হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত অতিক্রম করে অবৈধভাবে প্রবেশ করার সময় মিটন দাস (২৪) নামে এক ভারতীয় যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আটক মিটন দাস ভারতের আসাম কাছার শিলচর টাউনের বাসিন্দা জহরলাল দাসের ছেলে।
সোমবার (১৬ জুন) রাতে এ তথ্য জানান, ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.
বিজিবি জানায়- সীমান্ত পিলার থেকে ২ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থানকালে তাকে আটক করা হয়। তল্লাশির সময় তার কাছ থেকে ভারতীয় রুপি ১৫৯৩ টাকা, বাংলাদেশি মুদ্রা ১৯৫০ টাকা, এক বোতল ভারতীয় মদ, একটি মোবাইল ফোন, আধার কার্ড, প্যান কার্ড, আইডি কার্ড, দুটি হাতঘড়ি, একটি ইয়ারবাড, মানিব্যাগ, মোবাইল চার্জার ও কাঁধব্যাগ উদ্ধার করা হয়।
পরে আটক যুবককে চুনারুঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা/মামুন/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: বিশ্ববাজারে বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম
মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলা শুরু হওয়ার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ছেই। মঙ্গলবারও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, আজ ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ১ দশমিক ২৩ ডলার বা ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪ দশমিক ৪৬ ডলার। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) তেলের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ০৮ ডলার বা ১ দশমিক ৫ শতাংশ-দাম বেড়ে হয়েছে ৭২ দশমিক ৮৫ ডলার। এর আগে ট্রেডিং সেশনের শুরুতে উভয় চুক্তিই ২ শতাংশের বেশি বেড়েছে। কিন্তু প্রতিযোগিতামূলক ট্রেডিংয়ে ফিরে আসার আগে কিছুটা পতনও হয়েছে।
তেল সরবরাহে দৃশ্যমান কোনো বাধা না থাকলেও শনিবার ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া দক্ষিণ পার্স গ্যাসক্ষেত্রে ইরান আংশিকভাবে গ্যাস উৎপাদন স্থগিত করেছে। ইরানের শাহরান তেল ডিপোতেও ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে।
ইরানের পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনায় ইসরায়েলের বিমান হামলার পর শুক্রবার বিশ্ববাজারে তেলের দাম একলাফে ১৩ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
বাস্তবতা হলো, ২০২২ সালের মার্চ মাসের পর গত শুক্রবার এক দিনে তেলের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে, অর্থাৎ এর মধ্যে তেলের দাম এক দিনে আর কখনোই এতটা বাড়েনি। এ ছাড়া গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ।
ইসরায়েল-ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলা চলছেই কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় ইরান হরমুজ প্রণালি বন্ধ করার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন দেশটির একজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা। গোল্ডম্যান স্যাকস বলছে, বিশ্বের মোট তেলের প্রায় ২০ শতাংশ এই প্রণালিপথ দিয়ে পরিবাহিত হয়। প্রণালি বন্ধ হয়ে গেলে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এ ছাড়া হরমুজ প্রণালি বন্ধ হলে বিশ্বজুড়ে জাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটবে। ফলে আমদানি-রপ্তানির সময় বেড়ে যাবে, বেড়ে যাবে খরচ। ফলে বাংলাদেশের মতো রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতির জন্য তা বিপজ্জনক হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। ক্রেতাদের কাছে সময়মতো পণ্য সরবরাহ করা না গেলে চুক্তি বাতিলের ঝুঁকিও আছে।