ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের এক সভা (১৮ জুন) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.
ঢাকা/এসবি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় চার মাজারে হামলা, ২২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় চারটি মাজারে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ২ হাজার ২০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে হোমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাপস কুমার সরকার বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন।
আরো পড়ুন:
মহাসড়কে ডাকাতের হামলায় যুবক নিহত
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ৩ পুলিশ নিহত
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
তিনি জানিয়েছেন, এলাকায় এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর সকালে একটি ফেসবুক আইডি থেকে ধর্ম নিয়ে কটূক্তিমূলক স্ট্যাটাস দেওয়ার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুব্ধ লোকজন ওই দিন থানার সামনে জড়ো হয়ে অভিযুক্ত যুবকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে।
ধর্ম অবমাননার অভিযোগে বাংলাদেশ ইসলামী যুব সেনার হোমনা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় পরদিন বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত যুবককে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এরইমধ্যে ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিক্ষুব্ধ জনতা আছাদপুর গ্রামের কফিল উদ্দিন শাহ ও হাওয়ালি শাহ মাজারে অগ্নিসংযোগ এবং কালাই শাহ ও আবদু শাহ মাজারে হামলা চালায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শুক্রবার সকালে সরেজমিনে আছাদপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রেপ্তারের আতঙ্কে গ্রামটি প্রায় পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।
পুড়ে যাওয়া মাজারের সামনে অভিযুক্ত যুবকের মায়ের সঙ্গে কথা হয় সাংবাদিকদের। তিনি বলেন, “ছেলেকে তো পুলিশের হাতে তুলে দিলাম। এরপরও আমাদের মাজার ও ঘরে আগুন দেওয়া হলো কেন? পুলিশ কোনো নিরাপত্তা দিতে পারল না। এক কাপড়ে ঘর থেকে বের হয়েছি, কিছুই রক্ষা করতে পারিনি।”
কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) নাজির আহমেদ খান বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেছেন, ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। তারপরও যারা আইন হাতে তুলে নিয়ে মাজারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে, তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। সবার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/রুবেল/রফিক