কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী নাসরিন সিদ্দকী সাম্প্রতি মারা গেছেন। শোকসন্তপ্ত পরিবার ও কাদের সিদ্দিকীকে সমবেদনা জানাতে তার বাড়িতে যান বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে বুধবার (১০ জুন) রাতে টাঙ্গাইল শহরের কাদের সিদ্দিকীর সোনার বাংলা বাসায় যান টুকু।

এ সময় টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান খান শফিক, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, সহ-সভাপতি আজিম উদ্দিন বিপ্লবসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

রাজশাহীর ২ বিএনপি নেতা আজীবন বহিষ্কার

যশোরে বিএনপিকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

গত ২২ মে নাসরিন সিদ্দিকীর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। প্রথমে তাকে ঢাকার নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে স্কয়ার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে গত ২৩ মে তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয়। শনিবার (৭ জুন)  রাত ১১টায় নাসরিন সিদ্দিকী মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। 

রবিবার (৮ জুন) বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের পিটিআই মাঠে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জেলার কালিহাতী উপজেলার ছাতিহাটি গ্রামে বাদ আছর দ্বিতীয় জানাজা শেষে নাসরিন সিদ্দিকীকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

ঢাকা/কাওছার/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

মোংলা বন্দরে করোনা সতর্কতা জারি

দেশে-বিদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকায় বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্রবন্দরে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বন্দর জেটিতে বসানো হয়েছে স্বাস্থ্য পরীক্ষার যন্ত্রপাতি। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ জুন) থেকে জেটিতে প্রবেশের আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার, মাস্ক পরিধান এবং শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বন্দর এলাকায় কর্মরত শ্রমিক এবং বিদেশি জাহাজের নাবিকদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ) মো. মাকরুজ্জামান বলেছেন, “সাম্প্রতিক সময়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় মোংলা বন্দরে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ১৫ জুন বন্দর অফিস খোলার পর অফিসেও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।”

তিনি জানান, করোনার উপসর্গ দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে বন্দর হাসপাতালের দুটি বিশেষ নম্বরে যোগাযোগের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল থেকেও ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

তবে, এই সতর্কতা আমদানি-রপ্তানির স্বাভাবিক কার্যক্রমে কোনো প্রভাব ফেলেনি বলে জানিয়েছেন মো. মাকরুজ্জামান।

বর্তমানে বন্দরে লোডিং-আনলোডিং কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। আমদানি-রপ্তানিকারকরা নিয়মিতভাবে জেটিতে এসে তাদের পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। চ্যানেলের ফেয়ারওয়েসহ বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান করা বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতেও স্বাভাবিক নিয়মে পণ্য পরিবহন চলছে।

স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চললে বন্দর ও সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ করোনার সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকবে বলে আশা করছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা/শহিদুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ