সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে টক-মিষ্টি ফলের স্বাদ ভাগাভাগি করতে ‘মৌসুমি ফল উৎসব’ এর আয়োজন করা হয়েছে। একইসঙ্গে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বর্ধনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজনও করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনে এসব কর্মসূচি পালন করে গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (গবিসাস)।

গবিসাস কার্যালয়ে আম, জাম, কাঁঠাল, পেয়ারা, লিচু, লটকন, আমলকী, ড্রাগনফল সহ বাহারি রঙ এবং নানা স্বাদের ফলের সমারোহে আয়োজিত হয় মৌসুমি ফল উৎসব।

আরো পড়ুন:

যবিপ্রবিতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

জবিতে ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

এ সময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং গবিসাসের সদস্যরা উপস্থিত হয়ে মৌসুমে ফলের স্বাদ ভাগাভাগি করে নেয়।

এছাড়া মৌসুমি ফলের স্বাদ ভাগাভাগি করতে গবিসাসের সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মী, নৈশপ্রহরী এবং মাঠ কর্মীদের মাঝে ফল বিতরণ করেন।

এ সময় কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিলুফার সুলতানা বলেন, “নিঃসন্দেহে গবিসাস একটি ব্যতিক্রমধর্মী ও সৃজনশীল সংগঠন, যা সবসময়ই নতুনত্বের ধারায় পথ চলেছে। প্রতি বছরের মতো এবারো গবিসাস মৌসুমি ফল উৎসবের আয়োজন করেছে, যা সংগঠনের একটি গর্বিত ঐতিহ্য।”

তিনি বলেন, “আমাদের ইচ্ছা ছিল ফল নিয়ে এসে আপনাদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার, ভবিষ্যতে অবশ্যই সেটা বাস্তবায়ন করবো। আমরা বিশ্বাস করি, গবিসাস তার এ উৎসবমুখর ধারাবাহিকতা আগামীতেও সুন্দরভাবে ধরে রাখবে।”

ফল উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মো. আবুল হোসেন এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলামের উপস্থিতিতে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বর্ধনে বিভিন্ন ফুল ও ফল গাছ রোপণ করা হয়।

এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, “গবিসাস প্রতি বছর বৃক্ষরোপণ করে থাকে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমাদের সবার উচিত বেশি বেশি বৃক্ষরোপণ করে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহযোগিতা করা এবং পৃথিবীকে সুন্দর সবুজ ভাবে গড়ে তোলা। গবিসাস তাদের এই কাজ ভবিষ্যতে অব্যহত রাখবে বলে আশা করি।”

কর্মসূচির ব্যাপারে গবিসাসের সভাপতি সানজিদা জান্নাত পিংকি বলেন, “গবিসাস সবসময়ই শুধু সাংবাদিকতার চর্চা নয়, বরং সমাজ, পরিবেশ ও মূল্যবোধের প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে সচেষ্ট। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা প্রতি বছরের মতো এবারো আয়োজন করেছি ‘মৌসুমি ফল উৎসব’ ও ‘বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি’। এই আয়োজনের মাধ্যমে যেমন আমরা দেশীয় ফলের পুষ্টিগুণ এবং সচেতনতা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি, তেমনি বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে পরিবেশ সংরক্ষণের বার্তা ছড়িয়ে দিতে চেয়েছি।”

ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফল ফল র স

এছাড়াও পড়ুন:

ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।

কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।

এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।

অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।

একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।

যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুন্দরবনে দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু আজ, এবারও নেই মেলার আয়োজন
  • শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
  • ‘মবের’ পিটুনিতে নিহত রূপলাল দাসের মেয়ের বিয়ে আজ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ডাইনির সাজে শাবনূর!
  • প্রার্থনার সুরে শেষ হলো ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব 
  • ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
  • টগি ফান ওয়ার্ল্ডে উদযাপিত হলো হ্যালোইন উৎসব
  • উদ্ভাবন–আনন্দে বিজ্ঞান উৎসব
  • নবীনদের নতুন চিন্তার ঝলক