‘কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই’
Published: 13th, June 2025 GMT
নতুন করে আর গৃহস্থালিতে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
তিনি বলেছেন, ‘‘কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। সুযোগ থাকলে ঢাকার সব বাড়ির গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিতাম।’’
শুক্রবার (১৩ জুন) সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার কৈলাশটিলা-৭ ও সিলেট-১০ গ্যাস কূপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
১৩ লাখ ২০ হাজার টন জ্বালানি তেল কিনবে সরকার
কমল ডিজেল-অকটেন-পেট্রোলের দাম, কেরোসিনে বেড়েছে ১০ টাকা
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘‘গৃহস্থালিতে পাইপলাইনের গ্যাস ব্যবহার করে অপচয় করা হয়। গ্যাস সংযোগ বন্ধ করতে পারলে সেটাই হতো সঠিক সিদ্ধান্ত। যেখানে শিল্প-কারখানা পর্যাপ্ত গ্যাস পাচ্ছে না, সেখানে বাসাবাড়িতে নতুন সংযোগ দেওয়া মানে অপচয় বাড়ানো। এ কারণে নতুন সংযোগ আর নয়।’’
সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের আবাসিক গ্যাস সংযোগ দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘যেসব এলাকায় গ্যাস উত্তোলন হয়, সেসব অঞ্চলে সরকার স্বল্প মূল্যে সিলিন্ডার গ্যাস সরবরাহের উদ্যোগ নেবে।’’
ফাওজুল কবির বলেন, ‘‘দেশে প্রতি বছর ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট করে গ্যাস উৎপাদন কমছে। ফলে আমদানি নির্ভরতা বাড়ছে। আমরা চেষ্টা করছি অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়িয়ে এলএনজি আমদানি কমাতে।’’
উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘‘কৈলাশটিলা-৭ এবং সিলেট-১০ নম্বর কূপ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন ১৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।’’
ঢাকা/নূর/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চীনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্নের ঘোষণা ট্রাম্পের
চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ঘোষণা দিয়েছেন।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, বেইজিং চুম্বক ও বিরল খনিজ সরবরাহ করবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চীনা শিক্ষার্থীদের প্রবেশাধিকার দেবে।
ট্রাম্প বিস্তারিত না জানিয়ে ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, “আমরা মোট ৫৫ শতাংশ শুল্ক পাচ্ছি, চীন পাচ্ছে ১০ শতাংশ। সম্পর্ক চমৎকার!”
হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চুক্তিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আমদানি করা চীনা পণ্যের উপর ৫৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের অনুমতি দেয়। এর মধ্যে রয়েছে ১০ শতাংশ ভিত্তিমূল ‘পারস্পরিক’ শুল্ক, ফেন্টানাইল পাচারের জন্য ২০ শতাংশ শুল্ক এবং পূর্ব-বিদ্যমান ২৫ শতাংশ শুল্ক। চীন মার্কিন আমদানির উপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, চুক্তিটি তার এবং প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন সাপেক্ষে হয়েছে।
ট্রাম্প বলেছেন, “সম্পূর্ণ চুম্বক এবং যেকোনো প্রয়োজনীয় বিরল ভূগর্ভস্থ পদার্থ চীন আগামীতে সরবরাহ করবে। একইভাবে আমরা চীনকে যা দিতে সম্মত হয়েছে তা সরবরাহ করব, যার মধ্যে আমাদের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত চীনা শিক্ষার্থীরাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।”
মার্কিন ও চীনা কর্মকর্তারা মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন, তারা তাদের বাণিজ্য যুদ্ধবিরতিকে আবার ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনার জন্য এবং বিরল ভূগর্ভস্থ পদার্থের উপর চীনের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা অপসারণের জন্য একটি কাঠামোতে একমত হয়েছেন।
ঢাকা/শাহেদ