স্রোতে ভেঙে পড়ল পাংগাসিয়া খালের সেই সাঁকো
Published: 19th, June 2025 GMT
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার পাংগাসিয়া খালের ওপর নির্মিত আলোচিত সাঁকোটি ভেঙে পড়েছে। বুধবার পানির তীব্র স্রোতে সেটি ভেঙে পড়ে। এতে তিন গ্রামের মানুষের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ভোগে পড়েছে আশপাশের চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীসহ হাজারো মানুষ।
উপজেলার শিয়ালকাঠি ইউনিয়নের ফলইবুনিয়া গ্রামের কাছারিবাড়িতে খালের মোহনায় দীর্ঘদিন আগে বাঁশ-সুপারি গাছ দিয়ে নির্মিত হয় সাঁকোটি। আশপাশের তিন গ্রামের মানুষের যোগাযোগের এ সাঁকোটি বেশ কিছুদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। বারবার এলাকাবাসীর দাবি বা পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরও সেটি সংস্কার করা হয়নি। নির্মিত হয়নি কোনো সেতুও।
সাঁকোর দক্ষিণে কাউখালীর বেকুটিয়া নতুন বাজার থেকে ফলইবুনিয়া, জোলাগাতী, তালুকদার হাট, হাওলাদার হাটের অবস্থান। এ ছাড়া জোলাগাতী ফাজিল মাদ্রাসা, জোলাগাতী উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও ওই এলাকায়। এ পাশেই নুরানি মাদ্রাসা, হেফজখানা ও ছাত্রাবাস আছে।
দক্ষিণ পারের লোকজনকে স্কুল-কলেজ, উপজেলা ও জেলা সদরে যেতে হলে এ সাঁকোটিই ব্যবহার করতে হয়। বুধবার পানির স্রোতে সাঁকোটির বড় অংশ খালে পড়ে গেছে। ফলে যাতায়াতের জন্য লোকজনকে তিন কিলোমিটার বাড়তি পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে।
ফলইবুনিয়ার বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মেহেদী হাসানের ভাষ্য, পাংগাসিয়া খাল পারাপারের জন্য ওই জায়গা থেকে খালের পশ্চিমে তিন কিলোমিটার দূরে পাংগাসিয়া বাজারের সেতু ও পূর্বদিকে দুই কিলোমিটার দূরে বেলতলা সেতু আছে। বিকল্প কোনো সেতু না থাকায় ওই সাঁকোটিই ছিল মানুষের শেষ ভরসা। জরুরি প্রয়োজনে নিজেরা গ্রাম থেকে বাঁশ, সুপারি গাছ সংগ্রহ করে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বছরের পর বছর ধরে সাঁকোটি মেরামত করে আসছিলেন।
শিয়ালকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গাজী সিদ্দিকুর রহমানও সাঁকোটির গুরুত্ব তুলে ধরে উপজেলা সমন্বয় সভায় তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, এর বাইরেও নানা দপ্তরে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু স্থায়ী কোনো সেতু সেখানে নির্মাণের ব্যবস্থা হয়নি।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো.
কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজল মোল্লা বলেন, সাঁকোটি ভেঙে পড়ায় সাধারণ মানুষের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। এ জন্য সাঁকোটি মেরামতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে নিষিদ্ধঘোষিত দলের লোকজনকে বাড়ি ভাড়া না দিতে পুলিশের মাইকিং
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় নিষিদ্ধঘোষিত দলের লোকজনকে বাসা ভাড়া না দেওয়ার জন্য থানা-পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে কর্ণফুলী থানার পক্ষ থেকে মইজ্জ্যারটেক এলাকায় এই মাইকিং করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ ধরনের একটি ছড়িয়ে পড়েছে।
১ মিনিট ১৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বসে একটি কাগজ দেখে দেখে মাইকিং করছিলেন। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আসসালামু আলাইকুম, সকল বাড়ির মালিককে জানানো যাচ্ছে, কর্ণফুলী থানা এলাকায় নতুন কেউ ভাড়াটিয়া ভাড়া নিতে এলে, সেই ভাড়াটিয়ার ভোটার আইডি কার্ডসহ অন্যান্য ডকুমেন্টস আগে থানায় জমা দিতে হবে। কোনো নিষিদ্ধঘোষিত দলের লোকজনকে বাসা ভাড়া দেওয়া যাবে না। যদি কোনো ভাড়াটিয়া নিষিদ্ধঘোষিত দলের হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আটক হয়; তাহলে সেই বাড়ির মালিককে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সহযোগী হিসেবে আটক করা হবে। নির্দেশক্রমে সিএমপি, কর্ণফুলী থানা।’
মাইকিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ শরীফ প্রথম আলোকে বলেন, সরকারঘোষিত নিষিদ্ধ সব সংগঠনকে বোঝানো হয়েছে। নির্দিষ্ট কোনো সংগঠনকে ইঙ্গিত করা হয়নি।