পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার পাংগাসিয়া খালের ওপর নির্মিত আলোচিত সাঁকোটি ভেঙে পড়েছে। বুধবার পানির তীব্র স্রোতে সেটি ভেঙে পড়ে। এতে তিন গ্রামের মানুষের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ভোগে পড়েছে আশপাশের চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীসহ হাজারো মানুষ। 
উপজেলার শিয়ালকাঠি ইউনিয়নের ফলইবুনিয়া গ্রামের কাছারিবাড়িতে খালের মোহনায় দীর্ঘদিন আগে বাঁশ-সুপারি গাছ দিয়ে নির্মিত হয় সাঁকোটি। আশপাশের তিন গ্রামের মানুষের যোগাযোগের এ সাঁকোটি বেশ কিছুদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। বারবার এলাকাবাসীর দাবি বা পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরও সেটি সংস্কার করা হয়নি। নির্মিত হয়নি কোনো সেতুও। 
সাঁকোর দক্ষিণে কাউখালীর বেকুটিয়া নতুন বাজার থেকে ফলইবুনিয়া, জোলাগাতী, তালুকদার হাট, হাওলাদার হাটের অবস্থান। এ ছাড়া জোলাগাতী ফাজিল মাদ্রাসা, জোলাগাতী উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও ওই এলাকায়। এ পাশেই নুরানি মাদ্রাসা, হেফজখানা ও ছাত্রাবাস আছে।
দক্ষিণ পারের লোকজনকে স্কুল-কলেজ, উপজেলা ও জেলা সদরে যেতে হলে এ সাঁকোটিই ব্যবহার করতে হয়। বুধবার পানির স্রোতে সাঁকোটির বড় অংশ খালে পড়ে গেছে। ফলে যাতায়াতের জন্য লোকজনকে তিন কিলোমিটার বাড়তি পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে। 
ফলইবুনিয়ার বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মেহেদী হাসানের ভাষ্য, পাংগাসিয়া খাল পারাপারের জন্য ওই জায়গা থেকে খালের পশ্চিমে তিন কিলোমিটার দূরে পাংগাসিয়া বাজারের সেতু ও পূর্বদিকে দুই কিলোমিটার দূরে বেলতলা সেতু আছে। বিকল্প কোনো সেতু না থাকায় ওই সাঁকোটিই ছিল মানুষের শেষ ভরসা। জরুরি প্রয়োজনে নিজেরা গ্রাম থেকে বাঁশ, সুপারি গাছ সংগ্রহ করে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বছরের পর বছর ধরে সাঁকোটি মেরামত করে আসছিলেন। 
শিয়ালকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গাজী সিদ্দিকুর রহমানও সাঁকোটির গুরুত্ব তুলে ধরে উপজেলা সমন্বয় সভায় তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, এর বাইরেও নানা দপ্তরে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু স্থায়ী কোনো সেতু সেখানে নির্মাণের ব্যবস্থা হয়নি। 
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো.

ইমতিয়াজ হোসেনের ভাষ্য, পাংগাসিয়া খালের ওই জায়গায় নতুন সেতু নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা তাদের জানা নেই। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন।
কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজল মোল্লা বলেন, সাঁকোটি ভেঙে পড়ায় সাধারণ মানুষের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। এ জন্য সাঁকোটি মেরামতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মাসিক না হওয়ার কারণ

মেনোপজের আগে মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ

গর্ভধারণ ও স্তন্যদান।

জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য পিল কিংবা অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতি ব্যবহার।

অতিরিক্ত কম বা বেশি ওজন, অতিরিক্ত ভারী ব্যায়াম কিংবা অতিরিক্ত মানসিক চাপ।

থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি কিংবা আধিক্য, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম কিংবা অন্য যেসব রোগের কারণে হরমোনের তারতম্য হয়।

ডিম্বাশয়ের টিউমার কিংবা ডিম্বাশয় বা জরায়ুতে কোনো অস্ত্রোপচার।

উচ্চ রক্তচাপ, অ্যালার্জি, বিষণ্নতা এবং অন্যান্য মানসিক সমস্যায় ব্যবহৃত ওষুধ।
কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি।

ডিঅ্যান্ডসির (ডায়ালেশন ও কিউরেটেজ নামের একটি অস্ত্রোপচারপদ্ধতি) মাধ্যমে গর্ভপাত।

আরও পড়ুনমাসিকের সময় তলপেটে ব্যথা হয় কেন? ২৩ এপ্রিল ২০২৫কৈশোরে মাসিক শুরু না হওয়ার কারণ

নির্দিষ্ট বয়সে পৌঁছেও যাঁর মাসিক শুরু হয়নি, তাঁর জন্য কারণটা হতে পারে জিনগত। নারীর জন্য প্রয়োজনীয় হরমোনগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে যেসব গ্রন্থি, সেসবের অস্বাভবিকতাও থাকতে পারে কারও কারও ক্ষেত্রে। যোনিপথ বা অন্যান্য প্রজনন অঙ্গের গঠনগত ত্রুটিও থাকতে পারে।

কত দিন মাসিক না হওয়া অস্বাভাবিক

দু–এক মাস যদি মাসিক না হয়, তাতে ভয়ের কিছু নেই। কত দিন মাসিক না হওয়া অস্বাভাবিক, অর্থাৎ কখন নেবেন চিকিৎসকের পরামর্শ, জেনে নেওয়া যাক।

১৪ বছর বয়সে পৌঁছেও যদি কারও মাসিক শুরু না হয় এবং বয়ঃসন্ধির অন্য কোনো চিহ্নও না দেখা যায়।

বয়ঃসন্ধির অন্যান্য চিহ্ন থাকলে অবশ্য ১৬ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে ১৬ বছরে পৌঁছে মাসিক না হলে বিষয়টিকে অস্বাভাবিক ধরে নিতে হবে।

যাঁর নিয়মিত মাসিক হয়, তাঁর যদি অন্তত তিন মাস মাসিক বন্ধ থাকে, তাহলে সেটির কারণ খুঁজতে হবে।

যাঁর মাসিক অনিয়মিত, তাঁর ক্ষেত্রে অন্তত ছয় মাস মাসিক বন্ধ থাকলে সেটিকে অস্বাভাবিকভাবে মাসিক বন্ধ হওয়া বলে ধরে নিতে হবে।

আরও পড়ুনঅনিয়মিত মাসিক কেন হয়২৫ জুলাই ২০২৩যদি থাকে অস্বাভাবিকতা

একজন নারীর সুস্থতার জন্য নিয়মিত মাসিক হওয়া খুবই জরুরি। যদি মাসিকে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়, অস্বাভাবিকভাবে মাসিক বন্ধ থাকে কিংবা অনিয়মিত মাসিক হয়, দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে কারণটা খুঁজে বের করবেন। সে অনুযায়ীই হবে চিকিৎসা।

কারও মাসিক বন্ধ থাকার চিকিৎসার ক্ষেত্রে জীবনধারার পরিবর্তন গুরুত্বপূর্ণ। কারও প্রয়োজন হরমোন থেরাপি। অল্প কিছু ক্ষেত্রে সার্জারি বা শল্যচিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

আরও পড়ুনমেয়েকে মাসিক সম্পর্কে কীভাবে জানাবেন০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সম্পর্কিত নিবন্ধ