পটুয়াখালীতে সৎ মা ও দাদিকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আল-আমিন (২৭) নামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুরে সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের চারাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- সাহিদা বেগম (৪৮) ও কুলসুম বিবি (১২৫)। অভিযুক্ত আল-আমিন ওই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক খানের ছেলে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি আল-আমিন নিখোঁজ হন। তিন-চার দিন আগে তাকে খুঁজে পেয়ে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। শুক্রবার আল-আমিনকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর জন্য বড় ভাই পরিচয়পত্র আনতে স্থানীয় ইউপি সদস্যের কাছে যান। আর তার বাবা কাজের উদ্দেশে বাড়ির বাহিরে যান। এই সুযোগে আল-আমিন তার সৎ মা ও দাদিকে গলাকেটে হত্যা করেন। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেলে আল-আমিন দৌড়ে পালিয়ে যান।

আরো পড়ুন:

ঈদের ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফেরা হলো না খোকনের

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ১

পটুয়াখালী সদর থানার ওসি (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। একইসঙ্গে অভিযুক্ত আল-আমিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’’

ঢাকা/ইমরান/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য

এছাড়াও পড়ুন:

দিনাজপুরে বাড়িতে লুকোচুরি খেলার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে লুকোচুরি খেলার সময় ফ্রিজের বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাহিনূর ইসলাম (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বুলাকিপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মাহিনূর ইসলাম ওই গ্রামের আবদুল কাফীর ছেলে। সে বরাতীপুর আইডিয়াল প্রিক্যাডেট স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

নিহত শিশুর পরিবারের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য শাহিনুর আলম বলেন, মাহিনূর বাড়িতে বেড়াতে আসা সমবয়সী শিশুদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছিল। খেলার একপর্যায়ে সে ঘরের ভেতরে রাখা ফ্রিজের পেছনে লুকাতে যায়। এ সময় ফ্রিজের সংযোগ তারে থুতনি লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় বলগাড়ি বাজারে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, শিশুটি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ