চট্টগ্রামে আষাঢ়ের বৃষ্টি, বিপাকে নগরবাসী
Published: 17th, June 2025 GMT
২ / ১০বৃষ্টির মধ্যে রেইনকোট পরে মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন এক ব্যক্তি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মেসি না রোনালদো—চোটের কারণে ক্যারিয়ারে কে বেশি ম্যাচ মিস করেছেন
প্রায় কাছাকাছি সময়ে ক্যারিয়ার শুরু করে এখন গোধূলি বেলায় লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ২০২৬ বিশ্বকাপকে দুজনের ক্যারিয়ারের শেষ ধরে নিলে সময় এখন খুব অল্পই হাতে আছে। সামনে সময় কম থাকলেও অতীতে ফিরে তাকালে দুজনের ক্যারিয়ারজুড়ে সুখস্মৃতির বিস্তীর্ণ এক জগৎ।
প্রায় দুই দশকের বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে অসামান্য সব মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন মেসি-রোনালদো। তবে দীর্ঘ এ যাত্রায় সবকিছু যে আনন্দময় ছিল তা নয়, বেদনার অনেক ক্ষতও পেছনে রেখে এসেছেন এ দুজন। কখনো কখনো সেই বেদনা এসেছে চোটের রূপ নিয়ে। যে চোট ক্যারিয়ারের অনেক দিন আর ম্যাচ কেড়ে নিয়েছে দুজনের কাছ থেকেই।
পেছন ফিরে তাকালে অবশ্য চোটের ক্ষেত্রে রোনালদোর চেয়ে মেসির ক্ষতটাইই বেশি ভারী মনে হবে। চোটের কারণে রোনালদোর প্রায় দ্বিগুণ সময় মাঠের বাইরে কাটিয়েছেন মেসি। মিস করেছেন রোনালদোর চেয়ে দ্বিগুণের বেশি ম্যাচ। ট্রান্সফারমার্কেটের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, ২০০৪-০৫ মৌসুমে বার্সেলোনার মূল দলের হয়ে যাত্রা শুরুর পর এখন পর্যন্ত ৯১০ দিন চোটের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন মেসি।
আরও পড়ুনমেসি-রোনালদোর শ্রেষ্ঠত্বের বিতর্ক কেন এখনো শেষ হয়নি১৮ নভেম্বর ২০২৪আর এ সময় আর্জেন্টাইন মহাতারকা সব মিলিয়ে মিস করেছেন ১৯৫ ম্যাচ। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ২০০৫-০৬ ও ২০০৬-০৭ মৌসুমে মেসি মাঠের বাইরে ছিলেন যথাক্রমে ৮৬ ও ৮৮ দিন। আর এই দুই মৌসুমে মেসি করেছেন ১৯ ও ২৮ ম্যাচ। সর্বশেষ ২০২৪-২৫ মৌসুমেও চোটে অনেক ভুগেছেন মেসি।
এই মৌসুমে ৭৮ দিন মাঠের বাইরে থাকা মেসি মিস করেছেন ১৪ ম্যাচ। এই মুহূর্তেও চোটের কারণে মাঠের বাইরে আছেন মেসি। সর্বশেষ নেখাকসারের বিপক্ষে লিগস কাপের ম্যাচে ১১ মিনিটে চোটে পড়ে মাঠ ছাড়েন আর্জেন্টিনার ২০২২ বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক।
অন্যদিকে মেসির আগে ক্যারিয়ার শুরু করেও চোটের দিক থেকে তুলনামূলক ভালো অবস্থানে রোনালদো। ফিটনেস আইকন রোনালদো ২০০২-০৩ মৌসুমে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেন। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৪৮২ দিন চোটের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন। আর এ সময়ে রোনালদো মিস করেছেন ৮৫ ম্যাচ, যা কি না মেসির অর্ধেকের চেয়েও কম।
চোটের কারণে মাত্র দুই মৌসুমে রোনালদোর মিস করা ম্যাচের সংখ্যা দুই অঙ্ক স্পর্শ করেছে। ২০০৭-০৮ মৌসুমে ১২ ম্যাচ এবং ২০০৯-১০ মৌসুমে ১৩ ম্যাচ মিস করেছেন রোনালদো।
ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসেও রোনালদো আশ্চর্য রকমের ফিট। ২০২৩-২৪ মৌসুমে কোনো ম্যাচই মিস করেননি পর্তুগালের অধিনায়ক। অতীত যেমনই হোক, মেসি-রোনালদোর ভক্ত-সমর্থকদের চাওয়া এখন হয়তো একটাই-ফিটনেসের এ ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলবেন ফুটবলের দুই মহাতারকা।