তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাশের দাবি
Published: 20th, June 2025 GMT
বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন। তামাক ব্যবহারজনিত রোগে প্রতিবছর দেশে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ অকালে মৃত্যুবরণ করেন। এমন পরিস্থিতিতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাসের মাধ্যমে আরও শক্তিশালী করে তামাকজনিত অকাল মৃত্যু ঠেকাতে দাবি জানিয়েছে পেশাজীবী বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাজধানীর ঢাকা আহছানিয়া মিশনের অডিটোরিয়ামে ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে পেশাজীবি সংগঠনের ভূমিকা ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে এমন দাবি জানায় তারা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতি, বাংলাদেশ সুপারমার্কেট ওনার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থা, বাংলাদেশ গ্রোসারী বিজনেস এসোসিয়েশন(বিজিবিএ), বাংলাদেশ সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশন, ঢাকা মহানগর দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতি, জাতীয় দোকান কর্মচারী ফেডারেশন, এর নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা আহছানিয়া মিশনের সভাপতি ড.
মূল প্রবন্ধে ঢাকা আহছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী শরিফুল ইসলাম জানান, গ্লোবাল এডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে (গ্যাটস) ২০১৭ এর তথ্যমতে ১ কোটি ৯২ লক্ষ মানুষ ধূমপান করে এবং প্রায় ৪ কোটি মানুষ ধূমপান না করেও পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে। গ্যাটস ২০১৭ তথ্যমতে পরোক্ষ ধূমপানের এ হার ৪২.৭%। এ সময় তিনি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী চূড়ান্তকরণের পূর্বে বিভিন্ন এসোসিয়েশন ও পেশাজীবী সংগঠনের ভূমিকা তুলে ধরেন এবং ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে ধারণা প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে সংগঠগুলোর নেতারা জানান, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের দাবিতে বিভিন্ন সময় সরকারকে স্মারকলিপি ও চিঠি প্রদান করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায়, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের যে সংশোধিত খসড়া তৈরি করেছেন এ জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানান তারা। এবং বর্তমানে ৯ জন উপদেষ্টা ও ৩ জন সচিব দ্বারা গঠিত একটি উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি গঠিত হয়েছে যারা আইনের খসড়াটিকে পূনরায় রিভিউ করছেন।
এসময় খসড়া আইনটি দ্রুত পাশে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান নেতারা।
সংশোধনীতে উল্লেখিত পাবলিক প্লেসে ধুমপানের নির্ধারিত এলাকা বিলুপ্ত, বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ, খুচরা বিড়ি-সিগারেট বিক্রি বন্ধ, ই-সিগারেট বা হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট থেকে তরুণদের রক্ষা করা, তামাক কোম্পানির সিএসআর কার্যক্রম বন্ধ ও সিগারেটের প্যাকেটে সতর্কবার্তা ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ বাড়ানো হলে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ভূমিকা রাখবে বলেও জানান তারা।
বক্তারা জানান, তামাক কোম্পানিগুলো মিথ্যা প্রচার করছে। তারা বলছে প্রস্তাবিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী পাস হলে সরকার বিপুল পরিমাণে রাজস্ব হারাবে। তবে বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। ২০০৫ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন ও ২০১৩ সালে সংশোধনের পর গত ১৮ বছরে সরকারের রাজস্ব আয় বেড়েছে সাড়ে ১২ গুণ। একই সঙ্গে ২০০৯ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে তামাক ব্যবহার ১৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন তামাক বিরোধী সংগঠন ও ইয়ুথ ফোরামের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত থেকেও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাশের দাবি জানায়।
ঢাকা/হাসান/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন আহছ ন য় স গঠন র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
মিতালিকে ছাড়িয়ে ইতিহাস গড়লেন মান্ধানা
দুই ঘণ্টার বৃষ্টিবিঘ্নের পর অবশেষে নাবি মুম্বাইয়ের ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০২৫ এর প্রতীক্ষিত ফাইনাল। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। আর ব্যাট হাতে মাঠে নামে ভারত।
শুরুটা দারুণ করে ‘উইমেন ইন ব্লু’। ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি ভার্মা গড়েন ১০৪ রানের জুটি। এই রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৪৫ রানে আউট হন মান্ধানা। আর তাতেই রচনা হয় নতুন ইতিহাস। মিতালি রাজকে পেছনে ফেলে বিশ্বকাপের এক আসরে ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হয়ে যান মান্ধানা।
আরো পড়ুন:
গৌহাটি টেস্টে ‘লাঞ্চের আগে টি-ব্রেক’! জানুন কেন এই ব্যতিক্রম
রোহিতের সেঞ্চুরির ‘হাফ-সেঞ্চুরি’, ঢুকলেন এলিট ক্লাবে
চলতি বিশ্বকাপে ৯ ইনিংসে মান্ধানার মোট রান ৪৩৪, যা ২০১৭ সালের আসরে মিতালি রাজের করা ৪০৯ রানের রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গেছে।
ভারতের হয়ে এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকা:
৪৩৪ – স্মৃতি মান্ধানা (২০২৫)
৪০৯ – মিতালি রাজ (২০১৭)
৩৮১ – পুনম রাউত (২০১৭)
৩৫৯ – হারমানপ্রীত কৌর (২০১৭)
৩২৭ – স্মৃতি মান্ধানা (২০২২)
এবারের আসরে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন মান্ধানা:
এখন পর্যন্ত দুইটি ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলেছেন স্মৃতি মান্ধানা। ২০১৭ সালের আসরেই প্রথম আলোচনায় আসেন তিনি। করেছিলেন ৩২৭ রান। আর এবার ২০২৫ বিশ্বকাপে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫৪.২৫ গড়ে ৪৩৪ রান। যা তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স।
তবে শুরুটা কিন্তু খুব একটা উজ্জ্বল ছিল না। প্রথম তিন ম্যাচে তিনি করেছিলেন মাত্র ৪৬ রান। কিন্তু এরপরই যেন জেগে ওঠেন। টানা দুটি ফিফটির পর নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে করেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি।
সেমিফাইনালে ভালো শুরু করেও বড় ইনিংসে রূপ দিতে পারেননি ২৯ বছর বয়সী এই ওপেনার। ফাইনালেও ভালো সূচনা করে ৫৮ বলে ৮টি চার মেরে ৪৫ রানে সাজঘরে ফেরেন।
ঢাকা/আমিনুল