ট) থেকে লামাবাজার, মিরাবাজার, আম্বরখানা, ভাতালিয়া পর্যন্ত ৩০ টাকা। সুবিদবাজার, পাঠানটুলা, ঈদগাহ, শেখঘাট পর্যন্ত ৪০ টাকা। শিবগঞ্জ, ওসমানী মেডিকেল পর্যন্ত ৫০ টাকা। বালুচর, টিলাগড়, বাগবাড়ি, চৌকিদেখি, পাঠানটুলা, মদিনা মার্কেট পর্যন্ত ৬০ টাকা।

কোর্ট পয়েন্ট থেকে টিলাগড় পর্যন্ত ৬০ টাকা। শিবগঞ্জ, নতুন ব্রিজ ৪০ টাকা। মিরাবাজার ও যতরপুর ৩০ টাকা। উপশহর (এ, বি, সি, ডি, ই, এফ, জি, এইচ, আই, জে, কে ব্লক) ৫০ টাকা। নতুন ব্রিজ হয়ে দক্ষিণ সুরমা বাস টার্মিনাল ৭০ টাকা। রেলও‌য়ে স্টেশন, গোপশহর মকন দোকান, গোয়াবাড়ি, আখালিয়া ‌বি‌জি‌বি ক্যাম্প গেট, ভাঙ্গাটিকর, টুলটিকর, মিরাপাড়া পর্যন্ত ৮০ টাকা। ঝেরঝেরিপাড়া, শিবগঞ্জ সোনাপাড়া, ইলেকট্রিক সাপ্লাই, উত্তর কাজীটুলা, গোয়াইটুলা, আম্বরখানা, মাহিমপুর, দর্শন দেউরী, সুবিদবাজার, ভাতালিয়া, ওসমানী মেডিকেল, কুমারপাড়া (ঝরনারপাড়) ৫০ টাকা। দর্জিবন্দ, শাহী ঈদগাহ, লেচুবাগান, হাউজিং এস্টেট, লন্ডনী রোড ও পাঠানটুলা, বাগবাড়ি, বর্ণমালা পয়েন্ট, এতিম স্কুল, নবাব রোড (শেখঘাট পিচের মুখ, কলাপাড়া ডহর), ঘাসিটুলা বেতেরবাজার, আম্বরখানা, কলবাখানী, মেন্দিবাগ, সাদাটিকর ৫০ টাকা। জল্লারপাড়, তোপখানা ২০ টাকা।

এ ছাড়া কোর্ট পয়েন্ট থেকে নতুন ব্রিজ হয়ে কদমতলী, লাউয়াই, বিসিক শিল্পনগরী, বরইকান্দি, চৌকিদেখি, লাক্কাতুরা, শাপলাবাগ ৭০ টাকা। কাজীটুলা, রাজারগলি, শাহজালাল দরগাহ গেট, মিরের ময়দান, শেখঘাট, রিকাবীবাজার, দাড়িয়াপাড়া, মির্জাজাঙ্গাল, পশ্চিম কাজিরবাজার, ছড়ারপার, কুমারপাড়া পয়েন্ট, মিরাবাজার আগপাড়া, সোবহানীঘাট, চালিবন্দর ৩০ টাকা। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস গেট ৯০ টাকা। কুমারগাঁও বাস টার্মিনাল ১০০ টাকা। খোজারখোলা, সরকারি কলেজ ছাত্রাবাস, বালুচর, বাদাম বাগিচা, মদিনা মার্কেট, কানিশাইল খেয়াঘাট, পীর মহল্লা কুশিঘাট ৬০ টাকা।

আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে সুবিদবাজার, শাহী ঈদগাহ, কাজীটুলা ২০ টাকা। মদিনা মার্কেট, পাঠানটুলা, চৌকিদেখি ৩০ টাকা। লাক্কাতুরা, মিরাবাজার, নয়াসড়ক ৪০ টাকা। শিবগঞ্জ ৬০ টাকা। টিলাগড়, উপশহর (এবিসি পয়েন্ট), নতুন ব্রিজ ৬০ টাকা।

শিবগঞ্জ পয়েন্ট থেকে টিলাগড়, সেনপাড়া, খরাদিপাড়া ২০ টাকা। নতুন ব্রিজ, বালুচর ৩০ টাকা। ঈদগাহ ৫০ টাকা। আম্বরখানা, লামাবাজার, শেখঘাট ৬০ টাকা। পাঠানটুলা, মদিনা মার্কেট, ওসমানী মেডিকেল, হুমায়ুন রশীদ চত্বর, শেখঘাট, সুবিদবাজার ৭০ টাকা এবং কদমতলী বাস টার্মিনাল ৮০ টাকা।

দক্ষিণ সুরমা কিনব্রিজ থেকে রেলগেট ২০ টাকা। হুমায়ুন রশীদ চত্বর, টেকনিক্যাল, পর্যন্ত লাউয়াই ৩০ টাকা। শিববাড়ি ও গোটাটিকর পর্যন্ত ৪০ টাকা। বরইকান্দি ও আলমপুর পর্যন্ত ৫০ টাকা এবং মকন দোকান পর্যন্ত ৭০ টাকা।

বিজ্ঞপ্তিতে নির্ধারিত রুটের বাইরে যাতায়াতের ক্ষেত্রে প্রতি ১০০ গজের জন্য অতিরিক্ত ১০ টাকা ভাড়া প্রযোজ্য হবে। তবে নির্ধারিত রুটে উল্লিখিত নয় এমন নিকটবর্তী গন্তব্যে যাত্রীর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ১০ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ