মাকে নির্যাতনের দায়ে ছেলের ২ বছরের কারাদণ্ড
Published: 18th, June 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় মায়ের ওপর নিয়মিত নির্যাতনের দায়ে রাকিব মিয়া নামের এক যুবককে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর পাশাপাশি তাকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাতে কসবা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছামিউল ইসলাম এ দণ্ড দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত রাকিব মিয়া কসবা পৌর শহরের দক্ষিণ কসবা এলাকার সহিদ মিয়ার ছেলে।
রাকিবের বাবা নিরাপত্তাকর্মী এবং মা গৃহিণী। রাকিব দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন করে আসছেন। প্রতিদিন মাদক সেবনের জন্য পরিবারের কাছে টাকা দাবি করেন তিনি। টাকা না পেলে মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও শারীরিক নির্যাতন করতেন। একপর্যায়ে অসহায় মা অভিযোগ জানাতে বাধ্য হন প্রশাসনের কাছে।
খবর পেয়ে রাকিবের বাড়িতে ইউএনও মো.
উএনও মো. ছামিউল ইসলাম বলেছেন, “মায়ের ওপর নির্যাতন, মাদক সেবন ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে রাকিবকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে।”
ঢাকা/পলাশ/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এনসিপির সমন্বয় কমিটির প্রধান হলেন মুসলিম লীগের সাবেক নেতা
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানকে (লিটন)। এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসচিব আকতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ স্বাক্ষরিত ঘোষণাপত্রে এই কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার রাতে এনসিপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ৩৮ সদস্যের এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। আজ বুধবার বিকেলে এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) মো. আতাউল্লাহ বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। আগামী তিন মাস অথবা আহ্বায়ক কমিটি গঠনের আগপর্যন্ত এই সমন্বয় কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
আজিজুর রহমান বাংলাদেশ মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। এ ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির শীর্ষ পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে ২০২৪ সালের শুরুর দিকে তিনি মুসলীম লীগ থেকে পদত্যাগ করেন বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন।
কমিটিতে যুগ্ম সমন্বয়কারী করা হয়েছে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জিহান, এস এম মহিউদ্দিন, আকিব জাবেদ, জাহাঙ্গীর আহমেদ খান ও মো. আব্দুল মামুন শরীফকে (বাতেন)। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন মোহাম্মদ আমিনুল হক চৌধুরী, মুজিবুর রহমান, খাইরুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান রঞ্জু, জয়ন্তি বিশ্বাস, মো. জাবারুল ইসলাম, আসাদ খোকন, নাহিদুল ইসলাম, আপেল মাহমুদ, মো. পাপেল, মিনারা বেগম, বিন ইয়ামিন ভুইয়া, নাসিমুল হাসান, এমদাদ আহমেদ, আশিকুল আলম, বিপাশা আক্তার, আশিক চৌধুরী, রুবায়েত, শামিম মিয়া, আহসানুল হক, ইব্রাহিম মিয়া, আলমগীর হোসেন, আরিফ বিল্লাহ আজিজি, সাইফুল ইসলাম, মো. জিয়াউল হক চৌধুরী, কবির আলম, সাইফুল মিরাজ, শাহ এস এম শফিক, আসাদুজ্জামান শামীম, মো. সাইদুর রহমান, মো. আব্দুল মান্নান ও মো. গোলাম সামদানী।