ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসির শেয়ারহোল্ডারদের ২৫% লভ্যাংশ অনুমোদন
Published: 19th, June 2025 GMT
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসির শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৪ সালের জন্য ২৫ শতাংশ লভ্যাংশের অনুমোদন দিয়েছেন। যার ১২ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ এবং ১২ দশমিক ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড আকারে বণ্টিত হবে।
আজ বৃহস্পতিবার ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত ব্যাংকটির ২৬তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বার্ষিক সাধারণ সভায় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার যোগ দেন।
ব্যাংকটির চেয়ারপারসন মেহেরিয়ার এম হাসানের সভাপতিত্বে এজিএমে আরও উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারপারসন ফারুক মঈনউদ্দীন আহমেদ এবং পরিচালক ফারজানা আহমেদ, আনিতা গাজী রহমান, চৌধুরী এম এ কিউ সারওয়ার ও লীলা রশিদ।
সভায় ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান ব্যাংকের প্রতি অবিচল আস্থা রাখার জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ধন্যবাদ জানান। এজিএম পরিচালনা করেন কোম্পানি সচিব এম মাহবুবুর রহমান।
সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জানানো হয়, ২০২৪ সালে ব্র্যাক ব্যাংক সমন্বিতভাবে পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ৭৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে ১ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা কর-পরবর্তী নিট মুনাফা (এনপিএটি) করেছে, যা ২০২৩ সালে ছিল ৮২৮ কোটি টাকা। একক ভিত্তিতে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২১৪ কোটি টাকায়, যেখানে আগের বছরের ৭৩০ কোটি টাকার তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬৬ শতাংশ।
ব্যাংকটির চেয়ারপারসন মেহেরিয়ার এম হাসান তাঁর বক্তব্যে সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ব্যাংকের শক্তিশালী আর্থিক সক্ষমতার বিষয়টি তুলে ধরেন। তাঁর তুলে ধরা উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল, ২০২৪ সালে একক ভিত্তিতে ব্যাংকটির গ্রাহক আমানতে ৩৪ শতাংশ এবং ঋণে ২০ প্রবৃদ্ধি অর্জন।
মেহেরিয়ার এম হাসান শেয়ারহোল্ডার, রেগুলেটর, সহকর্মী এবং স্টেকহোল্ডারদের তাঁদের সমর্থন এবং অবিচল আস্থার জন্য ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি তিনি ২০২৫ সালে ব্র্যাক ব্যাংক আরও বেশি সাফল্য অর্জন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: রহ ল ড র
এছাড়াও পড়ুন:
নোবিপ্রবিসাসের বর্ষসেরা সাংবাদিক রাইজিংবিডি ডটকমের শফিউল্লাহ
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (নোবিপ্রবিসাস) এক যুগে পদার্পণ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।এতে ফিচার ক্যাটাগরিতে বর্ষসেরা সাংবাদিক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন অনলাইন নেউজ পোর্টাল রাইজিংবিডি ডটকমের প্রতিনিধি মো. শফিউল্লাহ।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে র্যালি, কেককাটা, আলোচনা সভা ও প্রকাশনা উন্মোচনের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করা হয়।
দিনব্যাপী উৎসবের মূল আকর্ষণ ছিল নোবিপ্রবিসাসের বার্ষিক মুখপত্র ‘ফাউন্টেনপেন’-এর তৃতীয় সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম মোড়ক উন্মোচন করেন।
আরো পড়ুন:
নোবিপ্রবিতে ১৩১ প্রজাতি বন্যপ্রাণী শনাক্ত
গোবিপ্রবির সায়েন্স ফেস্টে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সাফল্য
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান প্রেক্ষাপট ও পরবর্তী বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক এবং নোবিপ্রবিসাসের উপদেষ্টা এ. এফ. এম. আরিফুর রহমান।
সভার সভাপতিত্ব করেন নোবিপ্রবিসাসের সভাপতি মো. ইমাম হোসেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বর্ষসেরা সাংবাদিকের মধ্যে পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইসমাইল এবং প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এ সময় মঞ্চে সাংবাদিক সমিতি ও অন্য শিক্ষকরা ছিলেন।
বর্ষসেরা অনুসন্ধানী সাংবাদিক হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন আমার দেশ-এর ক্যাম্পাস প্রতিনিধি নাহিদুল ইসলাম এবং আরটিভি-এর প্রতিনিধি মো. রিয়াদুল ইসলাম।
বর্ষসেরা বিশেষ প্রতিবেদন (প্রিন্ট) ক্যাটাগরিতে দৈনিক ইনকিলাব -এর ক্যাম্পাস প্রতিনিধি মুস্তাকিম সাদিক এবং অনলাইন ক্যাটাগরিতে সময়ের কণ্ঠস্বর প্রতিনিধি তৌফিক আল মাহমুদ পুরস্কার অর্জন করেছেন।
ফিচার ক্যাটাগরিতে সেরা সাংবাদিকের পুরস্কার পেয়েছেন রাইজিংবিডি ডটকম-এর ক্যাম্পাস প্রতিনিধি মো. শফিউল্লাহ।এবং সেরা কন্ট্রিবিউটরের পুরস্কার পেয়েছেন এশিয়ান টিভি-এর প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল তৌহিদ।
অনুষ্ঠানে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “বাংলাদেশের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়েই সাংবাদিক সমিতি রয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার চর্চা করেন। নোবিপ্রবির সাংবাদিকরাও জুলাই আন্দোলনের সময় সাহসিকতার সঙ্গে সংবাদ পরিবেশন করেছেন— যা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
তিনি আরো বলেন, “ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার ইতিহাস দীর্ঘ; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই এই ধারা শুরু। বর্তমানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ফেক নিউজ। এই ভুয়া সংবাদ প্রতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক ক্লাবগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।”
তিনি বলেন, “সত্য প্রকাশে সাহসী হতে হবে, মিথ্যা তথ্যের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির এক যুগ পূর্তিতে আমি শুভেচ্ছা জানাই। জুলাই–আগস্ট আন্দোলনের সাহসী শিক্ষার্থীদের গল্পগুলো লিখে রাখুন— এগুলোই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অনুপ্রেরণা হবে।”
নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, “জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে সাংবাদিকতা আরো বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে গেছে। এখন আমাদের দায়িত্ব অনেক গুণ বেড়ে গেছে। একটা সময় ছিল, যখন সত্য নিউজ প্রকাশ করা সম্ভব ছিল না। তবে এখন সময় এসেছে, সত্যকে সামনে নিয়ে আসার এবং ন্যায়ভিত্তিক সাংবাদিকতা করার।”
ঢাকা/শফিউল্লাহ/রাসেল